জিকিরের ফজিলত-এই লাশ যদি আমার হত তাহলে কতইনা ভাল হত
আল্লাহর জিকিরের ফজিলত
এই লাশ যদি আমার হত তাহলে কতইনা ভাল হত
video link
https://youtu.be/-3meVcIblxA
https://youtu.be/-3meVcIblxA
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন
وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي
نَفْسِكَ تَضَرُّعاً وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ
وَالآصَالِ وَلاَ تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ
আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না। [ সুরা আরাফ ৭:২০৫ ]
অতএব আমরা জিকির করব
কেঁদে কেঁদে নিচুস্বরে, ভীত হয়ে, সকালে সন্ধ্যায়।
কোরানের এ আয়াত দ্বারা
নিচুস্বরে জিকিরের কথা আসলেও কোন কোন হাদীস দ্বারা উঁচু আওয়াজে জিকিরের ফজিলতও
আমরা জানতে পারি যেমন
জোরে যিকিরকারীগণ আল্লাহ ও নবী (সাঃ) এর প্রিয় হয়ে থাকেন ।
عن
جابر بن عبد الله رض قال رأي ناس نارا في المقبرة فاتوها فاذا رسول الله صلي الله
عليه وسلم في القبر واذا هو يقول ناولوني صابحكم فاذا هوالرجل الذي كان يرفع صوته
بالذكر وفي البيهقي روينا عن أبي ذر رض ان ذلك كان ليلا وكان معه المصباح (أبو
داؤد شريف رقم الحديث ৩১৬৬ بيهقي شريف رقم الحديث৭১৬০, ৭২৯৬)
অর্থ : হযরত
জাবের (রা.) বলেন,
একবার সাহাবা কেরাম
(রা.) কবরস্থানে আলো
দেখতে পেলেন। কবরস্থানের কাছে গিয়ে তাঁরা
দেখলেন, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
একটি কবরের মধ্যে
নেমে বলছেন, তোমাদের
সাথীকে আমার কাছে
দাও। তখন জানতে
পারলাম, তিনি সেই
সাহাবী (রা.) যিনি
জোরে জোরে যিকির
করতেন। বায়কাহী শরীফে
আছে, হযরত আবু
যর (রা.) বলেন,
তখন রাত ছিল
তাই তাদের সাথে
বাতির আলো দেখা
গিয়েছিল।
(আবু
দাউদ শরীফ, হাদীস
নং ৩১৬৬, বায়হাকী
শরীফ, হাদীস নং
৭১৬০,৭২৯৬)
এ সাহাবী
জোরে জোরে যিকির
করতেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম নিজে তাঁকে
দাফন করার জন্য
কবরে নামলেন। এ
থেকে স্পষ্ট বুঝা
যায়, উচ্চ আওয়াজে
ও জোরে জোরে
যিকির করা শুধু
সুন্নত ইবাদত নয়
বরং তা বড়
ফজীলত পাওয়ারও মাধ্যম।
যেমন এ সাহাবী
(রা.) জোরে জোরে
ও উচ্চ আওয়াজে
যিকির করার বরকতে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের নিজ
হাতে দাফন হওয়ার
সৌভাগ্য লাভ করলেন।
হযরত জাবের (রা.)
বলেন, তিনি ঐ
সাহাবী (রা.) যিনি
জোরে জোরে ও
উচ্চস্বরে যিকির করতেন।
যে যিকির করার
কারণে তিনি স্বয়ং
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের পবিত্র
হাতে কবরে দাফন
হওয়ার সৌভাগ্য পেলেন।
জোরে জোরে যিকির
করার ফজীলত ও
বরকতময় আমল এর
চেয়ে আর কি
হতে পারে?
তাঁকে দাফন
করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বললেন, হে
আল্লাহ! আমি তাঁর
প্রতি সন্তুষ্ট আপনিও
তাঁর প্রতি রাজি-খুশী হয়ে
যান। হযরত ইবনে
মাসউদ (রা.) বলেন,
এই দৃশ্য দেখে
আমার মনে বড়
আশা হল, এই
লাশ যদি আমার
হত তাহলে কতইনা
ভাল হত। কতই
না আমি সৌভাগ্যবান হতাম।
মাশাআল্লাহ
উত্তরমুছুন