মৃত্যুর সময় কতটুকু যন্ত্রণা হয়। মৃত্যুর যন্ত্রণা ও দুনিয়ার সকল সমস্যা দুর করার উপায়



মানুষ খুবই ব্যস্ত তাই আজ আমাদের কাছে কুরান শরীফ তেলাওয়াত করার সময় নাই। অথচ ডঃ ইকবাল অনেক সুন্দর কথা বলেন, হাদীসে পাকের আলোকে তিনি একটি কথা বলেন, যখন কোন লোক দুনিয়া থেকে মৃত্যু বরন করার সময় হয় তখন তার পাশে বসে লোকজন কুরানে পাক তেলাওয়াত করে, সুরা এয়াসিন তেলায়োত করে, সুরা রাদ দেলাওয়াত করে, সুরা মুলুক তেলাওয়াত করেন, এসব সুরা পড়া হয় মৃতুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির নিকটে। কি জন্য পড়া হয়? জানেন?
এ জন্য পড়া হয় যে মৃত্যুর সময় মানুষের উপর এত কঠিন মসিবত আসে যে এর আগে কোনদিন তার কাছে এমনতর মসিবত আসেনি, এবং এর পরও কোনদিন এমন কঠিন মসিবত তার কাছে আর আসবে না। অথ্যাৎ মৃত্যুর সময় যে কঠিন বিপদ হয় তার চেয়ে বড় কোন বিপদের সম্মুখিত তাঁকে আর হতে হবে না। দুনিয়ার কোন বিপদ মৃত্যুর সময়কার বিপদের সমান নয়। খুব মনযোগের সাথে শুনুন ডঃ ইকবাল যে ফালসাফা বয়ান করেছেন, কুরানে করিমের সুরা সমুহ তেলাওয়াতের ব্যপারে, সকল মুসলমান এ ফালসাফাকে তাঁদের অন্তরে স্থান দেয়া উচিত।
হে আমার প্রিয় নবীর পাগলেরা শুনুন মৃত্যুর কষ্ট কি? এমন বয়ান আমি এর আগে কোনদিন আপনাদের সামনে রাখিনি। আজ আসুন খুব অল্প করে মৃত্যুর কষ্ট কি, মৃত্যু যন্ত্রনা কি তা শুনে ফেলি,
ইমাম গাযালি রহ. বলেন, রুহের কবযের প্রক্রিয়া ব্যক্তির পাঁয়ের দিক থেকে শুরু হয়ে অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে প্রথমে পাঁয়ের রুহ, এরপর পাঁয়ের কব্জি বা গোছা, এরপর উরুদেশ, এরপর বক্ষদেশে এসে রুহ আটকে যায় তখন মানুষের বাকশক্তি লোপ পায় এরপর রুহ কণ্ঠনালীতে পেঁŠছে যায় তখন সে ব্যক্তি কোনো কিছু দেখতেও পায় না, শুনতেও পায় নাইরশাদ হয়েছে, كَلاَّ إِذَا بَلَغَتْ التَّرَاقِيَ وَقِيلَ مَنْ رَاقٍ وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ অর্থাৎ কখনো নয়, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে, এবং বলা হবে, ‘কে তোমাকে রক্ষা করবে?’ তখন তার প্রত্যয় হবে যে, এটাই বিদায়ক্ষণ -সুরা কিয়ামা : ২৬-২৮
প্রিয় সুধী মন্ডলী, হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, আমার পিতা (আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু) প্রায়ই বলতেন, ঐ ব্যক্তির সম্পর্কে আমার বড়ই আশ্চর্য বোধ হয়। যার মধ্যে মৃত্যুর আলামত প্রকাশ পেয়েছে। তার হুশ এবং অনুভূতি বিদ্যমান আছে, বাক শক্তি নষ্ট হয়নি। এতদসত্ত্বেও সে কেন মৃত্যুর অবস্থা বর্ণনা করে না?

