রবিউল আউয়্যাল মাসের শ্রেষ্ঠ আমল। যে আমলে আল্লাহ ফেরেশতাদের কাছে গৌরব প্র...
সুরা ইবরাহিমের ৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন-
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى
بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ
وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللّهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ
شَكُورٍ
بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ
وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللّهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ
شَكُورٍ
আমি মূসাকে নিদর্শনাবলী সহ প্রেরণ
করেছিলাম যে, স্বজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনয়ন এবং তাদেরকে
আল্লাহর দিনসমূহ স্মরণ করান। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে
নিদর্শনাবলী রয়েছে। [ সুরা
ইবরাহীম ১৪:৫
করেছিলাম যে, স্বজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনয়ন এবং তাদেরকে
আল্লাহর দিনসমূহ স্মরণ করান। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে
নিদর্শনাবলী রয়েছে। [ সুরা
ইবরাহীম ১৪:৫
সকল দিনই আল্লাহর কিন্তু এ আয়াতে আয়্যামিল্লাহ বলে ঐ সব দিনকে বুঝানো হয়েছে যে সব দিনে আল্লাহর খাছ রহমত নাজিল হয়,
নিঃসন্দেহে নবীর আমাদের জন্য বড় রহমত আর নবীর
আগমন দিনকে স্মরণ করা মুলত আল্লাহর হকুম পালন করারই নামান্তর।
আগমন দিনকে স্মরণ করা মুলত আল্লাহর হকুম পালন করারই নামান্তর।
মুসলিম, সুনানে নাসাঈ সহ অনেক হাদীস গ্রন্থে এ হাদীস
খানা রয়েছে- একদিন হুযুর (দঃ) মসজিদে নববীতে তশরীফ আনলেন দেখলেন কিছু সাহাবী বসে আলোচনা করছে, হুযুর (দঃ) তাঁদের প্রশ্ন করল
( মা আজলাছাকুম?) তোমরা কি জন্য এখানে জমায়েত হয়েছ?
তোমাদের এই জলসার মকসদ কি? তখন সাহাবাগন খুব সুন্দর
জবাব দিলেন তারা বললেন (জালাছনা নাজকুরুল্লাহ ওয়া নাহমাদুহু আলা
মা হাদানা লিল ইসলাম ওয়া মান্না আলাইনা বিকা) হুযুর আমাদের এই
জলসার উদ্দেশ্য হল আমরা আল্লাহর হামদ বয়ান করছি, প্রসংশা করছি,
শোকরিয়া আদায় করছি, এই জন্য শোকর করছি তিনি আমাদেরকে
হেদায়েত দান করেছেন এবং আপনাকে দিয়ে আমাদের উপর করুনা করেছেন দয়া করেছেন। (মান্না আলাইনা বিকা) হুযুর আপনার মাধ্যমে
আমাদের উপর রহম ও করম করেছেন।
খানা রয়েছে- একদিন হুযুর (দঃ) মসজিদে নববীতে তশরীফ আনলেন দেখলেন কিছু সাহাবী বসে আলোচনা করছে, হুযুর (দঃ) তাঁদের প্রশ্ন করল
( মা আজলাছাকুম?) তোমরা কি জন্য এখানে জমায়েত হয়েছ?
