বিনা হিসাবে বিনা আযাবে জান্নাতে যাওয়ার ৪টি শর্ত। কোরআন হাদীসের আলোকে।
বিনা হিসাবে জান্নাতে
যাওয়ার ৪টি শর্ত
মুমিনদের মধ্যে এমন কিছু লোক হবে যারা বিনা
হিসাবে জান্নাতে যাবে, তাদের কোন হিসাব নাই। তারা কারা জানেন? (এয়াদখুলু মিন উম্মাতি
সাবউনা আলফা, মা কুল্লি, আলফিন সাবউনা আলফা) এই উম্মতের ৭০ হাজার লোক প্রতি হাজারের
সাথে আবার ৭০ হাজার লোক (এয়াদকুলু মিন উম্মাতি আল জান্নাহ বিগাইরি হাসাবিন ওয়ালা আজা)
কোন আযাব কোন হিসাব হবে না।
হিসাবে জান্নাতে যাবে, তাদের কোন হিসাব নাই। তারা কারা জানেন? (এয়াদখুলু মিন উম্মাতি
সাবউনা আলফা, মা কুল্লি, আলফিন সাবউনা আলফা) এই উম্মতের ৭০ হাজার লোক প্রতি হাজারের
সাথে আবার ৭০ হাজার লোক (এয়াদকুলু মিন উম্মাতি আল জান্নাহ বিগাইরি হাসাবিন ওয়ালা আজা)
কোন আযাব কোন হিসাব হবে না।
তারা কারা? ৭০ হাজাঁরের সাথে ৭০ হাজার গুণ
করে দেখুন কত হবে জানেন? ৪৯০ কোটি লোক- যখন তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে (উজুহুহুম কাল
কামারে লাইলাতাল বাদার) ১৪ তারিখের চাঁদের যে উজ্জ্বল আলো সে রকম তাদের চেহেরা হবে।
(আখিজাত বাদুহুম বাদা) ৪৯০ কোটি লোক একে অপরের হাত ধরে প্রবেশ করবে। একই দরজা দিয়ে
একসাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
করে দেখুন কত হবে জানেন? ৪৯০ কোটি লোক- যখন তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে (উজুহুহুম কাল
কামারে লাইলাতাল বাদার) ১৪ তারিখের চাঁদের যে উজ্জ্বল আলো সে রকম তাদের চেহেরা হবে।
(আখিজাত বাদুহুম বাদা) ৪৯০ কোটি লোক একে অপরের হাত ধরে প্রবেশ করবে। একই দরজা দিয়ে
একসাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
এমন জান্নাতিহওয়ার জন্য ৪টি শত (১) লা এয়াছতারকুন
(২) ওয়ালা এয়াতাতায়্যারুন (৩)ওয়ালা এয়াকতাউন (৪)ওয়া আলা রাব্বিহিম এয়াতাওয়াক্কালুন
(২) ওয়ালা এয়াতাতায়্যারুন (৩)ওয়ালা এয়াকতাউন (৪)ওয়া আলা রাব্বিহিম এয়াতাওয়াক্কালুন
ততকালীন যুগে আরবদের মাঝে কিছু রোগের জন্যে একটা চিকিৎসা
ব্যবস্থা চালু ছিলো আর তা হচ্ছে, লোহা
দিয়ে পুড়িয়ে ক্ষত বা ব্যথার স্থানে দাগ দেওয়া।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম এই চিকিৎসাটাকে অপছন্দ করেছেন এবং দেখা যায় কিছু হাদীসে তিনি সেটা
করতে নিষেধ করেছেন। এজন্য কিছু আলেম এটাকে ‘হারাম’ মনে করেন, আবার
কিছু আলেম এটাকে ‘মাকরুহ’ মনে
করেন। যাই হোক, যারা সৌভাগ্যবান ৭০ হাজার লোকের
অন্তর্ভুক্ত হবে তারা এমন ‘মাকরুহ’ বা অপছন্দনীয় কাজটা করবেনা।
ব্যবস্থা চালু ছিলো আর তা হচ্ছে, লোহা
দিয়ে পুড়িয়ে ক্ষত বা ব্যথার স্থানে দাগ দেওয়া।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম এই চিকিৎসাটাকে অপছন্দ করেছেন এবং দেখা যায় কিছু হাদীসে তিনি সেটা
করতে নিষেধ করেছেন। এজন্য কিছু আলেম এটাকে ‘হারাম’ মনে করেন, আবার
কিছু আলেম এটাকে ‘মাকরুহ’ মনে
করেন। যাই হোক, যারা সৌভাগ্যবান ৭০ হাজার লোকের
অন্তর্ভুক্ত হবে তারা এমন ‘মাকরুহ’ বা অপছন্দনীয় কাজটা করবেনা।
রুকইয়া’ বা শরিয়াত সম্মত ঝাড়ফুঁক অন্যের কাছ থেকে নেওয়া
জায়েজ আছে। তবে অন্যকে রুকইয়া
করে দিতে বলার অর্থ হচ্ছে একজন ব্যক্তির উপরে নির্ভর করা। এইজন্যে এই কাজটা জায়েজ হলেও, উত্তম
হচ্ছে আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে নিজের রুকইয়া নিজে করার মতো ঈমান ও
তাওয়্যাক্কুল গড়ে তোলা।
জায়েজ আছে। তবে অন্যকে রুকইয়া
করে দিতে বলার অর্থ হচ্ছে একজন ব্যক্তির উপরে নির্ভর করা। এইজন্যে এই কাজটা জায়েজ হলেও, উত্তম
হচ্ছে আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে নিজের রুকইয়া নিজে করার মতো ঈমান ও
তাওয়্যাক্কুল গড়ে তোলা।
‘যে কোন ধরণের কুলক্ষণ মানা বা বিশ্বাস করা
শিরক’। আব্দুল্লাহ ইবনে
মাসউদ রদ্বিয়াল্লহু তাআলা আ’নহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কুলক্ষণ বা অশুভ লক্ষণ মানা শিরক।” একথা নবীজী তিনবার উচ্চারণ করেন।
[সুনানে আবু দাউদ, মিশকাতঃ ৪৫৮৪]
শিরক’। আব্দুল্লাহ ইবনে
মাসউদ রদ্বিয়াল্লহু তাআলা আ’নহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কুলক্ষণ বা অশুভ লক্ষণ মানা শিরক।” একথা নবীজী তিনবার উচ্চারণ করেন।
[সুনানে আবু দাউদ, মিশকাতঃ ৪৫৮৪]
