মহররম এর ৭টি ফজিলত। হিজরী নববর্ষ। আশুরা। Ja al haq/ Maulana Mohammed Niz...
মহররম এর ৭ ফজিলত
মহররম একটি মোবারক মাস এ মোবারক মাসের ফজিলতের ব্যাপারে রসুলুল্লাহ (দঃ) এর কিছু বাণী আছে। এ মাসটি ইসলামী মাসের প্রথম মাস হিসেবে স্বীকৃত। রসুলুল্লাহ (দঃ) এর হিজরতের সময়কে এ হিজরী সনের ভিত্তি হিসেবে প্রচলন
করেছেন।
করেছেন।
১৭ হিজরীতে হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) এর পরামর্শক্রমে
সৈয়্যদুনা ওমর ফারুক (রাঃ) সকল সাহাবাগনের
পরামর্শক্রমে এ সন গননা শুরু করেন। সুতরাং এ হিজরী সনের
সাথে আমাদের প্রিয় নবীর হিজরতের ঘটনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সৈয়্যদুনা ওমর ফারুক (রাঃ) সকল সাহাবাগনের
পরামর্শক্রমে এ সন গননা শুরু করেন। সুতরাং এ হিজরী সনের
সাথে আমাদের প্রিয় নবীর হিজরতের ঘটনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এ মাসের ২য় ফজিলতহল এ মাসটি হারাম মাস। রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর ফরমানে মুয়াজ্জাম হল (আচ্ছানা
ইছনা আশারা শাহারান ) বছরে ১২টি মাস (মিনহা
আরবাআতুন হুরুম) তাতে ৪টি মাস হারাম মাস। (ছালাছাতুন মুতাওয়ালিয়াত) ৩টি মাস পরপর আসে। (জুলকুদা, জুলহিজ্জা,
মহররম) (ওয়ারাজাবু মুদার আল্লাজি বায়না জুমাদা ওয়া শাবান) আর
৪র্থ মাসটি হল রজব মাস যা জুমাদাল আখের ও শাবানের মাঝে রয়েছে।
ইছনা আশারা শাহারান ) বছরে ১২টি মাস (মিনহা
আরবাআতুন হুরুম) তাতে ৪টি মাস হারাম মাস। (ছালাছাতুন মুতাওয়ালিয়াত) ৩টি মাস পরপর আসে। (জুলকুদা, জুলহিজ্জা,
মহররম) (ওয়ারাজাবু মুদার আল্লাজি বায়না জুমাদা ওয়া শাবান) আর
৪র্থ মাসটি হল রজব মাস যা জুমাদাল আখের ও শাবানের মাঝে রয়েছে।
এ মাসের ৩য় ফজিলত হল – রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর কাছে এ মাসটি
খুবই পছন্দনিয় ছিল। কেন পছন্দ করতেন জানেন? হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এরশাদ করেন ( মা রাআইতুন নাবিয়্যা
ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম এয়াতাহাররা ছিয়ামা এয়াউমিন ফাদ্দালাহু আলা গাইরিন
ইল্লা হাজাল এয়াউম এয়াউমা আশুরা ওয়া হাজাশ শাহার এয়ানি রামাদান) আমি রমজানের রোজা, মহররম এর রোজা বিশেষ করে মহররমের ১০
তারিখের আশুরার রোজার যে গুরুত্ব দিতে দেখেছি অন্য কোন রোজা এমন গুরুত্ব দিতে দেখিনি।
খুবই পছন্দনিয় ছিল। কেন পছন্দ করতেন জানেন? হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এরশাদ করেন ( মা রাআইতুন নাবিয়্যা
ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম এয়াতাহাররা ছিয়ামা এয়াউমিন ফাদ্দালাহু আলা গাইরিন
ইল্লা হাজাল এয়াউম এয়াউমা আশুরা ওয়া হাজাশ শাহার এয়ানি রামাদান) আমি রমজানের রোজা, মহররম এর রোজা বিশেষ করে মহররমের ১০
তারিখের আশুরার রোজার যে গুরুত্ব দিতে দেখেছি অন্য কোন রোজা এমন গুরুত্ব দিতে দেখিনি।
এ হাদীসে বুঝা যায় আমাদের নবীজি ১০ মহররমের রোজা রাখতেন খুবই
গুরুত্ব সহকারে।----
গুরুত্ব সহকারে।----
চতুর্থ ফজিলত হল- রাসুলুল্লাহ (দঃ) রমজানের পর রোজা
রাখার ব্যপারে সবচেয়ে আফজল মাস হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন এ মুহররম মাসকে।
রাখার ব্যপারে সবচেয়ে আফজল মাস হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন এ মুহররম মাসকে।