তোমাদের এই জলসার মকসদ কি? তখন সাহাবাগন খুব সুন্দর
জবাব দিলেন তারা বললেন (জালাছনা নাজকুরুল্লাহ ওয়া নাহমাদুহু আলা
মা হাদানা লিল ইসলাম ওয়া মান্না আলাইনা বিকা) হুযুর আমাদের এই
জলসার উদ্দেশ্য হল আমরা আল্লাহর হামদ বয়ান করছি, প্রসংশা করছি,
শোকরিয়া আদায় করছি, এই জন্য শোকর করছি তিনি আমাদেরকে
হেদায়েত দান করেছেন এবং আপনাকে দিয়ে আমাদের উপর করুনা করেছেন দয়া করেছেন। (মান্না আলাইনা বিকা) হুযুর আপনার মাধ্যমে
আমাদের উপর রহম ও করম করেছেন।
সাহাবীগন যখন এ কথা বলল হুযুর সাহাবাদের বলল তোমরা কি কসম করে
বলতে পারবে যে তোমরা সত্যি সত্যি এই কাজের জন্যই এই মজলিশ কায়েম করেছ? সাহাবাগন সকলে কসম করে বলল হে আল্লাহর রাসুল আমরা আল্লাহর কসম
করে বলছি আমরা এই কাজের জন্য এখানে বসেছি।
বলতে পারবে যে তোমরা সত্যি সত্যি এই কাজের জন্যই এই মজলিশ কায়েম করেছ? সাহাবাগন সকলে কসম করে বলল হে আল্লাহর রাসুল আমরা আল্লাহর কসম
করে বলছি আমরা এই কাজের জন্য এখানে বসেছি।
হুযুর সাহাবাদের থেকে কসম আদায় করে বললেন হে আমার সাহাবারা আামি তোমাদের কথার উপর
সন্দেহ পোষন করে কসম নিই নাই, বরং আমি তোমাদের কাছে
এই জন্য কসম নিয়েছি যে আমি এখানে আসার আগে হুজরায় ছিলাম আর আমার কাছে (আতানি জিবরিল) জিবরিল আগমন করল, (ফা আখবারানি আন্নাল্লাহা ইউবাঈ বিকুমুল মালাইকা ) জিবরিল
এসে বলল তোমাদের এই মজলিশের কারনে আল্লাহ ফেরেশতাদের কাছে তোমাদের নিয়ে গৌরব প্রকাশ
করছে।
সন্দেহ পোষন করে কসম নিই নাই, বরং আমি তোমাদের কাছে
এই জন্য কসম নিয়েছি যে আমি এখানে আসার আগে হুজরায় ছিলাম আর আমার কাছে (আতানি জিবরিল) জিবরিল আগমন করল, (ফা আখবারানি আন্নাল্লাহা ইউবাঈ বিকুমুল মালাইকা ) জিবরিল
এসে বলল তোমাদের এই মজলিশের কারনে আল্লাহ ফেরেশতাদের কাছে তোমাদের নিয়ে গৌরব প্রকাশ
করছে।
সুবহানাল্লাহ সাহাবাগন আল্লাহর প্রসংশা করেছে, শোকর
করছে এই জন্য শোকর করেছে যে তাঁদের কাছে মুহাম্মদ (দঃ)
এর মত একজন রাসুলকে পাঠিয়েছেন। আর সেই জন্য আল্লাহ সে মজলিশের কারনে ফেরেশতাদের কাছে গৌরব প্রকাশ
করছেন।
করছে এই জন্য শোকর করেছে যে তাঁদের কাছে মুহাম্মদ (দঃ)
এর মত একজন রাসুলকে পাঠিয়েছেন। আর সেই জন্য আল্লাহ সে মজলিশের কারনে ফেরেশতাদের কাছে গৌরব প্রকাশ
করছেন।
এখনও আমরা গুনাহগারগন যদি আল্লাহ যে আমাদের জন্য একজন নবী শ্রেষ্ঠ নবী পাঠিয়েছেন, সে নবীর উম্মত বানিয়েছেন, যে নবীর গুনগান