ঘটনাক্রমে হজরত আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু আনহুর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, তখনও তাঁর হুশ, অনুভতি ও বাকশক্তি বিদ্যমান। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আব্বাজান! এ অবস্থায় উপনীত ব্যক্তি মৃত্যুর অবস্থা বর্ণনা না করার ওপর তো আপনি আশ্চর্যবোধ করতেন। আজ আপনি মৃত্যুর অবস্থা কিছু বর্ণনা করুন।

হজরত আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু উত্তর দিলেন, হে পুত্র! মৃত্যুর অবস্থাতো বর্ণনা করা সম্ভব নহে। তারপরও আমি কিছু বর্ণনা দিচ্ছে-
আল্লাহর শপথ! আমার মনে হচ্ছে যে, আমার কাঁধের ওপর পাহাড় রাখা হয়েছে, এবং মনে হয় আমার প্রাণ সুঁচের ছিদ্র দ্বারা বাহির করা হচ্ছে এবং আমার পেট যেন কাঁটায় ভরপুর।
আমার মনে হচ্ছে, আসমান-জমিন একত্রে মিশে গেছে। আর আমি ইহার মাঝে পিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি।
সম্মানিত সুধী
যখন মানুষের উপর মৃত্যু যন্ত্রনা শুরু হয় তখন তার শরীরে যতগুলি চুল আছে প্রতিটি চুলের ভিতর তার রুহ আটকে থাকে, যখন তার মৃত্যু আসে তখন ফেরেশতা তার রুহ টেনে হিচড়ে বের করে, যুগ যুগ ধরে শরীর ও আত্মার একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে যার ফলে রুহ সে শরীর থেকে বের হতে চায় না, এদিকে ফেরেশতা সে রুহকে টেনে টেনে বের করে,
ইবনে আবি শাইবা, ইবনে আবিদ দুনিয়া এবং ইমাম আহমদ রহ. হযরত জাবের রা. হতে বর্ণনা করেন, রাসুল (দরুদ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা বনি ইসরাঈলের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করো। কেননা সেখানে তোমাদের জন্যে অনেক চমকপ্রদ শিক্ষা রয়েছে। এরপর নবি করিম সা. নিজেই সেই জাতির বেশ কিছু ঘটনা বর্ণনা করতে শুরু করলেন, বনি ইসরাঈলের একটি দল একদা একটি কবরস্থানের নিকটে এসে পরস্পর বলাবলি করতে লাগলো, আমরা দুই রাকাত নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে মিনতি করবো, তিনি যেনো কবর হতে কোনো একজনকে উঠিয়ে আমাদের মুখোমুখি করার ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে আমরা তার কাছ থেকে মৃত্যুর অবস্থা জেনে নিতে পারবো। যদি আমরা এ কাজটি করতে পারি তাহলে তা আমাদের জন্যে অনেক উপকারী হবে। এরপর তারা সেরকম সিদ্ধামত্ম নিয়ে দুরাকাত নামায আদায় করে আল্লাহর দরবারে আরজি জানালো। ইত্যবসরে একজন কালো বর্ণের মুরদা কবর থেকে উঠে আসলো। লোকটির কপালে সেজদার নিশান পড়া ছিলো। সে বললো, তোমরা আমার কাছে কী জানতে চাও? একশ বছর পূর্বে আমার মৃত্যু হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত মৃত্যুর তিক্ত বিভীষিকা আমি ভুলতে পারিনি। তোমরা আমার জন্যে আল্লাহর কাছে দুআ করো, তিনি যেনো আমাকে পূর্বের মতো করে দেন।
হযরত শাদ্দাদ ইবনে আউস রা. হতে বর্ণিত আছে, করাত দিয়ে চিড়লে বা কাঁচি দিয়ে চামড়া ছিললে কিংবা কাউকে তপ্ত পানির পাতিলায় নিক্ষেপ করলেও সে পরিমাণ কষ্ট বোধ হবে না যে পরিমাণ কষ্ট মৃত্যুর সময় বোধ হবে। -ইয়াইইয়াউল উলুম ৩৯৪/৪ ৪.
