যে আমল করলে কবরে একবিন্দুও ভয় লাগবে না
প্রিয় দর্শক মন্ডলী আজ আমি এমন একটি
আমলের কথা বল যে আমলের অসংখ্য উপকারিতার মধ্যে একটি উপকারিতা হল কবরের উপকারিতা।এ
আমল আপনাকে কবরের ব্যপারে সম্পূণ রুপে নিশ্চিন্ত করে দিবে। আপনার মনে কবরের কোন ভয়
বাকি থাকবে না।কবরে যখন আপনাকে রেখে আপনার উপর মন মন টন টন মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া
হবে।যখন আপনি সম্পূর্ণরুপে অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকবেন।যেখানে আপনার কোন সাথী থাকবে
না। আমরা সাধারাণত দুনিয়ায় কোন হল ঘরে অনেক মানুষ থাকা সত্বেও হঠাৎ কারেন্ট চলে
গেলে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেলে ভয়ে কেঁপে উঠি, এসব ক্ষেত্রে মহিলারা আরো
বেশী ভীত হয়ে যান। আর কবর এমন এক গর্ত যেখানে একফোটাও আলো থাকবে না, সেখানে আসবেন
ভয়ংকর ২ জন ফেরেস্তা যারা কবরকে ছিরে ফেটে এক ভয়ানক রুপ নিয়ে আপনার সামনে হাজির
হবেন। এমন অবস্থায় আপনাকে একটি আমলই
সাহায্য করবে আসুন জেনে নিই সে আমলটি, মসনদে বাজ্জারের ৩য় খন্ডের ৫৬ নং হাদীস, উম্মুহাতুল মুমিনিন আয়শা ছিদ্দিকা (রাঃ) ফরমান, যে তিনি রসুলুল্লাহ (দঃ) এর কাছে প্রশ্ন করলেন, এয়া
রাসুলাল্লাহ (দঃ) আমি একজন ভিতু ও খুবই দুর্বল নারী, আমার খুব তাড়াতাড়ি ভয় লাগে,
যখন আমি মৃত্যু বরণ করব এবং কবরে যাব আর মুনকার নকীর কবরে আসবে তখন আমার কি অবস্থা
হবে? অথচ আমি সেখানে অন্ধকার কবরে একলা হব, সেখানে অত্যন্ত ভয়ংকর ছুরতে কর্কশ কন্ঠে মুনকার
নাকির প্রশ্ন করলে আমিতো ভয়ে কোন জবাবই দিতে পারব না, তখন নবী করিম (দঃ) আয়শা (রাঃ) এর প্রশ্নের জবাব
দিতে গিয়ে সুরা ইবরাহিমের ২৭ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন,
আমলের কথা বল যে আমলের অসংখ্য উপকারিতার মধ্যে একটি উপকারিতা হল কবরের উপকারিতা।এ
আমল আপনাকে কবরের ব্যপারে সম্পূণ রুপে নিশ্চিন্ত করে দিবে। আপনার মনে কবরের কোন ভয়
বাকি থাকবে না।কবরে যখন আপনাকে রেখে আপনার উপর মন মন টন টন মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া
হবে।যখন আপনি সম্পূর্ণরুপে অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকবেন।যেখানে আপনার কোন সাথী থাকবে
না। আমরা সাধারাণত দুনিয়ায় কোন হল ঘরে অনেক মানুষ থাকা সত্বেও হঠাৎ কারেন্ট চলে
গেলে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেলে ভয়ে কেঁপে উঠি, এসব ক্ষেত্রে মহিলারা আরো
বেশী ভীত হয়ে যান। আর কবর এমন এক গর্ত যেখানে একফোটাও আলো থাকবে না, সেখানে আসবেন
ভয়ংকর ২ জন ফেরেস্তা যারা কবরকে ছিরে ফেটে এক ভয়ানক রুপ নিয়ে আপনার সামনে হাজির
হবেন। এমন অবস্থায় আপনাকে একটি আমলই
সাহায্য করবে আসুন জেনে নিই সে আমলটি, মসনদে বাজ্জারের ৩য় খন্ডের ৫৬ নং হাদীস, উম্মুহাতুল মুমিনিন আয়শা ছিদ্দিকা (রাঃ) ফরমান, যে তিনি রসুলুল্লাহ (দঃ) এর কাছে প্রশ্ন করলেন, এয়া
রাসুলাল্লাহ (দঃ) আমি একজন ভিতু ও খুবই দুর্বল নারী, আমার খুব তাড়াতাড়ি ভয় লাগে,
যখন আমি মৃত্যু বরণ করব এবং কবরে যাব আর মুনকার নকীর কবরে আসবে তখন আমার কি অবস্থা
হবে? অথচ আমি সেখানে অন্ধকার কবরে একলা হব, সেখানে অত্যন্ত ভয়ংকর ছুরতে কর্কশ কন্ঠে মুনকার
নাকির প্রশ্ন করলে আমিতো ভয়ে কোন জবাবই দিতে পারব না, তখন নবী করিম (দঃ) আয়শা (রাঃ) এর প্রশ্নের জবাব
দিতে গিয়ে সুরা ইবরাহিমের ২৭ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন,
২৭ নং আয়াত তেলাওয়াত করেন يُثَبِّتُ اللّهُ الَّذِينَ آمَنُواْ بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ وَيُضِلُّ اللّهُ الظَّالِمِينَ وَيَفْعَلُ اللّهُ مَا يَشَاء আল্লাহ
