আযব দুনিয়া। ৩০টি হারাম না জায়েজ ও গুনাহের কাজ আজকাল হালাল কেন? Halal Haram







এমন কিছু নাজায়েজ
কিংবা গুনাহের কাজ অথবা হারাম কাজ যা আজকাল আমরা জায়েজ মনে করি গুনাহ মনে করি না হালাল
মনে করি সে ধরনের ৩০ টি নাজায়েজ হারাম বা গুনাহের কাজের সাথে আজ আমি আপনাদের সাথে পরিচয়
করিয়ে দিব
১। বেগানা নারী
পুরুষের সাথে হাত মিলানো।অথচ ইসলামে
নারী ও পুরুষ একে অপরের সাথে
হাত মিলানো থেকে মাথায় পেরাক ঠোকাকে উত্তম বলে ঘোষনা করা হয়েছে।
২।অশুভ লক্ষণে আকিদা রাখা। যেমন ঘর থেকে বের হওয়ার সময় হুছট
খেল মনে করল এটা অশুভ লক্ষন অথচ ইসলামে এধরনের কোন বিশ্বাস বা আকিদাকে সমর্থন করে না।
৩।গনকের গননা, রাশিফল ইত্যাদি
বিশ্বাস করা। মসনদে আহমদের হাদীস- নবী আকরাম (দঃ) এরশাদ করেন (মান আতা কাহেনান ফাসাদ্দাকাহু
বিমা এয়াকুলু ফাকাদ কাফারা বিমা উনজিলা আলা মুহাম্মদ) অর্থ্যাৎ যে কোন গনকের কাছে গেল
আর সে যা বলে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করল তাহলে সে যা মুহাম্মদ (দঃ) এর উপর নাযিল হয়েছে
তাকে মিথ্যা বলেছে কুফুরি করেছে।
৪।গুনাহ করে তওবা না করা, আল্লাহ
গুনাহ মাফ করবেনা বলে ধারনা করা, অথচ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন (লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ
ইন্নাল্লাহা এয়াগফিরুজ্জুনুবা) অথ্যাৎ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইওনা, নিশ্চয়ই
আল্লাহ পাপসমুহ ক্ষমা করবেন।
৫।আল্লাহর কাছে দোয়া করাকে গুনাহ
মনে করা এটাও একটি বড় গুনাহ, অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন (উদউনি আসতাজিবলাকুম) আমার কাছে
দোয়া কর আমি জবাব দিব।
৬।বান্দা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো
নামে কসম করা।মাথা ছুয়ে কসম, সন্তানের কসম, মায়ের কসম, বাবার কসম এসব গুনাহে লিপ্ত
অথচ প্রিয় নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন (মান হালাফা বি গাইরিল্লাহে ফাকাদ আশরাক) যে আল্লাহ
ছাড়া অন্য কারো কসম খেল সে শিরিক করল।
৭।বাজনা ও অশ্লিল গান শুনা হারাম
অথচ এখন এ কাজটি সহসা কেহ হারাম মানতে রাজি না।
৮। লুকিয়ে লুকিয়ে কারো কথা শুনা।নবী
করিম (দঃ) এরশাদ করে যদি কেহ কারো কথা লুকিয়ে লুকিয়ে শ্রবন করে কেয়ামতের দিন তার কানে
গলিত শিশা ঢালা হবে।
৯।গীবত, বোহতান ও চুগলি করা অনেক
বড় গুনাহ। অথচ আজকাল এসব ছাড়া কোন আড্ডাই জমে না।
১০।মিথ্যা বলা, মিথ্যা মানুষকে
ধ্বংস করে কিন্তু আজকাল সব ক্ষেত্রেই মিথ্যার ছড়াছড়ি।
১১।নকল চুল বা পরচুলা ব্যবহার
করা
১২।চুলে কালো রং বা কালি ব্যবহার
করা। তবে মেহেদী ব্যবহার করা যায়েজ।
১৩।নারীরা পাতলা ও বডি ফিটিং
কাপড় পরিধান করা।
১৪।নারীরা খুশবু বা সেন্ট ব্যবহার