হযরত মুসা আ.-এর রুহ যখন আল্লাহ তাআলার দরবারে হাযির করা হয় তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, কি হে মুসা, মৃত্যুযন্ত্রণা কেমন বোধ করলে? উত্তরে তিনি বললেন, একটি জীবন্ত পাখিকে গরম তপ্ত পানির ডেকচিতে ফেললে যেমন হয় আমার ঠিক তেমন অনুভূতি হয়েছে। 
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত মুসা আ. আল্লাহর প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোনো কসাই যদি কোনো জীবন্ত বকরীর চামড়া ছিলে তাহলে ওই বকরীর কাছে যেমন ভীষণ কষ্টকর অনুভূতি হবে আমারও ঠিক সেরকম অনুভূতি হয়েছে।
আমাদের প্রিয় আকা (দরুদ) মৃত্যুর কথা এভাবে বয়ান করেন যেমন কোন মখমল কাপড়কে যদি কোন কাঁটাদার বৃক্ষের উপর রাখা হয় এবং সে কাপড়ের ভিতর সে কাঁটা ঢুকে যায়,  এবং কেহ যখন খুব জোড়ে সে কাপড়কে টেনে বের করে আনতে চেষ্টা করে, ফলে সে কাপড় কাটার সাথে লেগে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, তেমনি যখন মানুষের শরীর থেকে যখন রুহ বের করা হয় তখন তার চাইতে বেশী কষ্ট মানুষ বরদাশত করতে হয়, কোন জীবন্ত ছাগলের চামড়া ছাড়াতে ছাগলের ততটা কষ্ট হয়না যতটা মানুষের মৃত্যুর সময় তার রুহ বের করার সময় কষ্ট হয়। ৩১৩ জন লোক যদি একত্র হয়ে তলোয়ার দ্বারা কোন একজন মানুষকে আঘাত করে সে সময় সে লোকের ততটুকু কষ্ট হয়না যতটুকু কষ্ট মানুষের মৃত্যুর সময় হয়।
আল্লাহু আকবর, যদি মৃত্যুর সময় আল্লাহ তায়ালা মানুষের হাত পায়ের শক্তি ছিনিয়ে না নিতেন তাহলে মানুষ মৃত্যু যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে পাগলের মত জঙ্গলের দিকে পলায়ন করত। সে এত জোড়ে চিৎকার করত যে তার চিৎকারে মানুষের কলিজা ফেটে যেত। কিন্তু আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত মৃত্যু আসার আগেই সে ব্যক্তির হাত পায়ের শক্তি ছিনিয়ে নেন এবং চিৎকার করার ক্ষমতাও কেড়ে নেন।
মানুষ মনে করে সে কতটাই না আরামে শুয়ে আছে, অথচ তখন তাঁর মহা বিপদ চলছে, ফলে তাঁর গলা থেকে ভয়ংকর গড়গড় শব্দ বের হতে থাকে। যদি দুনিয়ায় কেহ পুনরায় জিবীত হয়ে মানুষকে মৃত্যুর কষ্ট কি তা বর্ণনা করে দিত, তাহলে দুনিয়ার সকলে ভাল ভাল খাবার খাওয়া ভুলে যেত, নতুন নতুন কাপড় পরিধান করা ভুলে যেত,
আমাদের প্রিয় আকাঁ (দরুদ) ফরমান যদি মৃত্যুর সময় কি যন্ত্রনা তা যদি জানোয়ারদের বলে দেয়া হত তাহলে দুনিয়ায় কোন জানেয়ারের গোস্ত খাওয়া কারো নসিবে জুটত না, অথ্যাৎ দুনিয়ায় কোন জানোয়ারের গায়ে গোস্ত সৃষ্টি হতো না। বরং জানোয়ারের চামড়া তাদের হাড্ডির সাথে লেগে যেত, সকল জানোয়ার মৃত্যুর ভয়ে না খেয়ে কংকাল হয়ে যেত। মৃত্যুর সময়কার যন্ত্রনা কেমন তা যদি মানুষ জানতে পারত তাহলে মানুষ জমিনে এমন ভাবে গলে যেত যেমন পানিতে লবন গলে যায়। এ কথা যদি কোন নেতা বলত সে কথা আমরা অস্বিকার করতে পারতাম । কিন্তু এ কথা সে নবী বলেছেন যিনি নিজের মর্জি মোতাবেক কখনো কোন কথা বলেনই না। জবান তাঁর কিন্তু কথা হয় খোদা ওয়ান্দু কুদ্দুছের। সে নবীই বলছেন মৃত্যুর সময় এমন কষ্ট হয় যদি মানুষ সে ব্যপারে জানতে পারে তাহলে মানুষ এমন ভাবে গলে যাবে যেমন পানিতে লবন গলে যায়।