তা'আলা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা মজবুত করেন। পার্থিবজীবনে এবং পরকালে। এবং আল্লাহ
জালেমদেরকে পথভ্রষ্ট করেন। আল্লাহ যা ইচ্ছা, তা করেন। [ সুরা ইবরাহীম ১৪:২৭ ] অথ্যাৎ
আল্লাহতায়ালা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাত অথ্যাৎ কবরে ও হাশরে
নির্ভয় করে দিবেন মজবুত করে দিবেন। আর মজবুত বাক্য কি? যে বাক্য দ্বারা মুমিনগন দুনিয়ায়
কবরে হাশরে নির্ভয় হয়ে যাবে মজবুত হয়ে যাবে? আর সে ব্যপারে আল্লাহর বানী সুরা ইবরাহিম
এর ২৪ নং আয়াত أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللّهُ مَثَلاً كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاء তুমি কি লক্ষ্য কর না, আল্লাহ তা'আলা কেমন উপমা বর্ণনা করেছেনঃ
পবিত্র বাক্য হলো পবিত্র বৃক্ষের মত। তার শিকড় মজবুত এবং শাখা আকাশে উত্থিত। [ সুরা
ইবরাহীম ১৪:২৪ ] সুতরাং ২৭ নং আয়াত দ্বারা নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেছেন একটি মজবুত
বাক্য মুমিনদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে মজবুত করে দিবেন, যে মুমিন এ মজবুত বাক্যের যথাযথ
আমল করেছে সে দুনিয়ায়ও নির্ভয় আখেরাত ও কবরে হাশরেও মজবুত। আর এ মজবুত বাক্যটি সম্পর্কে
সুরা ইবরাহিম এর ২৪ নং আয়াত দ্বারা পরিস্কার হয় যে সে মজবুত বাক্যটি হল কলমায়ে তাইয়্যাবা।
তা'আলা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা মজবুত করেন। পার্থিবজীবনে এবং পরকালে। এবং আল্লাহ
জালেমদেরকে পথভ্রষ্ট করেন। আল্লাহ যা ইচ্ছা, তা করেন। [ সুরা ইবরাহীম ১৪:২৭ ] অথ্যাৎ
আল্লাহতায়ালা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাত অথ্যাৎ কবরে ও হাশরে
নির্ভয় করে দিবেন মজবুত করে দিবেন। আর মজবুত বাক্য কি? যে বাক্য দ্বারা মুমিনগন দুনিয়ায়
কবরে হাশরে নির্ভয় হয়ে যাবে মজবুত হয়ে যাবে? আর সে ব্যপারে আল্লাহর বানী সুরা ইবরাহিম
এর ২৪ নং আয়াত أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللّهُ مَثَلاً كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاء তুমি কি লক্ষ্য কর না, আল্লাহ তা'আলা কেমন উপমা বর্ণনা করেছেনঃ
পবিত্র বাক্য হলো পবিত্র বৃক্ষের মত। তার শিকড় মজবুত এবং শাখা আকাশে উত্থিত। [ সুরা
ইবরাহীম ১৪:২৪ ] সুতরাং ২৭ নং আয়াত দ্বারা নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেছেন একটি মজবুত
বাক্য মুমিনদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে মজবুত করে দিবেন, যে মুমিন এ মজবুত বাক্যের যথাযথ
আমল করেছে সে দুনিয়ায়ও নির্ভয় আখেরাত ও কবরে হাশরেও মজবুত। আর এ মজবুত বাক্যটি সম্পর্কে
সুরা ইবরাহিম এর ২৪ নং আয়াত দ্বারা পরিস্কার হয় যে সে মজবুত বাক্যটি হল কলমায়ে তাইয়্যাবা।
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর
রাসুলুল্লাহ) আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর রাসুল।
রাসুলুল্লাহ) আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর রাসুল।
তবে যারা শুধু মুখে কলমা পড়েছে কিন্তু
কলমার যে তাকাজা তা পুরণ করেনি তারা কবরে মজবুত হতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা
আমাদেরকে বেশী বেশী কলমা পড়ার এবং সাথে সাথে কলমার হক তথা আল্লাহকে ইলাহ মানার সাথে সাথে আল্লাহর সকল
হকুম আহকাম পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন
কলমার যে তাকাজা তা পুরণ করেনি তারা কবরে মজবুত হতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা
আমাদেরকে বেশী বেশী কলমা পড়ার এবং সাথে সাথে কলমার হক তথা আল্লাহকে ইলাহ মানার সাথে সাথে আল্লাহর সকল
হকুম আহকাম পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন
কোন মন্তব্য নেই