অমিতাভ বচ্চন ও সুস্মিতা সেনের জীবনে কুরানের মুজেযা
যুগে যুগে অমুসলিম মনিষিরা কুরআন গবেষনা করে বিষ্ময়ে হতবাক
হয়েছেন
তারই ধারাবাহিকতায় বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ঘোষনা করেন তিনি মনের প্রশান্তির
জন্য কুরআন এর অনুবাদ পাঠ করেন। আর এ কুরআন পাঠ দ্বারা তিনি আশ্চর্য্যজনক পরিস্থিতির
সম্মুখিন হয়েছেন তা আলোচনা করব। আশা করি শেষ পযন্ত সাথেই থাকবেন।
প্রিয় দোস্ত ও বুযুর্গ- পবিত্র কুরআন এমন এক কিতাব যার ব্যপারে
আল্লাহ বলেন (জালিকাল কিতাবু লা রাইবা ফিহি) এটি এমন এক কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নাই,
এ কিতাব নিয়ে যুগে যুগে অসংখ্য অমুসলিম পন্ডিতরা গবেষনা করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকটি
মন্তব্য যা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয় তা আপনাদের জানাতে চাই যেমন-
কুরআনের ইংরেজি অনুবাদক খৃস্টান পন্ডিত ড. সেলর কুরআন সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত
করে বলেন যে, ‘‘কুরআনের ন্যায় এমন সুগভীর
অর্থবহ গ্রন্থ মানব রচনার বহির্ভূত। কুরআন একটি জীবন্ত মু'জিজা সদৃশ গ্রন্থ। যেই মুজিজা মৃতকে জীবিত করার চাইতেও বিস্ময়কর।’’
মি. এফ এফ আর্বুথন্ট বলেন, ‘‘কুরআন অতি উৎসাহী অনুবাদক
এবং বহু বিকৃতকারকে উপেক্ষা করে এ পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় অবিকৃত রয়েছে। কেননা
স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা তাঁর পবিত্র কুরআনের
ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, ‘আমিই এই কুরআন নাযিল করেছি
এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।'
ভারতের বিশ্ববিখ্যাত পন্ডিত মিসেস সরোজিনী নাইডু বলেন, ‘‘ন্যায় পরায়ণতা ইসলাম ধর্মের এক অপূর্ব আদর্শ। আমি কুরআন অধ্যায়ন করে এতে
জীবনের প্রগতিশীল ব্যবস্থাই লক্ষ্য করেছি সর্বাধিক। সমগ্র বিশ্ব উপযোগী বাস্তব
জীবনের ন্যায়নীতিই এতে লক্ষ্য করেছি অধিক।’’
শিখ জাতির ধর্মীয় নেতা গুরু নানক বলেন, ‘‘বেদ পুরানের যুগ চলে গেছে, এখন বিশ্ব পরিচালনার জন্য
পবিত্র কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ। মানুষ অবিরত ব্যাকুল এবং নরকে যাবার কারণ ইসলামের
নারীর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধহীনতা নেই।’’
তেমনি ভাবে ৫০ বছর যাবৎ বলিউডে অভিনয়কারী একজন অভিনেতা যিনি কোটি কোটি দর্শকের
প্রিয় একজন অভিনেতা তিনি যখন মানসিক অশান্তিতে দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁর এক হিতাকাংক্ষি
তাকে পরামশ দিল কুরআন তেলাওয়াত করতে, তিনি কুরআন আরবী তেলাওয়াত করতে পারেন না তাই তিনি
কুরাআনের ইংরেজী অনুবাদ পড়তে আরম্ভ করলেন, আর কুরআন পড়ার পর তিনি নিজেই স্বীকার করেন-
এ কুরআনের প্রতিটি লফজ তার মনের মধ্যে দারুন ভাবে রেখাপাত করতে লাগল, আর মনের এক ধরনের
আজিব প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিল। সুবহানাল্লাহ। তিনি তার টুইট বার্তায় ১৩ নং সুরার
১১ নং আয়াতের ইংরেজী অনুবাদ শেয়ার করেন
God changes not what is in a people . until they change what is in
themselves.
