রমজান মাসে ১১-২০ রোজায় ৪টি দোয়া বেশী বেশী পড়বেন
রমজান মাসে ১১-২০ রোজায় ৪টি দোয়া বেশী বেশী পড়বেন
রোজার মাসের ৩০ দিনকে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত তিন অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। রহমতের দশক অর্থাৎ রোজার প্রথম দশদিন আমাদের থেকৈ বিদায় নিয়ে যাচ্ছে , শুক্রবার (১৭ মে) থেকে শুরু হতে চলেছে মাগফেরাতের দশক যা মুসলমানদের
গুনাহ মাফের জন্য নির্ধারণ করেছেন মহান রাব্বুল আলামিন।
কারো কারো মতে, প্রথম দশ রোজা পালনের পর বান্দারা ক্ষমার পাওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠেন।
হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বলেন, একবার রমজানের কিছু পূর্বে একদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) এরশাদ করলেন, তোমাদের সামনে রমজান আসন্ন। এ মাস অত্যন্ত বরকতের মাস। আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন এ মাসে । রহমত বর্ষণ করেন এবং গুনাহ মাফ করেন (তাবরানী)।
কোনো কোনো হাদিস থেকে জানা যায়, বরকতময় এ মাসের প্রতিদিন মাছও ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে রোজাদারদের জন্য। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, রমজান উপলক্ষে আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি বস্তু দেয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী উম্মতদের দেয়া হয়নি। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগনাভী থেকেও অধিক পছন্দনীয় এবং জলের মাছ রোজাদারের জন্য ইফতার পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে (মুসনাদে আহমদ, বায়হাকী)।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন। অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, নাফরমানি করার পরও আল্লাহ তাআলা মানুষকে আলো-বাতাস তথা নিয়ামাত দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মানুষকে ভালোবাসেন বলেই কিভাবে ক্ষমা চাইলে তিনি বান্দাকে ক্ষমা করে দিবেন। তার অগণিত অসংখ্য দোয়া ও হিকমত শিখিয়েছেন। বিভিন্ন উপলক্ষে বিভিন্ন দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। ক্ষমা লাভের এমনি একটি দোয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য তুলে ধরেছেন-
কারো কারো মতে, প্রথম দশ রোজা পালনের পর বান্দারা ক্ষমার পাওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠেন।
হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বলেন, একবার রমজানের কিছু পূর্বে একদিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) এরশাদ করলেন, তোমাদের সামনে রমজান আসন্ন। এ মাস অত্যন্ত বরকতের মাস। আল্লাহ তা’য়ালা তোমাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন এ মাসে । রহমত বর্ষণ করেন এবং গুনাহ মাফ করেন (তাবরানী)।
কোনো কোনো হাদিস থেকে জানা যায়, বরকতময় এ মাসের প্রতিদিন মাছও ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে রোজাদারদের জন্য। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, রমজান উপলক্ষে আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি বস্তু দেয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী উম্মতদের দেয়া হয়নি। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মৃগনাভী থেকেও অধিক পছন্দনীয় এবং জলের মাছ রোজাদারের জন্য ইফতার পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে (মুসনাদে আহমদ, বায়হাকী)।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন। অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার, নাফরমানি করার পরও আল্লাহ তাআলা মানুষকে আলো-বাতাস তথা নিয়ামাত দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মানুষকে ভালোবাসেন বলেই কিভাবে ক্ষমা চাইলে তিনি বান্দাকে ক্ষমা করে দিবেন। তার অগণিত অসংখ্য দোয়া ও হিকমত শিখিয়েছেন। বিভিন্ন উপলক্ষে বিভিন্ন দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন। ক্ষমা লাভের এমনি একটি দোয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য তুলে ধরেছেন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ`ফুউউন; তুহিব্বুল আ`ফওয়া; ফা`ফু আ`ন্নি। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, মিশকাত)
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করাকে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে/আমাদিগকে ক্ষমা করে দিন।
এ দোয়াটিকে অনেকেই শবে কদরের রাতের দোয়া হিসেবে জানেন। কিন্তু প্রত্যেক রাতেই আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ক্ষমা লাভের আহ্বান করেন। সুতরাং আমরা এ দোয়াটির মাধ্যমে নিজেদের আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে গভীর রাতে ইবাদাত ও মোনাজাতে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করাকে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে/আমাদিগকে ক্ষমা করে দিন।
এ দোয়াটিকে অনেকেই শবে কদরের রাতের দোয়া হিসেবে জানেন। কিন্তু প্রত্যেক রাতেই আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ক্ষমা লাভের আহ্বান করেন। সুতরাং আমরা এ দোয়াটির মাধ্যমে নিজেদের আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে গভীর রাতে ইবাদাত ও মোনাজাতে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি।
ক্ষমা প্রার্থনার সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি হল
আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) ও মা হা’ওয়া
(আঃ) কে তাওবা করার জন্য স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা এই দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছিলেন।
এই দোয়ার মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআ’লা তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। আমাদের উচিত তাদের মতো আমাদের ক্ষমা প্রার্থনার জন্য নিয়মিত এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করা।
رَبَّنَا
ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ
الْخَاسِرِينَ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছি, অতএব আপনি যদি আমদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হব।
সুরা আল-আ’রাফ আয়াত ২৩।
ক্ষমা
লাভের আরেকটি দোয়া হল
ক্ষমা লাভ ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভে আল্লাহর শেখানো সে দোয়া হলো-
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৬)
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা (আপনার প্রতি) ঈমান এনেছি, সুতরাং আপনি আমাদের গোনাহ মাফ করে দেন এবং দোজখের আগুন থেকে হেফাজত করেন।’
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনুবানা ওয়াক্বিনা আজাবান্নার।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৬)
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা (আপনার প্রতি) ঈমান এনেছি, সুতরাং আপনি আমাদের গোনাহ মাফ করে দেন এবং দোজখের আগুন থেকে হেফাজত করেন।’
এই পৃথিবীতে বান্দা বুঝে কিংবা না বুঝে অনেক ভুল করে থাকে। সেসব ভুল বুঝতে পারলে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। মহান আল্লাহ্ তাআলা ক্ষমাশীল।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দোয়া পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতি হবে’।
اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ
وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ
مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ
فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ-
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
কোন মন্তব্য নেই