সাহাবীদের অদ্ভুৎ নামের রহস্য। বিড়ালের বাবা।মাটির বাবা। দুই হাত ওয়ালা।গাধা।
ঘটনা-৫ (জুল এয়াদাইন- আবু হুরায়রা, ছফিনা)
হুযুর সাহাবাদের খুবই মহব্বত করতেন সাহাবাগনও হুযুরকে
প্র্রাণের চেয়েও ভালবাসতেন, সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতেন, এক সাহাবীকে হুযুর (দঃ) ডাক
দিলেন হে দুই হাত ওয়ালা (জুল এয়াদাইন) সেদিন থেকে তার নামই হলে গেল জুল এয়াদাইন,
তাঁর কাছে একদিন কেহ প্রশ্ন করল জুল এয়াদাইন তো হুযুর আদর করে ডেকেছে আর লোকজনও
তোমাকে দুই হাত ওয়ালা বলে বলে ডাকে তোমার আসল নামটা কি? তখন হযরত জুল এয়াদাইন
বললেন যেদিন আমার নবী আমাকে আদর করে জুল এয়াদাইন বলে ডেকেছে সেদিন থেকে আমার আসল
নামই হয়ে গেল যুল এয়াদাইন। সুবহানাল্লাহ।
প্র্রাণের চেয়েও ভালবাসতেন, সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতেন, এক সাহাবীকে হুযুর (দঃ) ডাক
দিলেন হে দুই হাত ওয়ালা (জুল এয়াদাইন) সেদিন থেকে তার নামই হলে গেল জুল এয়াদাইন,
তাঁর কাছে একদিন কেহ প্রশ্ন করল জুল এয়াদাইন তো হুযুর আদর করে ডেকেছে আর লোকজনও
তোমাকে দুই হাত ওয়ালা বলে বলে ডাকে তোমার আসল নামটা কি? তখন হযরত জুল এয়াদাইন
বললেন যেদিন আমার নবী আমাকে আদর করে জুল এয়াদাইন বলে ডেকেছে সেদিন থেকে আমার আসল
নামই হয়ে গেল যুল এয়াদাইন। সুবহানাল্লাহ।
আবু হুরায়রা নামের রহস্যঃ
যাঁর প্রকৃত নাম আবদুর-রহমান ইবনে সাখর অথবা উমায়র ইবনে আমির। তিনি আসহাবুস সুফফার
একজন সদস্য ছিলেন। তিনি তিন বছর নবী মুহাম্মদ(সা.) এর সান্নিধ্যে ছিলেন এবং
বহুসংখ্যক হাদিস আত্মস্থ করেন এবং বর্ণনা করেন। হিসাব অণুযায়ী, ৫,৩৭৫ টি হাদিস তার কাছ থেকে
লিপিবদ্ধ হয়েছে। বলা হত যে, উর্বর মস্তিষ্ক ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন তিনি। তার কাছ থেকে আটশত
তাবেঈ হাদিস শিক্ষা লাভ করেছিলেন।
একজন সদস্য ছিলেন। তিনি তিন বছর নবী মুহাম্মদ(সা.) এর সান্নিধ্যে ছিলেন এবং
বহুসংখ্যক হাদিস আত্মস্থ করেন এবং বর্ণনা করেন। হিসাব অণুযায়ী, ৫,৩৭৫ টি হাদিস তার কাছ থেকে
লিপিবদ্ধ হয়েছে। বলা হত যে, উর্বর মস্তিষ্ক ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন তিনি। তার কাছ থেকে আটশত
তাবেঈ হাদিস শিক্ষা লাভ করেছিলেন।
আবু হুরায়রা নামটিতে একটি মজার কাহিনী রয়েছে। একদিন হযরত
আবু হুরায়রা (রা.) জামার আস্তিনের নিচে একটি বিড়াল ছানা নিয়ে রাসুল (সাঃ) এর
দরবারে উপস্থিত হন। বিড়ালটি হঠাৎ সকলের সামনে বেরিয়ে পড়ল। এ অবস্থা দেখে রাসুল
(সাঃ) তাঁকে রসিকতা করে- ‘হে বিড়ালের পিতা’! বলে সম্বোধন করলেন। এরপর থেকে তিনি আবু হুরায়রা নামে খ্যাতি
লাভ করেন।সেদিন থেকে তিনি নিজেকে আবু হুরায়রা নামেই পরিচয় দিতে পছন্দ
করতেন। সুবহানাল্লাহ।
আবু হুরায়রা (রা.) জামার আস্তিনের নিচে একটি বিড়াল ছানা নিয়ে রাসুল (সাঃ) এর
দরবারে উপস্থিত হন। বিড়ালটি হঠাৎ সকলের সামনে বেরিয়ে পড়ল। এ অবস্থা দেখে রাসুল
(সাঃ) তাঁকে রসিকতা করে- ‘হে বিড়ালের পিতা’! বলে সম্বোধন করলেন। এরপর থেকে তিনি আবু হুরায়রা নামে খ্যাতি
