মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে ইহুদী ষড়যন্ত্র। সিজারে বাচ্চা প্রসবের ক্ষতি। মহানবীর ভবিষ্যৎবানী
নারীর সিজার ও মহানবীর ভবিষ্যৎবানী
সম্মানিত দর্শক মন্ডলী আপনারা জানেন বর্তমান যুগে সব ধরনের ফিতনা ফাছাদ সারা বিশ্বে
ছিড়িয়ে পরেছে। সব ধরনের ধোকা ফ্রট ও গুনাহ বিস্তার লাভ করেছে।
আর এগুলি এমন ফিতনা যা আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) আমাদেরকে সতর্ক করে গেছেন। এবং এসব ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া করেছেন।
এসব ফিতনা থেকে সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী একটি ফিতনা হল নারীর ফিতনা, যে ফিতনার ব্যপারে রাসুলে মাকবুলের হাদীস প্রনিধানযোগ্য-
وَعَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «مَا تَرَكْتُ بَعْدِىْ فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার (ইন্তেকালের) পরে আমার উম্মাতের
পুরুষদের জন্য নারী অপেক্ষা অধিক ফিতনার শঙ্কা আর কিছুতেই রেখে যাইনি। (বুখারী ও
মুসলিম)
রেফারেন্স : বুখারী ৫০৯৬, মুসলিম ২৭৪০, তিরমিযী ২৭৮০, ইবনু মাজাহ
এ হাদীসের ব্যাখ্যা ফতহুল বারী গ্রন্থে বলা হয়েছে
নারীদের সবকিছুতে অনিষ্টতা আছে, বিশেষ করে
তাদের হার না মানা স্বভাবে আরো বেশী অনিষ্টতা রয়েছে। সেই সাথে তাদের জ্ঞানের কমতি
ও দীনের কমতিও রয়েছে। জ্ঞানের কমতি হলো, পুরুষকে তার মোহে অন্ধ করা। আর দীনের কমতি হলো, দীনের কর্মের
বিষয়ে উদাসীন থাকা এবং দুনিয়া অনুসন্ধানের ফলে পরকালীন ধংস ডেকে আনা। আর এটাই বড় ফাসাদ বা বিপর্যয়। ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫০৯৬;
যার ব্যপারে শোয়েবুল ইমান লিল বায়হাকীর ১টি হাদীস- হযরত সাঈদ বিন মুসায়্যিব (রাঃ) এরশাদ করেন শয়তান যখন কাউকে গোমরাহ বা পথহারা করতে ব্যর্থ হয় তখন সে তাঁর কাছে
নারীর ছুরতে, নারীর মাধ্যমে প্রবেশ করে। সাঈদ বিন মুসায়্যেব (রাঃ) আরো বলেন আমার ১টি
চোখ বয়সের কারনে অন্ধ হয়ে গেছে ২য়টিও অন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের ব্যপারে নারী ছাড়া অন্য কোন কিছুর ভয় নাই। সে সময় হযরত সাঈদ বিন মুসায়্যেব (রাঃ)
বয়স ছিল ৮৪ বছর।
বন্ধুরা নারীদের ব্যপারে যে ফিতনার কথা আজ থেকে ১৪শত বছর পূর্বে বয়ান করা হয়েছে, তা বর্তমানে সারা দুনিয়ায় পরিপূর্ণভাবে বিস্তার লাভ করেছে। এ যুগে শয়তানী শক্তি এ বিষয়ে পূর্ণতা লাভ করেছে। মুসলমান নারীদেরকে ইহুদী খ্রীষ্টান নারীদের
মত চালাতে শয়তান এখন পূর্ণ শক্তি ব্যয় করছে। সে জন্য ইবলিছ অসংখ্য জাল বিছিয়ে রেখেছে যা আমরা স্বচক্ষে দেখছি
কিন্তু অনুধাবন কিংবা গভীরভাবে চিন্তা করছি না।
ইসলামের সবচেয়ে বড় শক্তি হল পারিবারিক প্রথা তা আজ ধ্বংস হতে
চলেছে, নারী স্বাধীনতা, নারী
অধিকারের নামে শয়তানের দোষরেরা আজ ঘরের সম্মানিত নারীদেরকে পুরুষদের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে
দিয়েছে। হাজার বছর যাবৎ মুসলমানদের পরিবারসমুহে যে জান্নাতি পরিবেশ তা আজ ধ্বংসের দোড় গোড়ায়
গিয়ে পৌঁছেছে। নারীরা আজ প্লে কার্ড নিয়ে মিছিল করছে (দেহ আমার
সিদ্ধান্ত আমার) নাউজুবিল্লাহ, যা মুলত শয়তান স্বাধীনতার নামে
নারীদেরকে বেশ্যা প্রথার দিকে দাওয়াত দিচ্ছে। মুসলিম পরিবারের সৌন্দর্য্যকে পদদলিত
করার পায়তারা করছে।
মুলত নারীদেরকে শয়তান এখন তাঁর শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যা কিছু নারীকে বিপদগামী করছে কিন্তু প্রকৃত অর্থে এর মাঝে নারীদের