স্বয়ং আল্লাহ বুলন্দ করেন যেমন বলেন (ওয়ারাফানা লাকা জিকরাক)
আজ এই পৃথিবীর যে কোনাতেই বসে বসে সে নবীর মত সর্বশ্রেষ্ট নেয়ামতের শোকরানা
মাহফিল আয়োজন করেন তাহলে আল্লাহ কি তাতে ফেরেশতাদের কাছে ফখর করবেন না? অবশ্যই করবেন।
স্বয়ং আল্লাহ বুলন্দ করেন যেমন বলেন (ওয়ারাফানা লাকা জিকরাক)
আজ এই পৃথিবীর যে কোনাতেই বসে বসে সে নবীর মত সর্বশ্রেষ্ট নেয়ামতের শোকরানা
মাহফিল আয়োজন করেন তাহলে আল্লাহ কি তাতে ফেরেশতাদের কাছে ফখর করবেন না? অবশ্যই করবেন।
আল্লাহর খোঁটাঃ
আল্লাহ আমাদেরকে এত নেয়ামত দিয়েছেন, এত দয়া করেছেন
কোন নেয়ামত এর কথা, দয়ার কথা দেখিয়ে দেন নি কিন্তু এমন এক নেয়ামত
দিয়েছেন যার কথা আল্লাহ বলে দিয়েছেন
কোন নেয়ামত এর কথা, দয়ার কথা দেখিয়ে দেন নি কিন্তু এমন এক নেয়ামত
দিয়েছেন যার কথা আল্লাহ বলে দিয়েছেন
হুযুর যে আমাদের জন্য আল্লাহর বড় দয়া বড় এহসান সে বিষয়ে কুরানেও সুরা আল ইমরানের
১৬৪ নং আয়াত আছে যেমন
১৬৪ নং আয়াত আছে যেমন
(লাকাদ মান্নালল্লাহা আলাল মুমিনিনা ইজ বাআছা ফিহিম রাছুলা)
অর্থাৎ আমি নিশ্চয় মু’মীনদের
উপর অনুগ্রহ (বড় এহসান) করেছি যে আমি তাদের মাঝে আমার রাসুল কে পাঠিয়েছি।'
উপর অনুগ্রহ (বড় এহসান) করেছি যে আমি তাদের মাঝে আমার রাসুল কে পাঠিয়েছি।'
আল্লাহ আমাদেরকে বলেননি তোমাকে টাকা পয়সা, ধন সম্পদ,
নারী, গাড়ী, বাড়ী দিয়ে,
সন্তান, স্ত্রী, পরিবার,
মা বাবা, জ্ঞান, গরিমা,
রাজত্বি, জীবন, ইত্যাদি দিয়ে
বড় এহসান করেছি বড় দয়া করেছি, কিন্তু একটা জিনিষ দিয়ে আল্লাহ
বলে দিলেন হে মুমিনরা নিশ্চয়ই আমি তোমার উপর বড় দয়া করেছি আমার রাসুলকে তোমাদের কাছে
পাঠিয়ে। আর সে দয়া সে একসান এর শোকর আদায় করার
কারনে সাহাবাদের এমন কাজে যদি আল্লাহ ফখর করে, আমারা যদি
সে নবীর আগমনে খুশী পালন করি মিলাদুন্নবী পালন করি শোকরীয়া আদায় করি তাহলে আল্লাহ অবশ্যই
খুশী হবেন।
নারী, গাড়ী, বাড়ী দিয়ে,
সন্তান, স্ত্রী, পরিবার,
মা বাবা, জ্ঞান, গরিমা,
রাজত্বি, জীবন, ইত্যাদি দিয়ে
বড় এহসান করেছি বড় দয়া করেছি, কিন্তু একটা জিনিষ দিয়ে আল্লাহ
বলে দিলেন হে মুমিনরা নিশ্চয়ই আমি তোমার উপর বড় দয়া করেছি আমার রাসুলকে তোমাদের কাছে
পাঠিয়ে। আর সে দয়া সে একসান এর শোকর আদায় করার
কারনে সাহাবাদের এমন কাজে যদি আল্লাহ ফখর করে, আমারা যদি
সে নবীর আগমনে খুশী পালন করি মিলাদুন্নবী পালন করি শোকরীয়া আদায় করি তাহলে আল্লাহ অবশ্যই
খুশী হবেন।
কোন মন্তব্য নেই