তাহাজ্জুদ নামাজের উপকারীতা। Benefits of Tahajjud Prayers







তাহাজ্জুদ নামাজ দিয়ে কেন্সার রোগের চিকিৎসা
নামাজের উপকারিতা
কি শুধুই আখেরাতেই? নয় নয়, আল্লাহ তায়ালা
এর উপকারিতা দুনিয়াতেও রেখেছেন আজ যে সব এক্সেসাইজ হয় তা একটু করে চেক করে দেখবেন যা সায়েন্স এবং ফিজিশিয়ানরা নতুন নতুন আবিস্কার করছেন যার প্রতিটি নামাজের ভিতর পাওয়া যায়
বিশ্বনবীর (দঃ) ফরমান কতইনা মধুর (আলাইকুম বিকিয়ামিল লাইল, ফাইন্নাহু দাবুস ছোয়ালিহিনা কাবলাকুম, ওয়াহিয়া কুরবাতুন ইলা রাব্বিকুম, ওয়া মুকাফফিরু লিস সায়্যিআত, ওয়ামানহা তুল লিল আছান, ওয়া মাতরাদাতুন লিদ্দাঈ আনিল জাসাদ)
রাতের তাহাজ্জুদ
পড়া শুরু করুন, এটি আগেকার নেক লোকদের আমল, এটি গুনাহসমুহকে
ধুয়ে মুছে সাফ করে দেয় বরং মানুষের মাঝে এমন শক্তি আসে যার ফলে গুনাহ থেকে মানুষ বেঁচে যায় 
এর পরের
বানী কি? (ওয়া মাতরাদাতুন
লিদ্দাঈ আনিল জাসাদ) এর দ্বারা মানুষের শরীরের রোগ ব্যধীসমুহ আল্লাহ দুর করে দেন
এখানে কোন
রোগ তা নির্ধারন করা হয়নি সুতরাং তা ছোট বড় যে কোন রোগ হতে পারে, তাই হাদীস দ্বারা
নববী প্রেসক্রিপশন দ্বারা অনেকে বড় বড় রোগের চিকিৎসা করে ফল পেয়েছেন, বর্তমান যে সব দুরারোগ্য ব্যধী যার কোন চিকিৎসা নাই এমন রোগের জন্যও অবশ্যই তাহাজ্জুদের আমল
অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে
রিয়াদে একজন
ডাক্তার আছেন নাম তার খালেদ আল জুবের, তিনি খুব আল্লাহ ওয়ালাও ছিলেন তিনি বর্ণনা করেন যে আমার কাছে একজন নারী রোগী আসল আর বলতে লাগল, যখন থেকে আমি বুদ্ধি সম্পন্ন হই তখন থেকে আমি আমার জীবনে কোনদিন প্রাণভরে ঘুমাতে পারি না, এবং মানসিক
ভাবে আমার কোন প্রশান্তিও নাই ডাক্তার সাহেব বলেন আমি সে মহিলাকে মেডিসিন না দিয়ে নববী চিকিৎসা দিলাম তাঁকে বললাম তুমি দিন ধারাবাহিক
ভাবে প্রতিদিন রাতে তাহাজ্জুদ পড়বে আর সুরাতুল বাকারা তেলাওয়াত করবে কারন আমি জানি হুযুর পাক (দঃ)
এরশাদ করেন (একরাউ সুরাতুল বাকারা ফাইন্না আখাজাহা বারাকা ওয়া তারাকাহা হাছারা) অথ্যাৎ সুরা বাকারা পাঠ কর তাতে বরকতই বরকত আর তা ছেড়ে দেয়া হল ক্ষতির কারন
মহিলা বলল
সুরা বাকারা অনেক বড় সুরা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যপারে, আমি বললাম আপনার সারা জীবনের পেরেশানী নির্ঘূম রাত কাটানো এটাতো আরো বড় কষ্টের অবশেষে মহিলা নববী প্রেসক্রিপশন নিয়ে চলে গেল ঠিক দিন পর
সে মহিলা ডাক্তারের কাছে কল দিল বলল ডাক্তার সাহেব (ওয়াল্লাহে মা ফারিহতু কাবলা জালিক) আমি নববী প্রেসক্রিমশন ফলো করেছি তাহাজ্জুদ পড়েছি রাতে সুরা বাকারা তেলাওয়াত করেছি, আল্লাহর কসম আমি জীবনে এত শান্তি কখনো অনুভব করিনি
আমরা অনেক
সময় এটা বুঝে নিই যে মনে হয় পেরাসিট্যামল, নাপা, পেনাডল টেবলেটে বেশী শক্তি, এন্টিবায়োটিকে খুব বেশী পাওয়ার, মনে রাখবেন এসব ঔষধে যে পাওয়ার তাতেও রয়েছে আল্লাহর ক্ষমতা, অনেক সময় শক্তি শালী পাওয়ারফুল এন্টিবায়েটিকেও রোগী সুস্থ হননা এটাই তার প্রমান
চিকিৎসা অবশ্যই
করতে হবে, চিকিৎসা করা
হারাম নয়, বরং প্রয়োজনে
চিকিৎসা করা সুন্নত তবে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করা নিষেধ কেননা আল্লাহ তায়ালা হারাম বস্তুতে শেফা রাখেননি
