১ মিনিটের আমল। এক মিনিটে ৩০ ধরনের আমল করা যায়।
এক মিনিটে আপনি কি কি আমল করতে পারেন
১ মিনিটের ৩০ প্রকারের আমল
এক মিনিটে এমন অসংখ্য আমল আছে যে গুলির বিশাল
সাওয়াব ও ফজিলত রয়েছে, সে ধরনের কোরান ও হাদীস ভিত্তিক ৩০টি আমলের তালিকা আজ আমি
আপনাদের সামনে পেশ করব ইনশা আল্লাহ।
সাওয়াব ও ফজিলত রয়েছে, সে ধরনের কোরান ও হাদীস ভিত্তিক ৩০টি আমলের তালিকা আজ আমি
আপনাদের সামনে পেশ করব ইনশা আল্লাহ।
(১) এক মিনিটে সুরা যিলযাল ২
বার পড়ে সম্পূর্ণ কুরান পাঠ করার সাওয়াব অর্জন রকতে পারেন, নবী করিম (দঃ) এরশাদ
করেন এ সুরা ১ বার পড়লে কুরানের অর্ধেক পাঠ করার সাওয়াব পাওয়া যায়। (শুয়াবুল
ঈমান-২৪৯৭)
বার পড়ে সম্পূর্ণ কুরান পাঠ করার সাওয়াব অর্জন রকতে পারেন, নবী করিম (দঃ) এরশাদ
করেন এ সুরা ১ বার পড়লে কুরানের অর্ধেক পাঠ করার সাওয়াব পাওয়া যায়। (শুয়াবুল
ঈমান-২৪৯৭)
(২) ১ মিনিটে সুরা আদিয়াত ২ বার পড়ে
সম্পূর্ণ কুরান পাঠ করার সাওয়াব কামাই করতে পারেন।নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এ সুরা
১ বার পড়লে কুরানের অর্ধেক পাঠ করার সাওয়াব পাওয়া যায়।(তিরমিযি-২৮৯৪)
সম্পূর্ণ কুরান পাঠ করার সাওয়াব কামাই করতে পারেন।নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এ সুরা
১ বার পড়লে কুরানের অর্ধেক পাঠ করার সাওয়াব পাওয়া যায়।(তিরমিযি-২৮৯৪)
(৩)১ মিনিটে সুরা তাকাছুর ১ বার পড়লে ১
হাজার আয়াত পড়ার সাওয়াব কামাই করতে পারেন। নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এই সুরা পড়লে
১০০০ আয়াতের সাওয়াব পাবে। (হাকেম ২০৮১)
হাজার আয়াত পড়ার সাওয়াব কামাই করতে পারেন। নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এই সুরা পড়লে
১০০০ আয়াতের সাওয়াব পাবে। (হাকেম ২০৮১)
৪) ১মিনিটে সুরা কাফেরুন ৪ বার পড়ে ১
বার কুরান পড়ার সওয়াব অর্জন করতে পারবেন। নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এ সুরা পাঠ
করলে কুরানের এক চতুর্থাংশের সাওয়াব পাওয়া যায়।(তিরমিযি-২৮৯৪)
বার কুরান পড়ার সওয়াব অর্জন করতে পারবেন। নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এ সুরা পাঠ
করলে কুরানের এক চতুর্থাংশের সাওয়াব পাওয়া যায়।(তিরমিযি-২৮৯৪)
৫) ১মিনিটে সুরা নসর ৪ বার পড়ে ১ বার
কুরান পড়ার সাওয়াব অর্জন করতে পারবেন।নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এ সুরা পাঠ করলে
কুরানের এক চতুর্থাংশের সাওয়াব পাওয়া যায়।(তিরমিযি-২৮৯৫)
কুরান পড়ার সাওয়াব অর্জন করতে পারবেন।নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এ সুরা পাঠ করলে
কুরানের এক চতুর্থাংশের সাওয়াব পাওয়া যায়।(তিরমিযি-২৮৯৫)
(৬) এক মিনিটে আপনি সূরা ইখলাস (ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ) ৩বার পড়তে পারেন। এই সূরা একবার পাঠ করলে কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
(তিরমিযি-২৮৯৫) তাই আপনি যদি এ সূরাটি ৩ বার পাঠ করেন তবে তা ১ বার কুরআন পড়ার সমতুল্য। অতএব আপনি যদি এ সূরাটি প্রতিদিন এক মিনিটে ৩ বার পাঠ করেন তবে মাসে আপনার ৩০ বার পাঠ করা হয় এবং বছরে ৩৬৫ বার পাঠ করা হয়।
(তিরমিযি-২৮৯৫) তাই আপনি যদি এ সূরাটি ৩ বার পাঠ করেন তবে তা ১ বার কুরআন পড়ার সমতুল্য। অতএব আপনি যদি এ সূরাটি প্রতিদিন এক মিনিটে ৩ বার পাঠ করেন তবে মাসে আপনার ৩০ বার পাঠ করা হয় এবং বছরে ৩৬৫ বার পাঠ করা হয়।
(৭) এক মিনিটে আপনি পবিত্র কুরানের এক পৃষ্ঠা পাঠ করতে পারেন।
(৮) এক মিনিটে আপনি কুরানুল কারিমের ছোট একটি আয়াত মুখস্থ করতে পারেন।
(৯) এক মিনিটে আপনি এ দোয়াটি ১০ বার পড়তে পারেন।
لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا
شَرِيكَ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
شَرِيكَ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
এর সওয়াব ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ৮ জন দাসকে আল্লাহর ওয়াস্তে মুক্ত করার সমান।
(১০) এক মিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِه) ১০০ বার পড়তে পারেন। যে ব্যক্তি একদিনে এই দোয়াটি ১০০ বার পড়ে তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়; যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয় না কেন।
(১১) এক মিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، ) ও (سُبْحَانَ اللهِ
الْعَظِيمِ) ৫০ বার পড়তে পারেন। এ দুটি এমন বাক্য যা পড়তে খুব সহজ; আমলের পাল্লাতে অনেক ভারী হবে; রহমানের নিকটে অতি প্রিয়; যেমনটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম।
الْعَظِيمِ) ৫০ বার পড়তে পারেন। এ দুটি এমন বাক্য যা পড়তে খুব সহজ; আমলের পাল্লাতে অনেক ভারী হবে; রহমানের নিকটে অতি প্রিয়; যেমনটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম।
(১২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সুব্হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আক্বার পাঠ করা যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার নিকট অধিক প্রিয়।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম (২৬৯৫)]আপনি এক মিনিটে বাক্যগুলো ১৮ বারের বেশি পড়তে পারেন। এ বাক্যগুলো আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়। এগুলো সর্বোত্তম কথা এবং আমলের পাল্লাতে এগুলোর ওজন অনেক বেশি হবে। যেমনটি এ মর্মে বর্ণিত সহীহ হাদিসসমূহে এসেছে ।
(১৩) এক মিনিটে আপনি (لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ) (অর্থ- কোন উপায়-সামর্থ্য নেই, কোন শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) ৪০ বারের বেশি পড়তে পারেন। এ বাক্যটির সওয়াব জান্নাতের জন্য সঞ্চিত অমূল্য রত্ন; যেমনটি বর্ণিত হয়েছে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে। একই ভাবে এ জিকিরটি করলে কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বহন ও কঠিন কাজসমূহ আঞ্জাম দেয়ার সহজ হয়ে যায়।।
(১৪) এক মিনিটে আপনি (لاَ إِلَهَ إِلاَّ الله) (অর্থ- আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই) প্রায় ৫০ বার পড়তে পারেন। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য ও তাওহীদের বাণী। এটি কালিমায়ে তাইয়্যেবা (উত্তম বাণী) ও সুদৃঢ় বাক্য। যে ব্যক্তির শেষ কথা হবে এই বাক্য তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। এছাড়াও এর ফজিলত ও মর্যাদার ব্যাপারে আরও অনেক বর্ণনা রয়েছে।
(১৫) এক মিনিটে আপনি (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ،
وَرِضَى نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ) (আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমান, তাঁর সন্তুষ্টির সমান, তাঁর আরশের ওজনের সমান, তাঁর বাক্যমালার কালির সমান) এ দোয়াটি ১৫ বারের বেশি পড়তে পারেন। সাধারণ তাসবীহ ও যিকিরের চেয়ে এ দোয়াটি পাঠ করার সওয়াব অনেকগুণ বেশি যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে সহীহ হাদিসে সাব্যস্ত হয়েছে।
وَرِضَى نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ) (আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমান, তাঁর সন্তুষ্টির সমান, তাঁর আরশের ওজনের সমান, তাঁর বাক্যমালার কালির সমান) এ দোয়াটি ১৫ বারের বেশি পড়তে পারেন। সাধারণ তাসবীহ ও যিকিরের চেয়ে এ দোয়াটি পাঠ করার সওয়াব অনেকগুণ বেশি যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে সহীহ হাদিসে সাব্যস্ত হয়েছে।
(১৬) এক মিনিটে আপনি আল্লাহর কাছে ১০০ বারের বেশি ইসতিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন তথা (أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ) পড়তে পারেন। এর ফজিলত আপনার অজানা নয়। এটি ক্ষমা প্রাপ্তি ও জান্নাতে প্রবেশের উপায়। এটি সুখময় জীবন, শক্তি বৃদ্ধি, বিপদ-আপদ রোধ, সকল কাজ সহজীকরণ, বৃষ্টি বর্ষণ, সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধির মহৌষধ।
(১৭)
প্রত্যেক নামাজের পর ১ মিনিটে একবার আয়াতুল কুরসি পাঠ করে জান্নাতে ঠিকানা পাকা
করে নিতে পারেন। এবং শয়নকালে পাঠ করে শয়তান ও জীন থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন।
(তিরমিযি)
প্রত্যেক নামাজের পর ১ মিনিটে একবার আয়াতুল কুরসি পাঠ করে জান্নাতে ঠিকানা পাকা
করে নিতে পারেন। এবং শয়নকালে পাঠ করে শয়তান ও জীন থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন।
(তিরমিযি)
(১৮) এক মিনিটে আপনি সংক্ষেপে কিছু কথা বলতে পারেন যা দ্বারা আল্লাহ হয়ত এমন কোন কল্যাণের পথ খুলে দিবেন যা আপনি ভাবতেও পারেননি।
(১৯) এক মিনিটে আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর ৫০ বার দরূদ পাঠ করতে পারেন। শুধু পড়বেন “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। এর প্রতিদানে আল্লাহ আপনার উপর ৫০০ বার সালাত (রহমত) পাঠাবেন। কারণ একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ ১০ বার এর প্রতিদান দেন।
(২০) এক মিনিটে আপনার মন আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, তাঁর ভালবাসা, তাঁর ভয়, তাঁর প্রতি আশা এবং তাঁর প্রেমে উদ্বেল হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি উবূদিয়্যাহ্ (আল্লাহর দাসত্ব) এর স্তরসমূহ অতিক্রম করতে পারেন; হতে পারে সে সময় আপনি হয়ত আপনার বিছানায় শুয়ে আছেন অথবা কোন পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছেন।
(২১) এক মিনিটে আপনি সহজবোধ্য উপকারী কোনো বইয়ের দুই পৃষ্ঠার বেশি পড়তে পারেন।
(২২) এক মিনিটের টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি ‘সিলাতুর রাহেম’ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করতে পারেন।
(২৩) এক মিনিটে আপনি দুই হাত তুলে ব্যাপক অর্থবোধক দোয়াগুলো হতে পছন্দমত যে কোন দোয়া করতে পারেন।
(২৪) এক মিনিটে আপনি কয়েকজন ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারেন ও তাদের সাথে মুসাফাহা করতে পারেন।
(২৫) এক মিনিটে আপনি কোন ব্যক্তিকে একটি মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করতে পারেন।
(২৬) এক মিনিটে আপনি একটি ভাল কাজের আদেশ করতে পারেন।
(২৭) এক মিনিটে আপনি একজন ভাইকে নসিহত করতে পারেন।
(২৮) এক মিনিটে আপনি একজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষকে সান্ত্বনা দিতে পারেন।
(২৯) এক মিনিটে আপনি পথ থেকে ক্ষতিকর কোন বস্তু অপসারণ করতে পারেন।
(৩০) এই এক মিনিটের সদ্ব্যবহার অবহেলায় কাটানো বাকি সময়গুলোর সদ্ব্যবহার করার অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করতে পারে।
জেনে রাখুন, এই আমলগুলোর বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না। এগুলোর জন্য আপনার পবিত্রতার প্রয়োজন নেই, ক্লান্তি বা কায়িক শ্রম নেই। বরং আপনি এ আমলগুলো করতে পারেন যখন আপনি পায়ে হেঁটে চলছেন অথবা গাড়িতে চড়ে কোথাও যাচ্ছেন অথবা শুয়ে আছেন অথবা দাঁড়িয়ে আছেন অথবা বসে আছেন অথবা কারও জন্য অপেক্ষা করছেন।
একইভাবে এ আমলগুলো সুখী হওয়ার উপকরণ, আত্মপ্রশান্তির মাধ্যম, চিন্তা ও দুঃশ্চিন্তা দূর করার উপায়। আল্লাহ আমাদেরকে ও আপনাদেরকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার তাওফিক দিন। আমাদের নবীর প্রতি আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।
কোন মন্তব্য নেই