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী
করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,(এক
সময়) আঁমার সামনে অতীতের সকল নবী ও উম্মতকে পেশ করা হল।(দেখলাম) কোন নবী কয়েকজন
উম্মতকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। কোন নবীর সঙ্গে রয়েছে দশজন উম্মত। কোন নবীর সঙ্গে
পাঁচজন আবার কোন নবী একা একা যাচ্ছেন।নজর দিলাম, হঠাৎ
দেখি অনেক বড় একটি দল। আঁমি বললাম, হে
জিবরাঈল! ওরা কি আঁমার উম্মত? তিনি বললেন, না।তবে
আঁপনি উর্ধ্বলোকে নজর দিন।আঁমি নজর দিলাম,হঠাৎ
দেখি অনেক বড় একটি দল।ওরা আঁপনার উম্মত। আর তাদের সামনে রয়েছে সত্তর হাজার লোক।
তাদের কোন হিসাব হবে না। হবে না তাদের কোন আযাব। আঁমি বললাম, তা
কেন? তিনি বললেন,“তারা
কোন দাগ লাগাতো না,ঝাড়ফুঁকের শরণাপন্ন হত না এবং কুযাত্রা মানত না। আর তারা
কেবল প্রতিপালকের উপরই ভরসা করত।
করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,(এক
সময়) আঁমার সামনে অতীতের সকল নবী ও উম্মতকে পেশ করা হল।(দেখলাম) কোন নবী কয়েকজন
উম্মতকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। কোন নবীর সঙ্গে রয়েছে দশজন উম্মত। কোন নবীর সঙ্গে
পাঁচজন আবার কোন নবী একা একা যাচ্ছেন।নজর দিলাম, হঠাৎ
দেখি অনেক বড় একটি দল। আঁমি বললাম, হে
জিবরাঈল! ওরা কি আঁমার উম্মত? তিনি বললেন, না।তবে
আঁপনি উর্ধ্বলোকে নজর দিন।আঁমি নজর দিলাম,হঠাৎ
দেখি অনেক বড় একটি দল।ওরা আঁপনার উম্মত। আর তাদের সামনে রয়েছে সত্তর হাজার লোক।
তাদের কোন হিসাব হবে না। হবে না তাদের কোন আযাব। আঁমি বললাম, তা
কেন? তিনি বললেন,“তারা
কোন দাগ লাগাতো না,ঝাড়ফুঁকের শরণাপন্ন হত না এবং কুযাত্রা মানত না। আর তারা
কেবল প্রতিপালকের উপরই ভরসা করত।
তখন
উক্কাশা ইব্ন মিহ্সান নবী করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এঁর দিকে উঠে
দাঁড়িয়ে বললেন,আঁপনি আমার জন্য দোয়া করুন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে তাদের
অন্তর্ভুক্ত করেন। রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে
আল্লাহ! তুমি একে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত কর। এরপর আরেক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আমার
জন্য দোয়া করুন আল্লাহ যেন আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেন।রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,উক্কাশা
তো দোয়ার ব্যাপারে তোমার চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গিয়েছে।
উক্কাশা ইব্ন মিহ্সান নবী করীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এঁর দিকে উঠে
দাঁড়িয়ে বললেন,আঁপনি আমার জন্য দোয়া করুন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে তাদের
অন্তর্ভুক্ত করেন। রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে
আল্লাহ! তুমি একে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত কর। এরপর আরেক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আমার
জন্য দোয়া করুন আল্লাহ যেন আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেন।রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,উক্কাশা
তো দোয়ার ব্যাপারে তোমার চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গিয়েছে।
জান্নাতে যাওয়ার শত জানতে সুরা আসরের দিকে খেয়াল করুন
① ‘ইল্লাল্লাজিনা আমানু’ -যারা বিশ্বাস স্থাপন করে- (ঈমান)
② ‘ওয়া আমিলুসসলিহাত’ -সৎকর্ম করে - (সৎ আমল)
③ ‘অতাওয়া সাওবিল হাক্’ -পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের- (দাওয়াহ্)
④ ‘ওয়াতাওয়াসাও বিসসবর’ -তাকীদ করে সবরের -(নিজে সবর করে এবং অন্যকে সবর করার উৎসাহ দান করে)
এই চারটির একটিও যদি ছুটে
যায়, সূরা আসর অনুযায়ি আপনি জান্নাতে যেতে
পারবেন না।
② ‘ওয়া আমিলুসসলিহাত’ -সৎকর্ম করে - (সৎ আমল)
③ ‘অতাওয়া সাওবিল হাক্’ -পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের- (দাওয়াহ্)
④ ‘ওয়াতাওয়াসাও বিসসবর’ -তাকীদ করে সবরের -(নিজে সবর করে এবং অন্যকে সবর করার উৎসাহ দান করে)
এই চারটির একটিও যদি ছুটে
যায়, সূরা আসর অনুযায়ি আপনি জান্নাতে যেতে
পারবেন না।
কোন মন্তব্য নেই