সহিহ মুসলিমে ১৯৮২ নং হাদীস হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ
ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লামের ফরমান (আফদালুস ছিয়াম বাদা
রামাদান শাহরুল্লাহ আল্লাজি তাদউনাহু আল মুহাররাম)রমজানের পর
সবচেয়ে আফজর রোজা সে মাসের যাকে তোমরা মহররম বলে ডাক।
ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লামের ফরমান (আফদালুস ছিয়াম বাদা
রামাদান শাহরুল্লাহ আল্লাজি তাদউনাহু আল মুহাররাম)রমজানের পর
সবচেয়ে আফজর রোজা সে মাসের যাকে তোমরা মহররম বলে ডাক।
পঞ্চম ফজিলত- এ মোবারক মাস গুনাহ মাফের মাস হিসেবে ঘোষনা করেছেন। সহিহ মুসলিমের ১১৬২ নং হাদীস হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ
(দঃ) এরশাদ করেন যে মহররম এর রোজা রাখে ১টি রোজার
কারনে তার ১ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন।
(দঃ) এরশাদ করেন যে মহররম এর রোজা রাখে ১টি রোজার
কারনে তার ১ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন।
মুসলিম শরীফের ১১৬৩ নং হাদীস হযরত আবু কাতাদা হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর কাছে প্রশ্ন করা
হল (ওয়া ছুঈলা আন ছাউমি এয়াউমি আশুরা) ১০
মহররমে রোজা রাখার ব্যপারে প্রশ্ন করা হল (ফাকালা ইউকাফফিরুস
সানাতাল মাদিয়া) এর ১টি রোজার কারনে তার বিগত জীবনের ১ বছরের
গুনাহকে আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।
হল (ওয়া ছুঈলা আন ছাউমি এয়াউমি আশুরা) ১০
মহররমে রোজা রাখার ব্যপারে প্রশ্ন করা হল (ফাকালা ইউকাফফিরুস
সানাতাল মাদিয়া) এর ১টি রোজার কারনে তার বিগত জীবনের ১ বছরের
গুনাহকে আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।
ষষ্ঠ ফজিলত- এ মাসকে আল্লাহর মাস বলা হয়েছে- আল্লাহর কাছে এটি সম্মানিত
মাস- সৈয়্যদুনা আবু হুরায়রা (রাঃ)
বর্ণনা করেন- সহিহ মুসলিম এর ১৯৮২ নং হাদীস রসুলুল্লাহ
(দঃ) এরশাদ করেন (আফদালুস
সিয়াম বাদা রামাদান শাহরুল্লাহ) রমজানের পর আফজর রোজা হল আল্লাহর
মাসের রোজা। একানে আল্লাহর মাস বলতে মহররমকে বুঝানো হয়েছে।১২ মাসের মধ্যে কোন মাসের সাথে আল্লাহর
নবী শাহরুল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করেননি। এ সম্মান শুধু এ মহররম
মাসের জন্য খাছ।
মাস- সৈয়্যদুনা আবু হুরায়রা (রাঃ)
বর্ণনা করেন- সহিহ মুসলিম এর ১৯৮২ নং হাদীস রসুলুল্লাহ
(দঃ) এরশাদ করেন (আফদালুস
সিয়াম বাদা রামাদান শাহরুল্লাহ) রমজানের পর আফজর রোজা হল আল্লাহর
মাসের রোজা। একানে আল্লাহর মাস বলতে মহররমকে বুঝানো হয়েছে।১২ মাসের মধ্যে কোন মাসের সাথে আল্লাহর
নবী শাহরুল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করেননি। এ সম্মান শুধু এ মহররম
মাসের জন্য খাছ।
সপ্তম ফজিলত-এ মাসে রাসুলে কারীম (দঃ) নিজের
কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন সে হিসেবেও এ মাসটি গুরুত্বপূর্ণ।৩য় হিজরীর মহররম মাসে সৈয়্যদুনা উম্ম
কুলসুমের বিবাহ হযরত ওসমান (রাঃ)
সাথে অনুষ্ঠিত হয়।
কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন সে হিসেবেও এ মাসটি গুরুত্বপূর্ণ।৩য় হিজরীর মহররম মাসে সৈয়্যদুনা উম্ম
কুলসুমের বিবাহ হযরত ওসমান (রাঃ)
সাথে অনুষ্ঠিত হয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এ মাসের খায়র ও বরকত হাছিল করার তৌফিক
দান করুন। আমিন।
দান করুন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই