পোষাকের ৬টি মারাত্মক গুনাহ ও হারাম কাজ বর্তমানে মামুলি মনে করা হয়







ছষ্ঠ ক্যাটাগরী: পোষাক ও প্রসাধনী সংক্রান্ত
১। পুরুষের জন্য টাখনুর নিচে
কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করা কবিরা গুনাহ, মুসলিম শরীফের হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন
৩ ধরনের মানুষের সাথে আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের প্রতি রহমতের
দৃষ্টিতে তাকাবেনও না, এবং তাদেরকে গুনাহ থেকে পাকও করবেন না তাদের জন্য ভয়ংকর আযাব
তারা হলেন (১) যারা নিজের পেন্ট লুঙ্গি পাজামা নিজের টাখনুর নিচে লটকিয়ে পরিধান করে,
(২) যারা কারো উপকার করে খোটা দেন (৩) মিথ্যা কসম বলে নিজের মাল বিক্রীকরে।
আজকাল কেহ যদি টাখনুর উপড়ে পেন্ট
পরিধান করে তাকে বলা হয় তুমি ছোট ভায়ের পেন্ট পরিধান করেছ কেন? এভাবে টিটকারী করে।
২। পুরুষের স্বর্ণ ও রেশমের কাপড়
পরিধান করাও হারাম। মসনদে আহমদের হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন আমার উম্মতের নারীদের
জন্য রেশন ও সোনা জায়েজ কিন্ত পুরুষের জন্য হারাম।
এক নওজোয়ান মসজিদে আসলেন হাতে
স্বর্ণের আংটি নবী করিম (দঃ) তাঁকে দেখে বললেন তুমি কি পছন্দ কর তোমার হাতে কেয়ামতের
দিন জাহান্নামের আগুনের আংটি পরিধান করানো হউক? সে বলল এয়া রাসুলাল্লাহ না আমি পছন্দ
করি না, তখন নবী (দঃ) বললেন তাহলে তুমি তোমার আঙ্গুলের সে স্বর্ণের আংটি খুলে ছুড়ে
ফেল, সে সাহাবী সাথে সাথে তা খুলে তা ছুড়ে ফেলে দিল। তখন একজন সাহাবী তাকে পরামর্শ
দিল তুমি তা উঠাও তোমার ঘরে স্ত্রী বা মা থাকলে তাদের দিয়ে দাও, তখন সে নওজোয়ান সাহাবী
জবাব দিল আমার নবী আমাকে বলেছেন ছুড়ে ফেলে দিতে আমি ছুড়ে ফেলে দিয়েছি আল্লাহর কসম তা
আমি কখনো আর নিব না।সাহাবাদের নবীর এতায়াত এমনই ছিল।
৩। নারীদের খুশবু ব্যবহার করা:
নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন ঐ নারী যানি (যেনাকারী) ঐ নারী যানি, ঐ নারী যানি, সাহাবা
প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহ কোন নারী যানি? নবী (দঃ) ফরমালেন সে নারী যানি যে খুশবু
ব্যবহার করে।
অপর হাদীসে আছে যে নারী সেন্ট
ব্যবহার করার পর যদি নাপাকির গোসলের মত গোসল করে না নেয় তাহলে আল্লাহ তার নামাজ কবুল
করেন না।
৪। নারীদের পাতলা ও টাইট কাপড়
পরিধান করা: নবী করিম (দঃ) বলেন আমি ২ প্রকারের জাহান্নামীকে দেখিনি তবে কেয়ামতের আগে
আগে তারা প্রকাশিত হবে (১) এমন নারী যারা কাপড় পরিধান করা সত্বেও উলঙ্গ থাকবে, তারা
পরকে নিজের দিকে আকৃষ্টকারী হবে, তাদের মাথা হবে উটের চোটের মত, আর তারা মানুষকে এট্রেক
করবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন না এমনকি জান্নাতের খুশবুও তাদের নসিব হবে না।(আজকাল
সে সময়টি আমরা পার করছি)
৫। চুলে কালো রং ব্যবহার করা:
মেহেদী লাগানো জায়েজ, মহানবী (দঃ) যখন মদিনায় গেলেন সেখানে দখেতে পেলেন ইহুদীরা চুলে
মেহেদী ব্যবহার করেন না, তখন নবী করিম (দঃ) এরশাদ করলেন তোমরা ইহুদীদের বিরোধীতা কর
তারা চুলে দাড়িতে মেহেদী ব্যবহার করে না সুতরাং তোমরা চুলে রং ব্যবহার কর তবে কালো
রং থেকে বেঁচে থাকবে।
মেহেদীর রং কখনো কলো হয়না অথচ
মুসলমানদেরকে ধোকা দেয়ার জন্য এখন মেহেদীর নাম রাখা হয়েছে কালি মেহেদী।
৬। নকল চুল ব্যবহার করা: এটাও
এখন স্বাভাবিক ব্যপার অথচ মুসলিম শরীফের হাদীস- একদিন এক মহিলা নবী (দঃ) এর কাছে এসে
আরয করলেন এয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) আমার মেয়ের মাথার সব চুল অসুস্থতার কারনে ঝড়ে গেছে
এখন তার বিয়ে সাদী দিতে হবে তাই আমি কি তার মাথায় আলগা চুল লাগাতে পারব? তখন নবী করিম
(দঃ) এরশাদ করলেন হে নারী আল্লাহ তায়ালা নকল চুল যারা লাগায় তাদের উপর লানত করেন সুতরাং
আমি তোমাকে নকল চুল লাগানোর অনুমতি দিতে পারি না।
এখানে দেখুন একজন নারীর জন্য
চুল খুবই জরুরী তারপরও নবী (দঃ) অনুমতি দেননি সেখানে একজন পুরুষের জন্য নকল চুল লাগানোর
অনুমতির প্রশ্নই উঠে না।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.