কোন সম্মান ও শান্তি নাই।
প্রিয় সম্মানিত বোনেরা মনে রাখবেন আপনার সম্মান ও উভয় জাহানের শান্তি একমাত্র ইসলামের
মাঝেই আছে। সফলতা তা নয় যা আপনাকে ইবলিছ ও তার দোষররা দেখাচ্ছে। সফলতা তাই যা আল্লাহ ও তার রাসুল ছাল্লাল্লাহু
আলাইহে ওয়াছাল্লাম বয়ান করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা নারী ও পুরুষের মাঝে পর্দার বিধান রেখেছেন।নারীদের উপর
পর পুরুষ থেকে পর্দা করা ফরয করেছেন। পর্দার বিধান নারীর কল্যাণের জন্যই রাখা
হয়েছে। যদি পর্দার বিধান না রাখা হতো তাহলে নারী ও পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার কারণে
সমাজে অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটত। যেমনটি বর্তমানে যে দেশ বা সমাজে পর্দা নাই সে সমাজের
অবস্থার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই। সেখানে প্রতিনিয়তই নারীরা জলুম নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। নারী ও পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা মানব সমাজকে কলুষিত করে এবং সমাজে ফেতনা-ফ্যাসাদ বৃদ্ধি করে।
অবস্থার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই। সেখানে প্রতিনিয়তই নারীরা জলুম নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। নারী ও পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা মানব সমাজকে কলুষিত করে এবং সমাজে ফেতনা-ফ্যাসাদ বৃদ্ধি করে।
মুসলমান মা বোনদের জন্য ইহুদী নাসারা ও বিধর্মী নারীরা রোল মডেল হওয়া উচিত নয়। বরং উম্মুহাতুল মুমিনিন গনই সে সম্মানিত নারী যারা কেয়ামত পর্যন্ত সকল নারীদের
রুল মডেল হওয়ার যোগ্য। এতেই ইজ্জত এতেই আছে সফলতা এতেই আছে নারীদের সুখ এতেই আছে নারী
জাতীর যথাযথ অধিকার। আর এতেই আছে সমাজ বা জাতীর উন্নতি।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী আকরাম
(দঃ) এরশাদ করেন হে লোকেরা তোমাদের তখন কি অবস্থা
হবে? যখন তোমাদের নারীরা অবাধ্য হবে আর তোমাদের যুবকেরা ফাসেক?
তখন সাহাবাগন প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহ সত্যিইকি এমন হবে? তখন রাসুলুল্লাহ ফরমালেন হ্যাঁ সত্যি এমন হবে বরং তার চেয়ে বেশী
হবে।
তেমনি ভাবে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)
হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (দঃ)
এরশাদ করেন আমি জাহান্নামীদের ২ প্রকার লোককে দেখি নাই প্রথমত সে লোক
যাদের হাতে গরুর লেজের মত চাবুক হবে এবং তারা তা দিয়ে মানুষকে মারতে থাকবে।
দ্বিতীয়ত-
ঐ নারী যাদের গায়ে কাপড় থাকবে কাপড় পরিধান সত্বেও তারা উলঙ্গ থাকবে। পুরুষকে তাদের দিকে আহ্বান করবে আর তাদের মাথা উটের চোটের মত হবে।
এরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এমনকি তারা জান্নাতের খুশবুও পাবে না। (মুসলিম)
সম্মানিত দশকমন্ডলী এ হাদীস মুলত হুযুর (দঃ)
এর ভবিষ্যৎবানী যাতে তিনি পরবর্তী আগত মানুষের আচরনের কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। এখানে নারীদের যে কাপড়ের কথা বলেছে যে মাথার কথা বলেছেন তা আমরা অহরহ দেখতে পাচ্ছি।
আমাদের মুসলমান ভাই বোনেরা অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আজ যুবক যুবতীরা বিশেষ করে শিক্ষিত
পারসন যারা তারা তাদের গোটা জীবন চলার বিধান হলিউড আর বলিউডের কাছে বন্ধক দিয়ে রেখেছে, ফ্লিমে যাই দেখছে তাই তারা নকল করা আরম্ভ করে দেয়, দুঃখ জনক হলেও সত্য যে হলিউড বলিউডের যে সব ফ্যাশনার হয় তারা কট্টর ইহুদী থেকে
হয়, যাদের রাত দিন এত পরিশ্রম এর পিছনে একটাই মকছদ এ জাতীকে সভ্যতার
নামে একটা উলঙ্গ জাতীতে রুপান্তর করা। তারা এমন এমন ফ্যাশন ইজাদ করছে যা নিতান্তই
বেহায়াপনা, নারীর সম্মান নষ্টকারী, নারীর ইজ্জত ধ্বংসকারী। মুলতঃ এসবই ইবলিসকে খুশী করার এবং ইসলামীক কৃষ্টি কালচারকে নষ্ট
করারই ষড়যন্ত্র।
এছাড়া আরো ১টি ফিতনা যার দিকে মহানবী (দঃ) ইশারা করেছেন তা হল নারীর পেট কাটা,
অথ্যাৎ বড় অপারেশন যা আজকাল একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রসবকালীন কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য অনেক গর্ভবতী নিজেই ডাক্তারকে বলে সিজার করতে, আর অনেক ডাক্তার কিছু বেশী কামাই করার জন্য অপ্রয়োজনেই সিজার করে।
অথচ মায়েরা জানে না সিজার করলে সাময়িক একটু কষ্ট কম হয় বটে কিন্তু এর জন্য তাকে
সারা জীবন নানা ধরনের শারীরীক কষ্ট ভোগ করতে হয়। আর স্বাভাবিক ডেলিভারী হলে তাতে মায়েরা প্রসবকালীন একটু কষ্ট
পেলেও সারা জীবন আর কোন টেনশন থাকে না, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
থাকে না। সিজার করে মুলত গোটা জীবনের জন্য লক্ষ
লক্ষ মুসলমান মাদেরকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। তাছাড়া আল্লাহ কর্তৃক যে জন্মের যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তাতেই
মা ও সন্তানের সারা জীবনের জন্য সার্বিক কল্যাণ রয়েছে তা বিজ্ঞানীরা স্বীকার করতে বাধ্য।
পৃথিবী সৃষ্টি থেকেই যে প্রক্রিয়ায় মানব সৃষ্টি মানব জন্ম তাতেই কল্যান সেটা এখন
উন্নত বিশ্বের বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারছে তাই উন্নত দেশগুলি আস্তে আস্তে সিজারের বিরুদ্ধে
অবস্থান গ্রহণ করছে এবং ধীরে ধীরে তারা তা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
সিজার ছাড়া সারা বিশ্বের সকল প্রাণী বাচ্চা প্রসব করতে পারে, কুকুর একসাথে ৬/৭টা বাচ্চা দেয়, ছাগল একসাথে ৩/৪টা বাচ্চা দেয়, বিড়াল ৩/৪টা বাচ্চা একসাথে দেয় কোন ডাক্তারের প্রয়োজন
হয় না আপনি শক্তি শালী প্রাণী হলে আ্রশরাফুল মাখলুকাত হয়ে কেন পারবেন না সিজার ছাড়া
বাচ্চা প্রসব করতে?
ডেলিভারির পর নারীরা কর্মদক্ষতা হারাচ্ছেন,
এটা সত্যি
যে সিজার হওয়ার পর একজন নারী অনেক ক্ষেত্রেই কর্মদক্ষতা হারাচ্ছেন। একবার সিজার
হওয়ার পর শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওভারওয়েট, ব্যাকপেইন তো আছেই। এছাড়া শরীরে একটা সেলাই
থাকায় অনেক স্বাভাবিক কাজ করাই সম্ভব হয় না।
মুছান্নেফ ইবনে আবি শায়বাহ গ্রন্থে মহানবী (দঃ) এর একটি ভবিষ্যৎবানী এ সিজারের
ব্যপারে প্রনিধানযোগ্য হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বয়ান করেন যে নবীজির ফরমান- নারীদের
পেট কাটা হবে এবং তার ভিতর যা আছে তা বের করে আনা হবে।
বন্ধুরা আজ বাচ্চা জন্মের সময় নারীদের বড় অপারেশন করা হয়, যা উম্মতে মুহাম্মদী সংখ্যাধিক্যের জন্য অনেক বড় একটি বাঁধাও বটে,
কারন সিজারীয়ান নারীরা ১ বা ২ টা সন্তান জন্ম দেয়ার পর আর সন্তান জন্ম
দিতে অপারগ হয়ে যায়,
যা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ অনেক বিজ্ঞ আলেমের মতে
এটিও উম্মতে মুহাম্মদীকে সংখ্যায় কম করার একটি ইহুদী চক্রান্ত। নবী
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমান নারী পুরুষকে ইহুদী নাসারার ষড়যন্ত্র ও শয়তানের
ধোকা থেকে হাফাজত করুন আমিন।
surah tin bangla translation | সূরা তীন | noor
উত্তরমুছুন