করে ঘরের বাহিরে অনুষ্ঠানে, বাজারে যাওয়া, তবে শুধু ঘরে স্বামীর জন্য নারীরা খুশবু
ব্যবহার করতে পারবে।
১৫।পুরুষ মানুষ স্বর্ণ ও রেশমের
কাপড় ব্যবহার করা
১৬।পুরুষের টাখনুর নিচে কাপড়
ছুলিয়ে পরিধান করা
১৭।হারাম রোজগার করা, সুদ, ঘুষ,
চুরি, প্রতারনা, ধোকা, মিথ্যার মাধ্যমে উপার্জন করা
১৮।কারো কাছ থেকে কর্জ নিয়ে তা
আর ফেরত না দেয়া। মসনদে আহমদের হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন যারা কর্জ নেয় কিন্তু
তা পরিশোধ করার নিয়ত নাই তারা হলেন ডাকাত।
১৯।কর্মচারীদের বেতন সময়মত না
দেয়া। কাজ করিয়ে বেতন বাকী রাখা।
২০।জুমার দিন আযানের পরও ব্যবসা
করা, কেনা বেঁচা করা।
২১। বিক্রীর সময় মালের দোষ ত্রুটি
ক্রেতার কাছে গোপন করা।
২২।ব্যবসার মধ্যে সুদের টাকা
ইনভেস্ট করে হালাল ব্যবসাকে হারাম করে ফেলা
২৩।স্ত্রী স্বামীর কাছে কোন শরীয়ী
কারন ছাড়া তালাক ডিমান্ড করা।সহিহ জামে সগিরের হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন বিনা
কারনে বিনা ওজরে খোলা তালাক গ্রহণকারীনি নারী এ উম্মতের মুনাফেক।
২৪।স্বামীর ডাকে স্ত্রী সাড়া
না দেয়া, হাদীসে আছে- স্বামী স্ত্রীকে ডাকল স্ত্রী সাড়া দিল না আর স্বামী স্ত্রীর উপর
অসন্তুষ্ট অবস্থায় ঘুমিয়ে গেল তখন সে স্ত্রীর উপর সারা রাত ফেরেশতা লানত দিতে থাকে।
২৫।লুত (আঃ) এর জাতীর যে কু অভ্যাস
ছিল পুরুষ পুরুষের সাথে সম্পর্ক এমনতর গুনাহে লিপ্ত হওয়া।
২৬।জেনা- এ জেনার ব্যপারে আল্লাহ
তায়ালা সুরা বনি ইসরাইলের ৩২ নং আয়াতে এরশাদ করেন (ওয়ালা তাকরাবুজ্জিনা ইন্নাহু কানা
ফাহিশাতাও ওয়া ছায়া সাবিলা) খবরদার জেনার নিকটেও যেও না এটা অনেক বড় নির্লজ্জতা,।
২৭। দুর্গন্ধ যুক্ত খাবার যেমন
সিগারেট, পিয়াজ, রসুন খেয়ে মসজিদে আসা।মুসলিম শরীফের হাদীস নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন
যে ব্যক্তি পিয়াজ রসুন খেল সে যেন আমার মসজিদের নিকটেও না আসে।
২৮। এত ছোট টি শার্ট পরিধান করে
নামাজ পড়া সিজদায় গেলে পিছনের সতর খুলে যায়।
২৯।ইমামের আগে আগে রুকু সিজদা
করা
৩০।নামাজে চুরি করা।মসনদে আহমদের
হাদীস- যার মফহুম হল -নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন সবচেয়ে বড় চুরি হল নামাজের চুরি, সাহাবাগন
প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহ নামাজের চুরি কি? নবীজি উত্তর দিলেন ধীরস্থীরভাবে নামাজ
না পড়া, রুকু থেকে সোজা না হওয়া, ২ সিজদার মাঝে সোজা না বসা মোট কথা অতি দ্রুত তাড়াহুড়া
করে নামাজ পড়াকে প্রিয় নবীজি নামাজের চুরি বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আল্লাহ আমাদেরকে এসব ভুল কাজ
করা থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন




কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.