আল্লাহর দরবারে আপনার আপনার রেজাল্ট কি জিপিএ-৫? জানার সহজ উপায়।
আল্লাহর দরবারে আপনার আপনার রেজাল্ট কি জিপিএ-৫? জানার সহজ উপায়।
আজকাল রেজাল্ট পাবলিষ্ট হয়ে গেলে আর স্কুল কলেজে গিয়ে নোটিশ বোর্ডের সামনে ভির করতে হয় না, মোবাইল থাকলে আর তাতে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রেজাল্ট জানা সম্ভব। তেমনি ভাবে এ্যাপস ইনস্টল থাকলে আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে জানা যায় ব্যাংকে কত টাকা জমা আছে। এখন আপনি যদি জানতে চান যে আল্লাহর দরবারে আপনার মকাম কতটুকু, আপনার কাজের রেজাল্ট আল্লাহর দরবারে কতটুকু? আপনি কি আল্লাহর বারেগাহে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নাকি জিপিএ-এফ সেটাও আপনি জানতে পারেন। রসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন (মান আরাদা আন এয়ালাম মালাহু ইনদাল্লাহ ফাল এয়ানজুর মা লিল্লাহি ইনদা)
( مَنْ أَرَادَ أَنْ يَعْلَمْ مَالَهُ عِنْدَ اللهِ؛ فَلَيَنْظُرْ مَاللهِ عِنْدَهُ )
''যে ব্যক্তি জানতে চায় তার মকাম মর্যাদা বা স্থান আল্লাহর কাছে কতটুকু তাহলে সে যেন দেখে তার অন্তরে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য কতটুকু''
আজকাল রেজাল্ট পাবলিষ্ট হয়ে গেলে আর স্কুল কলেজে গিয়ে নোটিশ বোর্ডের সামনে ভির করতে হয় না, মোবাইল থাকলে আর তাতে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রেজাল্ট জানা সম্ভব। তেমনি ভাবে এ্যাপস ইনস্টল থাকলে আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে জানা যায় ব্যাংকে কত টাকা জমা আছে। এখন আপনি যদি জানতে চান যে আল্লাহর দরবারে আপনার মকাম কতটুকু, আপনার কাজের রেজাল্ট আল্লাহর দরবারে কতটুকু? আপনি কি আল্লাহর বারেগাহে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নাকি জিপিএ-এফ সেটাও আপনি জানতে পারেন। রসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন (মান আরাদা আন এয়ালাম মালাহু ইনদাল্লাহ ফাল এয়ানজুর মা লিল্লাহি ইনদা)
( مَنْ أَرَادَ أَنْ يَعْلَمْ مَالَهُ عِنْدَ اللهِ؛ فَلَيَنْظُرْ مَاللهِ عِنْدَهُ )
''যে ব্যক্তি জানতে চায় তার মকাম মর্যাদা বা স্থান আল্লাহর কাছে কতটুকু তাহলে সে যেন দেখে তার অন্তরে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য কতটুকু''
তাকে প্রশ্ন কর সে তাঁর প্রভুর ফয়সালায় কতটুকু রাজি বা সন্তুষ্ট?
আপনার সন্তান নাই সে জন্য কি আপনি আল্লাহর উপর অসন্তুষ্ট?
আপনার সন্তান অকালে মৃত্যু বরণ করেছে সে জন্য কি আপনি আল্লাহকে দোষারোপ করেছেন?
আপনি অভাবে দিন কাটাচ্ছেন সে জন্য কি আপনি আল্লাহর এবাদতে অবহেলা করছেন?
যদি আপনি অভাবে থাকেন সেটা আল্লাহর ফয়সালা, আর তাতেই যদি আপনি ধৈর্য্যধারন করতে পারেন, আরো বেশী বেশী আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে পারেন, তাহলেই বুঝা যাবে আপনি আল্লাহর ফয়সালায় রাজি, তাহলেই বুঝা যাবে আপনার মকাম আল্লাহর কাছে অনেক উর্ধে। আর যদি আপনি আপনার অভাবের কারনে জিদ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হন, আল্লাহর এবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে বুঝবেন আপনার মকাম আল্লাহর বারেগাহে সবচেয়ে নিচু স্থানে।
যদি এ দলিল বুঝে না আসে তাহলে ১টি ঘটনা মিলিয়ে নিন।
এক মহিলা ৪১ বছর পর্যন্ত টাকা পয়সা জমা করে আসছে ওমরাহ করার জন্য। এ ঘটনা আজ থেকে ১১ বছর পূর্বের ঘটনা, এ ঘটনা ইন্ডিয়ায় সংগঠিত হয়েছে, ৪২ বছরের মাথায় যখন সে তার ইচ্ছায় সফল হল যখন সে জেদ্দা এয়ারপের্টে নামল, এতটাই সে আবেগে আপ্লুতু ছিল যে তার দু চোখ দিয়ে খুশিতে পানি ঝরছিল, সে খুশিতে এয়ারপেোর্টে নেমেই শোকরানা আদায় করতে সিজদায় অবনত হল আর সে সেজদারত অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়ে গেল। ইন্নালিল্লাহ।