সাপ যদি
কাউকে কাটে তার চিকিৎসাও সুরা ফাতেহা দিয়ে হয়ে যায়, সহিহ বুখারী
একটি ঘটনা- এক কবিলার সরদারকে সাপে কেটেছে তারা সাহাবাদের কাছে এসে প্রশ্ন করল (হাল ইনদাকুম
রাক্বিন) তোমাদের মধ্যে কেউ কি ফুক দান কারী দম দান কারী আছ? তখন একজন
বলল দম করব তবে শর্ত আছে, আমরা তোমাদের
কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তোমরা আমাদের সাথে মেহমানদারী করনি এখন আমরাও এতগুলি ছাগলের বিনিময়ে দম করব সাহাবা গেলেন শুধু সুরাতুল ফাতেহা পড়লেন (ওয়াকা আন্নানা নুশিতা মিন এক্বাল) সাথে সাথে বিষ চলে গেল যেমন কোন গিড়া লাগানো ছিল তা খুলে গেল এখানে চিন্তার বিষয় সাপে কাটার বিষয় যদি সুরা ফাতেহা দ্বারা দুর হয়ে যায় তাহলে মাথা ব্যথা দুর হতে পারে না?
আজ আমাদের
টপ প্রায়োরিটি পেরাসিট্যামল, নাফা, পেনাডলে কেন? আমি বলছি
না এসব নিষেধ কিন্তু বিশ্বাস বলে একটা কথা আছে তা আমাদের কিছু দ্বীন এবাদত আল্লাহর দিকে
হওয়া উচিত
রাসুলুল্লাহ (দঃ)
এরশাদ করেন তাহাজ্জুদ দ্বারা শরীরের রোগ দুর হয়ে যায়
আরেক ডাক্তার বলেন- এক পাকিস্তানি মহিলা চিকিৎসার জন্য আসল, সে যখন
এসেছিল রিপোর্ট দেখে বুঝলাম এটা তার শেষ সময়, একদম লাষ্ট
ষ্টেইজে কেন্সার রোগ পৌঁছে গেছে মহিলা
আর দেরী করেননি সেখান থেকে সোজা মক্কায় পৌঁছে প্রায় ১০ দিন পর সে মহিলা আবার আমার কাছে আসল, আমি নতুন
করে পরীক্ষা করালাম দেখলাম তার শরীরের মধ্যে কেন্সারের বংশও নাই সুবহানাল্লাহ আমি মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি ব্যপারে আপনি কি করেছেন? মহিলা বলল আমি যখন আপনার মুখে আমার আখেরী ষ্টেইজের কথা শুনলাম আর দেরী না করে মক্কায় চলে গেলাম ওমরাহ করলাম আর বেশী বেশী কাবা ঘরের তাওয়াফ করতে লাগলাম আর জমজমের পানি পান করতে থাকলাম, আমি শুনেছি হুযুর পাক (দঃ)
এরশাদ করেছেন যে নিয়তে মানুষ জমজম পান করে আল্লাহ সে নিয়ত পুরন করে দেন আমি খালেছ নিয়তে জমজম পান করেছি আল্লাহ তাতেই আমার জন্য শেফা রেখে দিয়েছেন
আমরা শুধু
ভাবি নামাজ আখেরাতে কাজ দিবে, সেটা ভুল ভাবনা, বরং দুনিয়ার সকল কাজে বরকত, ব্যবসায় তরক্কী, দুনিয়ার সম্মান, শারীরীক সুস্থতা এসব কিছুতেই আপনাকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ এবং তাহাজ্জুদ নামাজ ফায়দা দিবে যা আপনি নিজ চোখে দেখতে পারবেন কোরানে পাকে ব্যপারে আল্লাহ
বয়ান করে দিয়েছে
إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ
هِيَ أَشَدُّ وَطْءًا وَأَقْوَمُ قِيلًا
নিশ্চয়
এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
অতএব (রাতের আধারে
আল্লাহ সামনে দাঁড়িয়ে
যাও এর দ্বারা আপনার দিল মজবুত হবে, তাহাজ্জুদ দ্বারাই যতসব মজবুত দিল ওয়ালা মানুষ
তৈরী হয়

১৪শত বছরের ইতিহাস
দেখুন দুষমনের সামনে
পাহাড়ের মত যারাই
দাঁড়িয়ে গেছেন তারা সবাই
তাহাজ্জুদ গুজার ছিলেন
ওয়া আকওয়ামু এটি সুপারলেটিব ডিগ্রী যাকে কেউ ফেলতে পারে না এসবই হল দুনিয়ার জন্য উপকার, আখেরাতেতো উপকার আছেই
আল্লাহ আমাদেরকে
তাহাজ্জুদ গুজার বান্দাহ হিসেবে কবুল করুক আমিন

1 টি মন্তব্য:

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.