৩ প্রকার নারী কখনো নিজের ঘর বাঁচাতে পারে না
৩ প্রকার নারী কখনো নিজের
ঘর বাঁচাতে পারে না
প্রত্যেক স্বামী স্ত্রীর
অন্তরের সরলতাকে বেশী পছন্দ করে। তােই স্ত্রীর আন্তরিক
সরলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর স্বামী যখন বুঝে
নেয় যে আমার স্ত্রীর মন খুবই সরল। তখন সে স্বামী তাঁর
সে স্ত্রীকে নিজের চোখের মনি করে রাখে।
স্বামীর সাথে কখনো মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবে না, যে লোকের সাথে ১/২ ঘন্টার সাক্ষাৎ তার সাথে
মিথ্যা তেমন ক্ষতি করে না, কিন্তু যার সাথে সারা জীবন কাটাতে
হবে তার সাথে মিথ্যা কখনো চলে না। তাই স্ত্রী যখন স্বামীর
সাথে মিথ্যা বলে তখন সে স্ত্রীর মর্যাদা মর্তবা স্বামীর কাছে কমে যায়। সে জন্য মিথ্যা বলা, স্বামী ব্যপারে মনে বিদ্বেষ পোষণকরা, এটা নারীদের ভুলসমুহের
মধ্যে একটি বড় ভুল। আপনার অন্তরে স্বামীর
প্রতি সম্মান যত বেশী হবে অটোমেটিক আপনার স্বামীর অন্তরে আপনার প্রতি সম্মান প্রতিষ্ঠা
হয়ে যাবে।
একটা ঘটনা বললে এ বিষয়টি বুঝে আসবে- এক বাদশা তার উজিরকে প্রশ্ন করল - যে যার ব্যপারে যেমন
ধারনা করে তেমন পায় এর অর্থ কি? উজির বলল বাদশা একদিন আপনি আমার সাথে সাধারণ পোষাকে বাহিরে চলুন তাহলে এর উত্তর
আপনি নিজেই পাবেন, বাদশা উজিরের সাথে একদিন সাধারণ পোষাকে বের
হলেন, কিছুদুর যাওয়ার পর একলোককে আসতে দেখলেন তখন উজির বাদশাকে প্রশ্ন করল বাদশাজি আপনি সামনে যে লোকটি আসছে তার ব্যপারে কি
ধারনা পোষন করেন? বাদশা বলল আগত লোকটিকে দেখে মনে হচ্ছে সে বেওকুফ
ধরনের লোক, এবার উজির বাদশার সামনে সে লোকটিকে প্রশ্ন করল আচ্ছা
জনাব আপনি এ দেশে বাস করেন আমাদের এ দেশের যিনি বাদশা আছেন তার ব্যপারে আপনার ধারনা
কি? তখন লোকটি বলল এ দেশের বাদশা একজন বেওকুফ ধরনের লোক,
তার বাদশা হওয়ার যোগ্যতাই নাই। লোকটির এমন কথা শুনে বাদশা বিব্রত হলেন, এবার উজির বাদশাকে নিয়ে সামনে অগ্রসর হলেন,
কিছুদুর যাওয়ার পর অন্য একটি যুবক আসতে দেখলেন এবার িউজির বাদশাকে প্রশ্ন
করল বাদশাজি সামনে যে যুবক আসছে তার ব্যপারে আপনার রায় কি? বাদশা
বললেন যুবকটিকে দেখে মনে হচ্ছে খুবি বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত এবং বেশ স্মাট ও বিচক্ষন। এবার উজির যুবককে প্রশ্ন করল জনাব আপনাকে একটা প্রশ্ন করতাম
বলুনত দেখি আমাদের দেশের বাদশা লোকটি কেমন? যুবকটি বলল আমাদের দেশের বাদশা খুবই যোগ্য লোক, এবং খুবই
বুদ্ধিমান এবং বিবেকবান দক্ষ বাদশাহ।
এবার উজির বাদশাকে বুঝাতে সক্ষম হলেন অন্তরের সাথে অন্তরের সম্পর্ক, আপনার অন্তরে অন্যের প্রতি সম্মান ভালবাসা থাকলে
সে মেসেজ অটোমেটিক তার কাছে পৌঁছবে। এবং ২য় অন্তর সে মেসেজকে
অটোমেটিক রিসিভ করে নেয়।
সুতরাং আপনার স্বামীর কোন দোষ থাকলে যা আপনি জানেন তবুও তাঁকে আপনি সম্মান দেখান, তাঁকে মহব্বত দেখাতে বিন্দুমাত্র কাপন্য করবেন
না, দেখবেন আপনার েএ আন্তরিক সম্মান আন্তরিক ভালবাসা তাঁকে একসময়
আপনার ভক্ত বানিয়ে দিবে। অধৈর্য্য হলে হবে না
ধৈর্য্যের সাথে এ কাজটি করে যেতে হবে। আর আপনি যদি তাঁর সাথে
ঝগড়ায় লিপ্ত হন তাহলে সে স্বামীকে আরো খারাপ মানুষে পরিণত করে দিবে। দোষত্রুটি জানা সত্বেও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা এটা আল্লাহর
গুণ। আর হাদীসে পাকে আছে (তাখাল্লাকু বি আখলাকিল্লাহ) তোমরা নিজেকে আল্লাহর চরিত্রে
চরিত্রবাণ কর।
সুতরাং যে নারী সবসময় মিথ্যার আশ্রয় নেয়, ধোকাবাজি করে এবং স্বামীর প্রতি বিদ্বেষভাব পোষন করে সে নারী কখনো তাদের ঘর
বাঁচাতে পারে না। স্বামী স্ত্রী একে অপরকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। একে অপরকে সম্মান দেখাতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে। দোষ
তালাশ না করে সব সময় উদারতার পরিচয় দিতে হবে। ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলে ঘর বাঁচবে। আল্লাহ প্রত্যেক স্বামী
স্ত্রীকে বুঝার এবং আমল করর তৌফিক দান করুন।
surah tin bangla translation | সূরা তীন | noor
উত্তরমুছুন