সারা জীবন তাহাজ্জুদ ও সারা জীবন রোজা রাখার সাওয়াবের সহজ আমল







সারা জীবন তাহাজ্জুদ সারা জীবন রোজার ছাওয়াব
সম্মানিত
দর্শক শ্রোতা মন্ডলী আজকে সহিহ মুসলিম সহিহ বুখারীর
মোত্তাফাক হাদীসের আলোক এমন একটি আমলের কথা বলব যে আমলটি করলে আপনি সারা জীবন তাহাজ্জুদ সারা জীবন
রোজা রাখার ছাওয়াব পাবেন
আমলটি করতে আপনার কোন টাকা খরচ হবে না, কোন সময়
নষ্ট হবে না, কোন কষ্ট
করতে হবে না, মাঠে ময়দানে
খাটুনি করতে হবে না, আপনি ঘরে
বসে কিংবা এসি রুমে বসে কিংবা খাটের উপর কম্বলের ভিতর বসে বসেও আমলটি করতে
পারেন, কিন্তু ছাওয়াব হল সারা জীবন তাহাজ্জুদের এবং সারা জীবন রোজা রাখার ছাওয়াব
আপনারা
একটু চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন আপনাদের আশে পাশে কত গরীব, মিসকিন, বিধবা যার স্বামী মারা গেছেন তার জিম্মায় ছোট ছোট কয়েকজন এতিম বাচ্চা আছে, কত অসহায়
এতিম লোক আছে, যার কোন
হিসাব আমাদের নাই, আপনি যদি
তাদের জন্য সামান্য সহযোগীতা কিংবা উপকারের চেষ্টা করেন তাহলে আপনি সারা জীবন তাহাজ্জুদ রোজার সাওয়াব
কামিয়ে ফেলতে পারবেন, বোখারি শরীফের : ৫০৩৮; মুসলিম শরীফের : ২৯৮২ নং হাদীস-রসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন; ‘বিধবা ও মিসকিনদের জন্য প্রচেষ্টাকারী সে
ব্যক্তির ন্যায়
, যে সারা রাত আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে থাকে,
কষ্ট অনুভব করে না এবং সে রোজাদারের ন্যায়, যে
দিনে আহার করে না
, সর্বদা রোজা রাখে।
 এখন প্রচেষ্টা যে কোন ভাবে করতে পারেন ধরুন আপনি আপনার কোন বন্ধুকে কিংবা এলাকার কোন অবস্থাসম্পন্ন  লোককে, কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ১টি দরখাস্থ লিখে দিয়ে কিছু সরকারী অনুদান নিয়ে দিলেন, কিংবা সুপারিশ করে এতিমের জন্য চাকরীর ব্যবস্থা করে দিলেন, কিংবা টেলিফোন করে সুপারিশ করে দিলেন, এসব কাজ এসি রুমে বসে, কিংবা রুমের
ভিতর কম্বলের ভিতর থেকে থেকে আপনি করতে পারেন কিন্তু এর বিনিময় বা রেজাল্ট হল সারা জীবন তাহাজ্জুদ আর সারা জীবন রোজা সাওয়াব। রোজা রাখার ফজিলত সুবহানাল্লাহ হাদীসে আরো বলা হয়েছে (কাল মুজাহিদু ফি ছাবিলিল্লাহ) সে যেন আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ কর
রাসুলুল্লাহ (সা.)
এতিমদের প্রতি অনুগ্রহ করা
, মমতা
দেখানো ও স্নেহপরায়ণ হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং এর জন্য মহাপুরস্কারের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন। এভাবে তিনি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সুরক্ষা ও তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে
এতিমদের অধিকারের শেকড় প্রোথিত করে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন
আমি ও এতিমের লালনপালনকারী জান্নাতে এরূপ থাকব।’ (বোখারি
: ৫৬৫৯
; মুসলিম : ২৯৮৩)। এ কথা বলে তিনি তর্জনী ও মধ্যমা
আঙুল দ্বারা ইঙ্গিত করলেন। দুটি আঙুলের মাঝে সামান্য ব্যবধান ছিল।


এতিমদের প্রতি
সর্বোচ্চ পর্যায়ের দয়া
, মমতা ও স্নেহ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মাহর সদস্যদের এতিমকে তাদের সন্তানদের সঙ্গে যুক্ত করতে
উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেছেন
যে কেউ কোনো মুসলিম এতিমকে
তার পানাহারদের সঙ্গে যুক্ত করবে
, যাতে তার সব প্রয়োজন পূরণ
হয়
, তাহলে তার জন্য চিরকালের মতো জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।
(মুসনাদে আহমদ : ১৯০৪৭)।
এভাবে ইসলাম এতিম, বিধবা ও মিসকিনদের যাবতীয় নৈতিক ও বস্তুগত
অধিকারের সুরক্ষা প্রদান করেছে।

1 টি মন্তব্য:

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.