আল্লাহ তায়ালা হযরত ইসা (আঃ) কে মৃতকে জীবিত করার মুযেজা দান করেছেন। তিনি একদিন চিন্তা করতে লাগলেন আমিতো আল্লাহর হকুমে মৃতকে জীবিত করতে পারি, আমি আজ আমার মাকে জীবিত করব। হযরত ঈসা (আঃ) হযরত মরিয়াম এর কবরে গেলেন,  এবং নিজের মাকে বলল মা আমি তোমাকে জীবিত করতে চাই, তখণ মরিয়াম বললেন বাছাধন না, যদি তুমি আমাকে প্রকাশ্য জীবিত কর তাহলে মৃত্যুর যন্ত্রনা আবার ভোগ করতে হবে, মৃত্যুর সময় আমার যে কষ্ট হয়েছে এখন সে কষ্ট পুনরায় সহ্য করার সে হিম্মত আমার নাই। জানেন ইনি কোন মরিয়াম? যার জিকির আল্লাহ তায়ালা কুরানে এরশাদ করেছেন। আমি আজ সে সব মা বোনদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যারা এশারের নামাজ ছেড়ে বউ শ্বাশুড়ির সিরিয়াল দেখে সময় নষ্ট করছেন। নষ্ট ও নোংড়া সিরিয়ালের মাধ্যমে নিজের মুল্যবান এবাদতের সময়টাকে বরবাদ করে দিচ্ছেন। এখানে সে সব দুনিয়াদার নারীদের জিকির হচেছ না, বরং সে মরিয়ামের জিকির হচ্ছে যার ব্যপারে আল্লাহ তায়ালা সার্টিফিকেট দিয়েছেন। যিনি তাঁর গোটা জীবন বায়তুল মুকাদ্দাছে কাটিয়েছেন, মরিয়ম সে নারী যার শানে আল্লাহ তায়ালা গোটা সুরা মরিয়াম নাযিল করেছেন। সে মরিয়াম যাকে কোনদিন কোন পুরুষ হাত লাগায়নি, সে মরিয়াম যিনি পিতা ছাড়া পুত্র হযরত ঈসা (আঃ) কে আল্লাহর হকুমে জন্ম দান করেছেন। সে মরিয়াম যার বসার স্থানে আল্লাহর নবী হযরত জাকারিয়া (আঃ) সন্তানের জন্য দোয়া করতেন। সে মরিয়ম যাকে আল্লাহ বে মৌসুমী ফল দিতেন, সে মরিয়াম  তারঁ ছেলে ঈসাকে বলছেন হে ঈসা মৃত্যু যন্ত্রনা এমন এক যন্ত্রনা যা সহ্য করার হিম্মত আমার এখন নাই।
প্রিয় সুধী মৃত্যু এমন এক মসিবত সকল প্রাণীকে সে মসিবতের সম্মুখিন হতে হবে, এমন এক মসিবত যা বর্ণনা করার কোন ভাষা আমার কাছে নাই। মৃত্যুর সময়কার যন্ত্রনা এতটাই ভয়ানক যে কেয়ামতের দিন যখন সকলে পুনরায় উত্থিত হবেন সে সময় ২ হাজার বছরের আগের ৪ হাজার বছরের আগেও যারা মৃত্যু বরণ করেছে তারাও উঠবেন কিন্তু সে হাজার বছর আগে যে মৃত্যুর সময় যন্ত্রনা ভুগেছে সে যন্ত্রনার ব্যথা তারা সেদিনও বুঝতে পারবে। হাজার হাজার বছর পরও যে যন্ত্রনা ভুলা যায় না সেটিই হল মৃত্যুর কষ্ট।
যে লোক কোনদিন আম খাইনি সে কখনো আমের স্বাধ কি তা বলতে পারবে না, তেমনি মৃত্যু যন্ত্রনা এমন এক যন্ত্রনা যার বয়ান কোন জীবিত লোকের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
আল্লাহর রসুল (দঃ) এরশাদ করেন যদি কেহ চাই যে মৃত্যুমুখে পতিত ব্যক্তির মৃত্যুর সময়কার যন্ত্রনা লাগব হউক, তাহলে সে ব্যক্তির পাশে বসে বসে কুরান পাঠ কর, বিশেষ করে সুরা এয়াসিন তেলাওয়াত কর, যে ছাখারাতের সময় কোন ব্যক্তির পাশে সুরা এয়াসিন পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা সে ব্যক্তির মৃত্যুর কষ্টকে কমিয়ে দেন, এবং তার মৃত্যু খুবই আছান ভাবে হয়। আর ডঃ ইকবাল সকল মুসলমানদের প্রতি খুবই বাস্তব সম্মত প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি বলেন হে মুসলমানরা তোমরা শুধু কুরান দ্বারা মরতে শিখেছ, তোমরা কুরান থেকে জিন্দেগী কেন শিখে নিতে পারনি? যে কুরানের তেলাওয়াত মৃত্যুর যন্ত্রনাকে হালকা করে দেয়, যে কুরানের বরকতে মৃত্যুর কষ্ট দুর হয়ে যায়, সে কুরানের বরকতে জিন্দেগীর দুঃখ কষ্ট দুর হতে পারে না?