যার অথ হল
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।
إِنَّ اللّهَ لاَ يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ
مَا بِأَنْفُسِهِمْ
এ থেকে বুঝা যায় তিনি কুরআন
পড়েন এবং এ থেকে ফায়দা হাসিল করেন, তাছাড়া কোন বনেগা ক্রোর পতিতে একজন প্রতিযোগী তাঁকে
একটি কুরআন উপহার দেয়, তখন তিনি সে প্রতিযোগীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন এবং
তিনি সে অনুষ্ঠানে ঘোষনা করেন যে সময় পেলে তিনি কুরআন পড়বেন।
মনে হয় তিনি কুরআন পড়া আরম্ভ
করে দিয়েছেন তাই বিগত কিছুদিন যাবৎ তিনি তাঁর টুইট বার্তায় কুরআনের আয়াত শেয়ার করছেন।
যেমন স্ক্রীন শটে দেখুন সুরা
বাকারার ১৭৭ নং আয়াত তিনি কোড করেছেন
এরপর সুরা বাকারার ২৬৪ নং আয়াতও
শেয়ার করেন যে আয়াতটি হল
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ
آمَنُواْ لاَ تُبْطِلُواْ صَدَقَاتِكُم بِالْمَنِّ وَالأذَى
হে
ঈমানদারগণ!তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে
নিজেদের দান খয়রাত বরবাদ করো না [ সুরা বাকারা ২:২৬৪ ]
এভাবে আল্লাহ তায়ালা এই
কালাম বিশ্বকে জয় করছে, অমুসলিমরাও এ কুরআন থেকে ফায়দা হাসিল করছে কিন্তু দুঃখের
বিষয় আমরা মুসলমান হয়ে এই কুরআন থেকে দুরে সরে যাচ্ছি।
খবরে আরো জানা যায়
ইন্ডিয়ার এক বিশ্ব সুন্দরী যার নাম সুস্মিতা সেনও একটি অনুষ্ঠানে সুরা আসর
সুস্পষ্ট আরবীতে তেলাওয়াত ও তার তরজুমা পড়েন সকলকে অবাক করে দেন,
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ
الرَّحِيمِ وَالْعَصْرِ
কসম যুগের (সময়ের), [ সুরা আসর ১০৩:১ ]
إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي
خُسْرٍ
নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; [ সুরা আসর ১০৩:২ ]
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا
وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
কিন্তু তারা নয়, যারা
বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে
সবরের। [ সুরা আসর
১০৩:৩ ]
তার এই কাজে অনেক ইসলাম
বিদ্বেষীরা তাঁর বিরুদ্ধে মিডিয়ায় ঝড় তুলল, তারা বলে সুসমিতা সেন মুসলমান হয়ে
গেছে, তখন সুসমিতা বলেন আমি মানসিক শান্তির জন্য এই আসমানি কিতাব পড়ি, তাতে আমি
মনে শান্তি পায়, আপনাদের কারো মনে অশান্তি থাকলে আপনারাও কুরআন পড়ে দেখুন দেখবেন
আপনার মনের সব অশান্তি দুর হয়ে যাবে,
প্রিয় দর্শক মন্ডলী
এটাই হল কুরআনের মুযেজা, এটা যে সত্যিকার আল্লাহর কিতাব তার প্রমান তাই এর
আয়াতসমুহ অমুসলিমদের অন্তরকেও আকৃষ্ট করে।
এই হল অমুসলিদের কুরআন
থেকে উপকার হাসিলের অবস্থা, কিন্তু তাঁরা যদি ঈমান গ্রহণ করে তখন কি হবে একবার
চিন্তা করুন, আল্লাহ কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে কুরআনের নুরে
আলোকিত হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।
কোন মন্তব্য নেই