মহানবীর ভবিষ্যৎবানী পূর্ণ হল - বাবরী মসজিদ। কেয়ামতের আলামত ও মুসলমানদের...
কেয়ামতের আলামত
মুসলমানদের মধ্যে কেয়ামতের আগে এক মারাত্মক রোগ হবে
সম্মানিত সুধীবৃন্ধ আজ কেয়ামতের এমন এক আলামতের কথা বলব যা আমার নবী ১৪শত বছর আগে বলে গেছেন, আজ তা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হতে দেখা যাচ্ছে.
১০ বছর
ইউএইতে ছিলাম সেখানে দেখেছি ভালো ভালো ঘরের লোকেরা দেশে যার কয়েকটি বাংলো আছে, দালান আছে
তারাও অতি সাধাসিধা জীবন অতিবাহিত করে, এক রুমে
১০জন ১২ জন গাদাগাদি করে থাকে, সকলের একই যুক্তি বিদেশ আমাদের স্থায়ী বাসিন্দা নয় তাই এখানে কোন মতে সময় কাটানো দরকার, তখন আমি বললাম সত্যিই এর মধ্যে আমাদের সকলের জন্য শিক্ষার বিষয় আছে, যেটা আমাদের
স্থায়ী নিবাস সেটাকে উন্নত করা, সুন্দর করে
সাজানোতে সময় ব্যয় করা আমাদের প্রত্যেকের জরুরী। এবার চিন্তা করুন দুনিয়ার তুলনায় আখেরাত এর জীবন আরো বেশী আমাদের জন্য স্থায়ী নিবাস তাহলে আমরা কেন সে চিরস্থায়ী নিবাসকে সাজাতে সময় ব্যয় করি না?
ইউএইতে ছিলাম সেখানে দেখেছি ভালো ভালো ঘরের লোকেরা দেশে যার কয়েকটি বাংলো আছে, দালান আছে
তারাও অতি সাধাসিধা জীবন অতিবাহিত করে, এক রুমে
১০জন ১২ জন গাদাগাদি করে থাকে, সকলের একই যুক্তি বিদেশ আমাদের স্থায়ী বাসিন্দা নয় তাই এখানে কোন মতে সময় কাটানো দরকার, তখন আমি বললাম সত্যিই এর মধ্যে আমাদের সকলের জন্য শিক্ষার বিষয় আছে, যেটা আমাদের
স্থায়ী নিবাস সেটাকে উন্নত করা, সুন্দর করে
সাজানোতে সময় ব্যয় করা আমাদের প্রত্যেকের জরুরী। এবার চিন্তা করুন দুনিয়ার তুলনায় আখেরাত এর জীবন আরো বেশী আমাদের জন্য স্থায়ী নিবাস তাহলে আমরা কেন সে চিরস্থায়ী নিবাসকে সাজাতে সময় ব্যয় করি না?
এ দুনিয়ার কোনো জিনিসই আমাদের নয়, সবকিছু দুনিয়ায় থেকে যাবে। বিশ্ববরেণ্য কবি আল্লামা শেখ সা’দী (রহ.) গুলিস্তা নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, ফরিদুন বাদশাহর রাজপ্রাসাদের ওপর লেখা ছিল নিম্নের কয়েকটি পঙ্ক্তি। ‘হে ভাই, এ দুনিয়া কারও কাছে
স্থায়ীভাবে থাকে না। সুতরাং দুনিয়ার প্রতি মনোযোগী না হয়ে দুনিয়ার স্রষ্টা এক
আল্লাহর প্রতি মনোনিবেশ কর। এ দুনিয়া তোমার মতো অনেককে লালন-পালন করেছে এবং ধ্বংস
করেছে। সুতরাং এ দুনিয়ার ওপর ভরসা কর না। যখন পবিত্র আত্মা চলে যায়, তখন সে চাই সিংহাসনের ওপর মৃত্যুবরণ করুক বা মাটির ওপর মৃত্যুবরণ করুক উভয়
সমান।’
স্থায়ীভাবে থাকে না। সুতরাং দুনিয়ার প্রতি মনোযোগী না হয়ে দুনিয়ার স্রষ্টা এক
আল্লাহর প্রতি মনোনিবেশ কর। এ দুনিয়া তোমার মতো অনেককে লালন-পালন করেছে এবং ধ্বংস
করেছে। সুতরাং এ দুনিয়ার ওপর ভরসা কর না। যখন পবিত্র আত্মা চলে যায়, তখন সে চাই সিংহাসনের ওপর মৃত্যুবরণ করুক বা মাটির ওপর মৃত্যুবরণ করুক উভয়
সমান।’
আফসুস এই মিকি দুনিয়ার প্রতি আজ আমরা আসক্ত হয়ে গেছি, নবী করিম (দঃ) কেয়ামতের আলামত বয়ান করতে গিয়ে বলেন কেয়ামতের আগে এমন এক সময় আসবে তখন তোমাদের মেছাল এমন হবে যেমন ক্ষুধার্থ খাবারের প্লেটের উপর ঝুকে পড়ে, তেমনি তোমরাও মানুষের লোভাতুর দৃষ্টির শিকার হবে, আর লোভি মানুষগুলি তোমাদেরকে চিবিয়ে খাবে, সাহাবাগন আরজ করল এয়া রাসুলাল্লাহ সে সময়কি আমরা সংখ্যায় কম হব রাসুলুল্লাহ ফরমালেন না তখন তোমাদের সংখ্যা খুব বেশী হবে, কিন্তু তোমরা হবে সমুদ্রের পানির উপর ফেনার মত, ফেনা যেমন ওজন ছাড়া হালকা ও মুল্যহীন তোমরাও তেমনি ওজন ছাড়া ও মুল্যহীন হয়ে যাবে। দুনিয়ায় তোমাদের কোন মূল্যই থাকবে না,
সাহাবাগন আরজ করল এয়া রাসুলাল্লাহ এর কারন কি? তখন নবীজি ফরমালেন তখন তোমরা এক মহামারীতে আক্রান্ত হবে, প্রিয় নবী সে রোগের নামও বলে দিলেন (আল ওয়াহান) আরজ করল (মাল ওয়াহান এয়া রাসুলাল্লাহ) ওয়াহান কি এয়া রাসুলাল্লাহ? (কালা হুব্বুদ্দুনিয়া ওয়া কারাহিয়াতুল মওত) দুনিয়ার মহব্বত এবং মৃত্যুর ভয়, এটি এমন এক রোগ যা তোমাদেরকে খেয়ে ফেলবে। তোমরা ওয়াহানে আক্রান্ত হয়ে মুল্যহিন ওজন হীন হয়ে যাবে, ফেনার মত।
আজ দেখুন সারা দুনিয়ায়, মুসলমানরা জুলুমের শিকার, মুসলমানদের জানের কোন মূল্য নাই, মুসলমানদের মা বোনদের ইজ্জতের কোন দাম নাই, মুসলমানদের কাছ থেকে আজ শত বছরের পুরানা মসজিদও ছিনিয়ে নিয়ে যাচে্ছ, মায়ানমারের মুসলমানরা আজ দেশ ছাড়া, চীনের মুসলমানরা আজ নির্যাতনের জুলুমের শিকার, ইন্ডিয়ার মুসলমানরা জুলুমের শিকার, সিরিয়ার মুসলমানরা আজ ঘরবাড়ী ছাড়া।
এর একমাত্র কারন মুসলমানরা আজ সমুদ্রের ফেনার মত হালকা বে ওজনী, মুল্যহীন হয়ে গেছে, মুসলমান দুনিয়ার লোভ আর প্রাণের মায়ায় সারা জাহানের দৃষ্টিতে মুল্যহীন হয়ে গেছে।
আজ বাবরী মসজিদে যদি সত্যি
সত্যি রাম মন্দীর প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে গত বছর
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল (বিজেপি) নেতা সচ্চিদানন্দ
হরি সাক্ষী মহারাজ এমপি এবার দিল্লি জামে মসজিদ ভাঙ্গার দাবী করে বলেন- ‘আমি প্রথম
রাজনীতিতে আসার পর মথুরায় বলেছিলাম, অযোধ্যা, মথুরা, কাশীর দরকার নেই, দিল্লির জামে মসজিদ ভাঙো। সিঁড়ির নিচে যদি মূর্তি না পাওয়া
যায় তাহলে আমাকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে দিও। ওই বক্তব্যে আমি অটল রয়েছি।’
সত্যি রাম মন্দীর প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে গত বছর
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল (বিজেপি) নেতা সচ্চিদানন্দ
হরি সাক্ষী মহারাজ এমপি এবার দিল্লি জামে মসজিদ ভাঙ্গার দাবী করে বলেন- ‘আমি প্রথম
রাজনীতিতে আসার পর মথুরায় বলেছিলাম, অযোধ্যা, মথুরা, কাশীর দরকার নেই, দিল্লির জামে মসজিদ ভাঙো। সিঁড়ির নিচে যদি মূর্তি না পাওয়া
যায় তাহলে আমাকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে দিও। ওই বক্তব্যে আমি অটল রয়েছি।’
যে সময় মুসলমানদের সংখ্যা কম ছিল কিন্তু মুসলমানদের ঈমানী শক্তি মজবুত ছিল, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও নবীর প্রতি আনুগত্য ছিল, মুসলমান একমাত্র আল্লাহকে ভয় করত, তখন সারা বিশ্বে মুসলমানরা শাসন করেছেন, আজ মুসলমানরা ক্ষমতার কাছে ঝুকে যায়, অস্ত্রের সামনে নত হয়ে যায়, ডলারের কাছে বিক্রী হয়ে যায়, দুনিয়ার লোভে দিশেহারা হয়ে যায়, মৃত্যুর ভয়ে পালাতে থাকে, তাই আজ মুসলমানরা বেদ্বীনদের দৃষ্টিতে মুল্যহীন একটি জাতী।
হে আল্লাহ তায়ালা তুমি মুসলমানদের সে ঈমানী জজবা ফিরিয়ে দাও, মুসলমানদের জান মালের হেফাজত করা, বাবরী মসজিদ সহ মুসলমানদের সব প্রতিষ্ঠানকে হেফাজত কর।
কোন মন্তব্য নেই