সুতরাং দুনিয়ার সকল বিপদগ্রস্থ, মসিবদগ্রস্থ, দুঃখ কষ্টে নিপতিত, রোগগ্রস্থ, পেরাশানগ্রস্থ, সকলের প্রতি এ দাওয়াত যে কুরআন মৃত্যু যন্ত্রনার মত এমন ভয়ংকর কষ্টকে লাঘব করতে পারে সে কুরআন অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই আমাদের দুনিয়ার সকল দুঃখ কষ্ট বিপদ আপদ বলা মসিবত ভয় পেরেশানি সব সমস্যা দুর করতে সক্ষম। প্রিয় সুধী শুধু তাই নয় এ কুরআন তেলাওয়াতের দ্বারা মানুষ সম্পদশালীও হতে পারে, একদিন প্রিয় নবী (দরুদ) সাহাবাদের বললেন হে আমার সাহাবিরা আমিকি তোমাদেরকে এমন একটি সুরার কথা বলব না যার তেলাওয়াতের দ্বারা তোমাদের অভাব দুর হয়ে যাবে, তোমরা আর সম্পদহারা হবে না, গরীব হবে না, অভাবী হবে না, সাহাবীরা বলল অবশ্যই বলুন এয়া রাসুলাল্লাহ, তখন প্রিয় আকাঁ (দরুদ) ফরমাল যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াকেয়া পাঠ করবে সে কখনো অভাবী হবে না। আল্লাহ তায়ালা তার সম্পদে বরকত দান করবেন।
আল্লাহু আকবর, অপর রেওয়ায়েতে আছে নবী করিম (দরুদ) ফরমান যদি কাহারো প্রচন্ড ক্ষিধে লাগে আর সে কোন খাবার না পায়,  সুরা এয়াসিন পাঠ করার সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালা তাঁর ক্ষিধের যন্ত্রনা দুর করে দিবেন।
ক্ষিধে দুর করার চিকিৎসাও কুরানে আছে, সম্পদ হাসিল করার উপায়ও কুরানে আছে, কবরের আযাব থেকে বাঁচার ব্যবস্থাও কুরানে আছে,  যেমন নবী করিম (দরুদ) ফরমান যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে সুরা মুলুক তেলাওয়াত করবে তাঁর কবর আযাব হবে না। আর সে সুরা কেয়ামতের দিন তার জন্য শাফায়াত করবে,  এবং আল্লাহ সে সুরার শাফায়াত কবুল করবেন।
কিন্তু আফসুস আমাদের সে কুরান তেলাওয়াত করার সময় নাই, তাই আমরা সেটাকে গিলাফ লাগিয়ে আতর লাগিয়ে আলমিরা কিংবা উঁচু তাকের উপর রেখে দিয়েছি। আফসুর হাজার আফসুস।
হে আল্লাহ তুমি প্রত্যেক মুসলমান নরনারীকে কুরানের দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাতের উপকার হাছিল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।  

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.