শবে ক্বদর ও মা বাবার নাফরমান। মা বাবাকে খুশী করার ১৫টি ইসলামীক কৌশল
শবে কদর ও মা বাবার বদদোয়া
মুক্তির ১৫টি উপায়
প্রিয় সুধী মা বাবা যাদের উপর
অসন্তুষ্ট তাঁরা মা বাবাকে কিভাবে রাজি করবেন
এবং যাদের মা বাবা নারাজ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তারা কি করে ১৫ উপায়ে মা বাবাকে
সন্তুষ্ট করবেন সে বিষয়ে আজকের আলোচনা।
রমজান মাসব্যপী গুনাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করেন, শবে কদরের রাতে ক্ষমা করে দেন, ঈদের রাতে গোটা রমজানে যত সংখ্যক গুনাহগারকে ক্ষমা করেছেন তত সংখ্যককে ক্ষমা করেন, কিন্তু শুধু ৪টি কাজ যারা করেছেন তাঁদের ক্ষমা পেন্ডিং থেকে যাবে। সে ৪টি খতরনাক ভয়ংকর কাজ যা করলে আপনার ক্ষমা পেন্ডিং থাকবে আর ক্ষমাকে পেন্ডিং মুক্ত করারও
উপায় আছে যা আলোচনা হবে- সে কাজ ৪টি হল
১। নিয়মিত শরাবপান
২। পিতা মাতার নাফরমানী
২। পিতা মাতার নাফরমানী
৩। আত্মীয়দের সাথে সম্পর্কছিন্ন করা
৪। মনে হিংসা বিদ্বেষপোষন করা।
এ ৪টি কাজ যারা করেছেন তাঁদের
মধ্যে মদপানকারী ও হিংসা পোষনকারী যদি খাঁটি তওবা করে নেন তাহলে শবে কদরে আশা করা যায়
আল্লাহ তাঁদের ক্ষমা করে দিবেন। তবে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর জন্য শর্ত হল যে
আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তাঁর সাথে পুনরায় সম্পর্ক জোড়া লাগাতে হবে এ ছাড়া
আর কোন ২য় উপায় নাই। আর যারা মা বাবার মনে কষ্ট দিয়েছেন তাদের জন্যও শর্ত হল মা বাবার
কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং মা বাবাকে অবশ্যই রাজি করতে হবে মা বাবার দোয়া অর্জন করা যেমন একজন আর্দশ সন্তানের জন্য অত্যন্ত জরুরি বিষয়, ঠিক তেমনি তার বদদোয়া থেকে বেঁচে থাকাও একান্ত প্রয়োজন। মায়ের বদদোয়া কুড়িয়ে বহু মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
ভয়ের বিষয় হলো, মা বাবার বদদোয়া সন্তানের শুধু আখেরাতই বরবাদ করে না, বরং দুনিয়ায়ও সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মা বাবা যদি ক্ষমা করেন, তারা যদি সন্তানের প্রতি রাজি হয়ে যান তাহলেই শবে কদরে সে সন্তানের জন্য আশার বানী রয়েছে।
ভয়ের বিষয় হলো, মা বাবার বদদোয়া সন্তানের শুধু আখেরাতই বরবাদ করে না, বরং দুনিয়ায়ও সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মা বাবা যদি ক্ষমা করেন, তারা যদি সন্তানের প্রতি রাজি হয়ে যান তাহলেই শবে কদরে সে সন্তানের জন্য আশার বানী রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল যারা মা বাবার
সাথে আগে নাফরমানি করেছেন, এখন মা বাবা বেঁচে নেই যে ক্ষমা চেয়ে, সেবা করে, মা বাবাকে
রাজি করবেন তাঁদের জন্য উপায় কি? হ্যাঁ তাঁদের জন্যও উপায় আছে।
যাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে মা
বাবা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন তারা মৃত মা বাবার জন্য ১৫টি কোরান হাদীস সম্মত
আমল করতে পারেন আশা করা যায় এর বরকতে আল্লাহ আপনাকে কদরের রাতে কবুল করবেন।
প্রথমত- বেশী বেশী দোয়া করবেন
মা বাবার জন্য দোয়া কেমন হবে তা কুরানেই রয়েছে
আল-কুরআনে এসেছে,
رَبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [الاسراء:
٢٤]
‘‘হে আমার রব, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন’’ [সূরা বানী ইসরাঈলঃ ২৪]
رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ
يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ٤١﴾ [ابراهيم: ٤١]
‘‘হে আমাদের রব, রোজ কিয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করে দিন’’ [সুরা ইবরাহীমঃ৪১]
দ্বিতীয়ত- মা বাবার পক্ষ থেকে
বেশী বেশী দান সদকাহ করবেন।
তৃতীয়ত- মা বাবার পক্ষ থেকে
নফল রোযা রাখবেন।
চতুর্থত- মৃত মা বাবার পক্ষ
থেকে হ্জ্ব ও ওমরাহ পালন করবেন।
পঞ্চমত- মৃত মা বাবার পক্ষ
থেকে কুরবানী করবেন।
ষষ্ঠত- মৃত মা বাবা কোন ওসিয়ত
করে গেলে তা পুরণ করবেন।
সপ্তমত- মৃত মা বাবার বন্ধুদের
সাথে ভাল আচরন ও সম্মান করবেন।
অষ্টমত- মা বাবার আত্মীয়গনের
সাথে ভাল সম্পক বজায় রাখবেন।
নবমত- মা বাবা কোন ঋণ করে গিয়ে
থাকলে তা অতি ধ্রুত পরিশোধ করে দিবেন।
দশমত- মা বাবার কোন কাফফারা
থাকলে তা আদায় করবেন
এগারতম- মা বাবার জন্য বেশী
বেশী ক্ষমা প্রাথনা করবেন এ ব্যপারে হাদীস রয়েছে
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু
আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মৃত্যুর পর কোন বান্দাহর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।
তখন সে বলে হে আমার রব, আমি তো এতো মর্যাদার আমল করিনি, কীভাবে এ আমল আসলো ? তখন বলা
হবে, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ মর্যাদা তুমি পেয়েছো’’ [আল-আদাবুল
মুফরাদ:৩৬]।
বারতম- মা বাবা কোন মান্নত
করে গেলে সে সব মান্নত পুরন করে দেয়া
তেরতম- মা বাবার অসম্পূণ ভাল
কাজসমুহ সম্পূণ করা, কিংবা ভাল কাজসমুহ জারি রাখা
চৌদ্দতম- মা বাবা কোন গুনাহের
কাজ চালু করে গেলে তা বন্ধ করে দেয়া এবং মা বাবা জীবদ্ধশায় কারো উপর কোন যুলুম করলে
তার কাছে মা বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।
পনরতম- মা বাবার কবর যেয়ারত
করা
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে শবে
কদরের আগে মা বাবাকে রাজি করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
সেরা ইউটিউব চ্যানেল
শীর্ষ ইউটিউব চ্যানেল
সেরা ইউটিউব চ্যানেল
শীর্ষ ইউটিউব চ্যানেল
কোন মন্তব্য নেই