লাভ করেন।সেদিন থেকে তিনি নিজেকে আবু হুরায়রা নামেই পরিচয় দিতে পছন্দ
করতেন। সুবহানাল্লাহ।
হযরত ছফিনা
এর আসল নাম মেহরানঃ
এর আসল নাম মেহরানঃ
হযরত ছফিনা (রাঃ) উনার কাজ ছিল যখন কোথাও মুসলমানদের কাফেলা অবস্থান
করত তিনি সকলের পরে আসতেন যাতে কেউ কিছু ফেলে গেলেন কিনা তা তিনি কুড়িয়ে নিয়ে আসতে
পারেন, একদিন হযরত ছফিনা (রাঃ) কোন এক কাফেলা থেকে দুই হাতে অনেক ফেলে আসা জিনিষ নিয়ে আসলেন এতকিছু তিনি বহন
করে নিয়ে আসছেন দেখেন হুযুর (দঃ) তাঁকে
ছফিনা বা কিস্তি বা জাহাজ বলে ডাক দিলেন, অথ্যাৎ তিনি একটা বড়
নৌকা বা কস্তির মত অনেক গুলি মালপত্র নিয়ে এসেছিলেন, সেদিন থেকে
সে সাহাবী নিজেকে সাফিনা বা কস্তি বলে পরিচয় দিতেই ফখর করতেন। এক কাফেলায়
তিনি সকলের পিছনে আসছিলেন এলাকাটি ছিল জঙ্গল, সকলে আগে চলে গেল আর হযরত ছফিনা সকলের পিছনে ছুটে যাওয়া মালপত্র উঠিয়ে যখন
আসছিলেন এক বাঘের সামনে পড়ে গেলেন হযরত ছফিনা বাঘকে সম্বোধন করে বলে দিলেন (এয়া আবাল হারেছ আনা মাওলা রাসুলিল্লাহ)
হে জঙ্গলের বাদশা শুন আমি রাসুলুল্লাহ গোলাম। একথা বলার
সাথে সাথে বাঘ নিজে আনুগত্যের লেজ নাড়তে আরম্ভ করে দিলেন। রাবি বলেন
সে বাঘটি গোটা জঙ্গলে হযরত সাফিনাকে আগে আগে রাস্তা পরিস্কার করে নিরাপদে নিয়ে গেল, কাফেলা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে সে বাঘটি জঙ্গলে
চলে গেল। সুবহানাল্লাহ। আল্লাহর রাসুলকে পশু
পাখি সম্মানকরেন দেখুন রাসুলের গোলামদেরকে পশুপাখি কত সম্মান করেন।
করত তিনি সকলের পরে আসতেন যাতে কেউ কিছু ফেলে গেলেন কিনা তা তিনি কুড়িয়ে নিয়ে আসতে
পারেন, একদিন হযরত ছফিনা (রাঃ) কোন এক কাফেলা থেকে দুই হাতে অনেক ফেলে আসা জিনিষ নিয়ে আসলেন এতকিছু তিনি বহন
করে নিয়ে আসছেন দেখেন হুযুর (দঃ) তাঁকে
ছফিনা বা কিস্তি বা জাহাজ বলে ডাক দিলেন, অথ্যাৎ তিনি একটা বড়
নৌকা বা কস্তির মত অনেক গুলি মালপত্র নিয়ে এসেছিলেন, সেদিন থেকে
সে সাহাবী নিজেকে সাফিনা বা কস্তি বলে পরিচয় দিতেই ফখর করতেন। এক কাফেলায়
তিনি সকলের পিছনে আসছিলেন এলাকাটি ছিল জঙ্গল, সকলে আগে চলে গেল আর হযরত ছফিনা সকলের পিছনে ছুটে যাওয়া মালপত্র উঠিয়ে যখন
আসছিলেন এক বাঘের সামনে পড়ে গেলেন হযরত ছফিনা বাঘকে সম্বোধন করে বলে দিলেন (এয়া আবাল হারেছ আনা মাওলা রাসুলিল্লাহ)
হে জঙ্গলের বাদশা শুন আমি রাসুলুল্লাহ গোলাম। একথা বলার
সাথে সাথে বাঘ নিজে আনুগত্যের লেজ নাড়তে আরম্ভ করে দিলেন। রাবি বলেন
সে বাঘটি গোটা জঙ্গলে হযরত সাফিনাকে আগে আগে রাস্তা পরিস্কার করে নিরাপদে নিয়ে গেল, কাফেলা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে সে বাঘটি জঙ্গলে
চলে গেল। সুবহানাল্লাহ। আল্লাহর রাসুলকে পশু
পাখি সম্মানকরেন দেখুন রাসুলের গোলামদেরকে পশুপাখি কত সম্মান করেন।
হযরত বুরায়দা ও জামেলাতুন বা বোঝা বহনকারী উট ডাকাঃ
হযরত বুরায়দা তিনি নিজেই বর্ণনা করেন কোন এক সফরে হুযুর (দঃ) এর সফর সঙ্গী হওয়ার
সৌভাগ্য নছিব হয়, সফরের এক জায়গায় যখন সকলে বিশ্রাম নিচ্ছিল তখন
আমি এক জায়গায় বসে ছিলাম আর সকল সাহাবা আমার কাছে তাদের জিনিষপত্র রাখতে লাগল,
আমার পাশ অনেক জিনিষপত্র জমা হয়ে গেল, তখন আমার
পাশ দিয়ে হুযুর (দঃ) যাচ্ছিলেন আমার কাছে
অনেকগুলো বোঝা দেখে হুযুর আমাকে আদর করে বললেন (আনতা জামেলাতুন)
অথ্যাৎ তুমিহলে বোঝা বহনকারী উট। সুহবানাল্লাহ, আর সে সাহাবী নিজেকে নবীজি যে উট বলেছেন তা
তিনি মহাখুশীতে প্রচার করছেন।
সৌভাগ্য নছিব হয়, সফরের এক জায়গায় যখন সকলে বিশ্রাম নিচ্ছিল তখন
আমি এক জায়গায় বসে ছিলাম আর সকল সাহাবা আমার কাছে তাদের জিনিষপত্র রাখতে লাগল,
আমার পাশ অনেক জিনিষপত্র জমা হয়ে গেল, তখন আমার
পাশ দিয়ে হুযুর (দঃ) যাচ্ছিলেন আমার কাছে
অনেকগুলো বোঝা দেখে হুযুর আমাকে আদর করে বললেন (আনতা জামেলাতুন)
অথ্যাৎ তুমিহলে বোঝা বহনকারী উট। সুহবানাল্লাহ, আর সে সাহাবী নিজেকে নবীজি যে উট বলেছেন তা
তিনি মহাখুশীতে প্রচার করছেন।
হযরত আলী (রাঃ) কে আবু তুরাবঃ
একদিন নবী করিম (দঃ) মসজিদে প্রবেশ করে দেখেন হযরত আলী (রাঃ) মসজিদের শুয়ে আছেন যাতে তারঁ শরীরে ধুলাবালি লেগে আছে তখন হুযুর (দঃ) হযরত আলীকে আদর করে ডাকে হে আবু তুরাব বা ধুলা বালির আব্বা।
হযরত আবদুল্লাহকে গাধা বা হেমার বলে ডাকা
বুখারী শরীফের ৬৭৮০ নং হাদীস- এক সাহাবী যার নাম ছিল আবদুল্লাহ যার কাজ ছিল সে নানান কথা বলে রাসুলুল্লাহকে হাসাত, হুযুর (দঃ) তাঁকে উপাধী দিলেন হেমার বা গাধা বলে।
মানুষকে খারাপ নামে ডাকাঃ আল্লাহ তায়ালা সুরা হুজরাতের ১১ নং আয়াতে এরশাদ করেন (ওয়ালা তানাবাজু বিল আলকাব) তোমরা অপরের মন্দ নাম রেখো না।
কিন্তু হাদীস সমুহে দেখা যায় আল্লাহর নবী (দঃ) কাউকে আবু হুরায়রা, কাউকে জামেলাতুন বা উট, কাউকে হেমার বা গাধা, কাউকে ছফিনা বা ডিঙ্গি নৌকা বলে নাম দিয়েছেন, মনে রাখবেন কাউকে তুচ্ছ তাচ্চিল্য করার নিয়তে যদি হয় তা ইসলাম সমর্থন করেন না, কিন্তু হযুর (দঃ) এর নুরানী জবানে যে সব নাম বের হয়েছে তা এমনই ছিল যেন হুযুর নবুয়তের জবানে অতি আদর করে এসব নাম ধরে ডাকছেন, আর হুযুরের জবান থেকে যা বের হয় তা মুলত আল্লাহর অহি যেমন আল্লাহ এরশাদ করেন (লা ইউনতিকু আনিল হাওয়া ইন হুয়া ইল্লা অহিউন ইউহা) আর সাবাহাগন নবীজির এমন নাম গুলিকে নিজেদের জন্য সৌভাগ্য বলে মনে করত, গর্ভ করে তা প্রচার করত সে নামে নিজেদেরকে পরিচয় দিত। আল্লাহর নবীর অন্তরে এ সব সাহাবীদের প্রতি যে আলাদা স্পেশাল ভালবাসা ছিল তা এসব নামের মধ্যে ফুটে উঠত। সুতরাং তা অবশ্যই হুযুরের জন্য জায়েজ, তবে আমাদের জন্য কখনো জায়েজ নয় অন্য কোন মুসলমানকে খারাপ নামে ডাকা।
কিছু প্রচলিত খারাপ নাম
যেমন বেটে লোককে বাইট্টে, লম্বা লোককে লম্বু, মোটাকে মুটকু, অন্ধকে কানা, সোজা টাইপের লোককে বেওকুফ, বেদমা, কুত্তা, শুয়র, জানোয়ার, এভাবে মানুষকে ইনসাল্ট করে ডাকা হারাম। (ওয়ালা তানাবাজু বিল আলকাব) তোমরা অপরের মন্দ নাম রেখো না।
আল্লাহ আমাদেরকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন
কোন মন্তব্য নেই