রমজানকে বরণ করে নিতে ৩টি কাজ অবশ্যই করুন
রমজানকে বরণ ৩টি কাজ অবশ্যই করুন
রসুলুল্লাহ (দঃ) যা নিজে বলতেন তা আগে নিজে করে দেখাতেন, রমজান
আসার আগে নবী করিম (দঃ) রমজানকে অনেক জবরদসত স্বাগতম জানিয়েছেন, এটাই উম্মতকে শিক্ষা
দিয়েছেন এ রমজান কোন মামুলি মেহমান নয়, খুবই সম্মানিত ও আজিমুশশান মেহমান। তিনি এ রমজানকে
কিভাবে বরণ করেছেন? আমরাতো রমজানুল মোবারক, রমজান করিম এমন ধরনের মেসেজ চালিয়ে, ফেইসবুকে
রমজানের স্টিকার শেয়ার করে, রমজানের সেহেরী ইফতারের সময়সুচী শেয়ার করে রমজানকে স্বাগতম
জানাই। অথচ রমজানের সবচেযে বড় আমলটি হল রোজা আর সে রোজাকে ওয়েলকাম জানাতে আমাদের প্রিয়
নবী শাবান মাস থেকেই রোজা রাখা শুরু করে দিতেন।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-কে শাবান মাসের মতো এত অধিক (নফল) রোজা আর অন্য কোনো মাসে রাখতে দেখিনি। এ মাসের সামান্য কয়েক দিন ছাড়া সারা মাসই তিনি রোজা রাখতেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৩৭)
হজরত উম্মে সালমা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে শাবান ও রমজান মাস ছাড়া অন্য কোনো দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৩৬)
এটাই হল মহানবীর রমজানকে
বরণ করার সিস্টেম।
রজমানের ২য় বড় আমলটি হল তারাবীহ,
আর এ তারাবীহতে কোরানের তেলাওয়াত হয়ে থাকে, সুতরাং রমজান আসার আগে শাবান মাসে তাহাজ্জুদ
নামাজের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াতের প্রেকটিস শুরু করুন।
৩য় বিষয়টি হল রমজান মাস আল্লাহ
তায়ালা আমাদের এ জন্য দান করেছেন যাতে আমাদের থেকে গুনাহ সমুহ ছুটে যায়, তাই শাবান
মাস থেকেই গুনাহসমুহ থেকে দুরে সরে আসার চেষ্টা চালাতে হবে, যাতে রমজান আসার আগে আগেই
সকল গুনাহ ছুটে যায়, যেমন কুদৃষ্টি থেকে দৃষ্টিকে হেফাজত করা, যে বিষয়টি ইন্টারনেটের
বরকতে আজকাল খুবই সহজ বিষয়ে পরিণত হয়েছে, টিবি সিরিয়াল দেখা আজ থেকেই ডিসকন্টিনিউ করে
দিন, মোবাইলে যদি গান- মিউজিক থাকে তা ডিলিট করে ফেলুন, পরিবর্তে কুরআন তেলাওয়াত ও
নাতে রসুল ডাউনলোড করে নিন, কোন নাচ গানের হোয়াটসআপ গ্রুপে এ্যাড থাকলে সে গ্রুপ থেকে
নিজেকে মুক্ত করে ফেলুন।
কোন মন্তব্য নেই