নামাজের পর জায়নামাজের কোনা ভাজ করে রাখার রহস্য কি?
নামাজের পর জায়নামাজের কোনা ভাজ করে রাখার রহস্য কি?
মাওলানা এস. এম. নিজাম উদ্দীন শায়েস্থাখানী
[এম,এ ফাষ্ট ক্লাস, এম.এম ফাষ্ট ক্লাস]
আমরা দেখি অনেক লোক নামাজ আদায় করার পর জায়নামাজের কোনাটা উল্টে
দেয়, কিংবা জায়নামাজ উল্টে রাখে, এবং বলে যে যদি আমি এভাবে জায়নামাজ খোলা রেখে দিই
তাতে শয়তান নামাজ পড়বে, অথচ এটা একটা ভুল ধারনা, কারন শরীয়তে এ ধরনের কোন হকুম আমাদেরকে
দেয়নি তাছাড়া শয়তানের নামাজ পড়বে এমন চিন্তাটাও একটা ভুল চিন্তা। সে কিজন্য? কার জন্য
নামাজ পড়বে? বরং সে তো মানুষকে নামাজ থেকে বিরত রাখার কাজে ব্যস্ত। আর যদি সে নামাজ
পড়তে চায় তাহলে তার জায়নামাজের প্রয়োজন হবে কেন? বরং সে যদি নামাজ পড়তেও চাই সে যে
কোন জায়গায় নামাজ পড়তে পারে।
তবে একটা হাদীস আছে তা এ রকম নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেছেন তোমরা
নিজেদের কাপড়গুলি লটকিয়ে বা ঝুলিয়ে রাখিও না কেননা এতে সে কাপড় শয়তান ব্যবহার করে।
এ হাদীসের উপর ভিত্তি করে ফোকাহায়ে কেরাম এ হকুম বয়ান করেছেন যে কাপড় চোপড় যথাসম্ভব
দেওয়াল, দরজার সাথে ঝুলিয়ে না রেখে ভাজ করে রাখা উচিত। তবে এ হাদীসের বাহ্যিক অর্থ
হিসেবে এখানে যদিও শয়তান বুঝা যাচ্ছে কিন্তু এর অন্য অর্থ হল নবী করিম (দঃ) অনেক সময়
খারাপ বা ক্ষতিকর বস্তুতে শয়তান শব্দ দ্বারা উল্লেখ করতেন, আর কাপড় ঝুলিয়ে রাখলে তাতে
ক্ষতিকর পোকামাকড়, বিষাক্ত কিছু সে কাপড়ে ঢুকে থাকতে পারে, তাই নবী করিম (দঃ) এর এ
বর্ণনার উদ্দেশ্য হল কাপড় দেওয়ালের সাথে দরজার সাথে ঝুলিয়ে না রাখা কারন এতে হতে পারে
সে কাপড়ে কোন বিষাক্ত বিচ্ছু, পোকা মাকড় ঢুকে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে সে কাপড় পরিধান
করলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই উচিত হল কাপড় ভাজ করে কোন আলমিড়া, তাক,
কিংবা বক্সের মধ্যে রাখা।
তবে এ হাদীসের উপর ভিত্তি
করে কেহ যদি বলে জায়নামাজও বিছিয়ে রাখা যাবে না বরং ফোল্ড করে রাখতে হবে তা একটি ভুল
ধারনা, জায়নামাজ খোলা রাখলে তাতে শয়তান নামাজ পড়বে এমন ধারনাও সম্পূর্ণ ভুল ধারনা।
তাই জায়নামাজ খোলা রেখে দিলে তাতে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।
কোন মন্তব্য নেই