এখানে যারা শুনছেন তারা সকলে শোকরিয়া আদায় করা দরকার, আল্লাহ আপনাকে অসংখ্যবার ওমরাহ করার তৌফিক দিয়েছেন, আবার যারা সামর্থ্য রাখেন কিন্তু হজ্ব ও ওমরাহ করেন না তাদের উচিত আজই নিয়ত করে নেয়া।
হজ্বে বিদার সময় লক্ষ লক্ষ সাহাবী ছিল, কিন্তু ২০ হাজার সাহাবীর মাজার মক্কা মদীনায় পাওয়া যায় বাকীরা কোথায় গেল? বাকীরা সকলেই ইসলাম প্রচারের জন্য সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছেন, আল্লাহ দ্বীনের জন্য উনারা নিজ বাসস্থান ছেড়েছেন, আরাম আয়েশকে কুরবান দিয়েছেন।
আগের যুগের মুসলমানদেরতো কাফেররা মাথা থেকে পা পর্যন্ত আরা দিয়ে চিরে রেখে দিয়েছে, জলন্ত অগ্নিতে জ্বালিয়েছে, উত্তপ্ত গরম তেলের ডেক্সিতে নিক্ষেপ করেছে, সে হিসেবে আমাদের কিই বা কষ্ট? তবুও কেন আজ আমরা আল্লাহকে ভুলে বসে আছি? কেন আজ আমরা আল্লাহর এবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি? কারন আমাদের মকাম আল্লাহর কাছে উর্ধে নয়, যদি আমরা শত কষ্টে, দুঃখেও ধৈর্য্যধারন করে আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকতে পারতাম তাহলে অবশ্যই অবশ্যই বুঝতে পারতাম আমাদের মকাম আল্লাহর কাছে অনেক উর্ধে, আল্লাহর দরবারে আমাদের স্থান একেবারে টপ লেবেলে রয়েছে।
আপনার সন্তান অকালে মৃত্যু বরণ করেছে সে জন্য কি আপনি আল্লাহকে দোষারোপ করেছেন?
আপনি অভাবে দিন কাটাচ্ছেন সে জন্য কি আপনি আল্লাহর এবাদতে অবহেলা করছেন?
যদি আপনি অভাবে থাকেন সেটা আল্লাহর ফয়সালা, আর তাতেই যদি আপনি ধৈর্য্যধারন করতে পারেন, আরো বেশী বেশী আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে পারেন, তাহলেই বুঝা যাবে আপনি আল্লাহর ফয়সালায় রাজি, তাহলেই বুঝা যাবে আপনার মকাম আল্লাহর কাছে অনেক উর্ধে। আর যদি আপনি আপনার অভাবের কারনে জিদ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হন, আল্লাহর এবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে বুঝবেন আপনার মকাম আল্লাহর বারেগাহে সবচেয়ে নিচু স্থানে।
যদি এ দলিল বুঝে না আসে তাহলে ১টি ঘটনা মিলিয়ে নিন।
এক মহিলা ৪১ বছর পর্যন্ত টাকা পয়সা জমা করে আসছে ওমরাহ করার জন্য। এ ঘটনা আজ থেকে ১১ বছর পূর্বের ঘটনা, এ ঘটনা ইন্ডিয়ায় সংগঠিত হয়েছে, ৪২ বছরের মাথায় যখন সে তার ইচ্ছায় সফল হল যখন সে জেদ্দা এয়ারপের্টে নামল, এতটাই সে আবেগে আপ্লুতু ছিল যে তার দু চোখ দিয়ে খুশিতে পানি ঝরছিল, সে খুশিতে এয়ারপেোর্টে নেমেই শোকরানা আদায় করতে সিজদায় অবনত হল আর সে সেজদারত অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়ে গেল। ইন্নালিল্লাহ।
এখানে যারা শুনছেন তারা সকলে শোকরিয়া আদায় করা দরকার, আল্লাহ আপনাকে অসংখ্যবার ওমরাহ করার তৌফিক দিয়েছেন, আবার যারা সামর্থ্য রাখেন কিন্তু হজ্ব ও ওমরাহ করেন না তাদের উচিত আজই নিয়ত করে নেয়া।
হজ্বে বিদার সময় লক্ষ লক্ষ সাহাবী ছিল, কিন্তু ২০ হাজার সাহাবীর মাজার মক্কা মদীনায় পাওয়া যায় বাকীরা কোথায় গেল? বাকীরা সকলেই ইসলাম প্রচারের জন্য সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছেন, আল্লাহ দ্বীনের জন্য উনারা নিজ বাসস্থান ছেড়েছেন, আরাম আয়েশকে কুরবান দিয়েছেন।
আগের যুগের মুসলমানদেরতো কাফেররা মাথা থেকে পা পর্যন্ত আরা দিয়ে চিরে রেখে দিয়েছে, জলন্ত অগ্নিতে জ্বালিয়েছে, উত্তপ্ত গরম তেলের ডেক্সিতে নিক্ষেপ করেছে, সে হিসেবে আমাদের কিই বা কষ্ট? তবুও কেন আজ আমরা আল্লাহকে ভুলে বসে আছি? কেন আজ আমরা আল্লাহর এবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি? কারন আমাদের মকাম আল্লাহর কাছে উর্ধে নয়, যদি আমরা শত কষ্টে, দুঃখেও ধৈর্য্যধারন করে আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকতে পারতাম তাহলে অবশ্যই অবশ্যই বুঝতে পারতাম আমাদের মকাম আল্লাহর কাছে অনেক উর্ধে, আল্লাহর দরবারে আমাদের স্থান একেবারে টপ লেবেলে রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই