হাতে পায়ে মেহেদী লাগানো কেমন। মেহেদী সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) কি বলেছেন। Ja...
যে সব নারী
হাতে মেহেদী লাগায় তাঁরা প্রিয় নবীর বাণী শুনেন
হাতে মেহেদী লাগায় তাঁরা প্রিয় নবীর বাণী শুনেন
আসসালামু
আলাইকুম! প্রিয় দর্শকবৃন্দ। নারীরা অনেক শখ করেই মেহেদী লাগায়, বিশেষ করে কোন প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করেই
আমাদের নারীরা মেহেদী লাগিয়ে থাকে, কিন্তু আগের যুগে নারীদের মধ্যে মেহেদী লাগানোর
প্রচলন খুব বেশী ছিল।
আলাইকুম! প্রিয় দর্শকবৃন্দ। নারীরা অনেক শখ করেই মেহেদী লাগায়, বিশেষ করে কোন প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করেই
আমাদের নারীরা মেহেদী লাগিয়ে থাকে, কিন্তু আগের যুগে নারীদের মধ্যে মেহেদী লাগানোর
প্রচলন খুব বেশী ছিল।
যে সব বোনেরা মেহেদী লাগানো
পছন্দ করেন এবং যারা অপছন্দ করেন তাঁরা মনযোগ দিয়ে শুনবেন, এবং এ ব্যপারে আমাদের প্রিয়
নবীজির কি ফরমান আছে তা জেনে নিবেন।
পছন্দ করেন এবং যারা অপছন্দ করেন তাঁরা মনযোগ দিয়ে শুনবেন, এবং এ ব্যপারে আমাদের প্রিয়
নবীজির কি ফরমান আছে তা জেনে নিবেন।
নাপাক অবস্থায় যেমন হায়েজকালীন
মেহেদী লাগানো যাবে কিনা? পায়ে মেহেদী লাগানো যাবে কিনা? কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোন
পুরুষ ডিজাইনার দ্বারা মেহেদী ডিজাইন করা যাবে কিনা? মেহেদী সাদাসিদা লাগাবেন নাকি
ডিজাইন করে লাগাবেন? মেহেদী লাগানোর পর অজু গোসলের হকুম কি? পুরুষেরা মেহেদী কোথায়
লাগাতে পারবেন? ক্লোন মেহেদী লাগালে অজু হবে কিনা? এসব বিষয়ে ইনশাল্লাহ বিস্তারিত আলোচনা
করার চেষ্টা করব-
মেহেদী লাগানো যাবে কিনা? পায়ে মেহেদী লাগানো যাবে কিনা? কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোন
পুরুষ ডিজাইনার দ্বারা মেহেদী ডিজাইন করা যাবে কিনা? মেহেদী সাদাসিদা লাগাবেন নাকি
ডিজাইন করে লাগাবেন? মেহেদী লাগানোর পর অজু গোসলের হকুম কি? পুরুষেরা মেহেদী কোথায়
লাগাতে পারবেন? ক্লোন মেহেদী লাগালে অজু হবে কিনা? এসব বিষয়ে ইনশাল্লাহ বিস্তারিত আলোচনা
করার চেষ্টা করব-
এক মহিলা হযরত আয়শা রাঃ এর
কাছে মেহেদী লাগানো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জবাবে বলেনঃ এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু
রাসূল সাঃ মেহেদীর ঘ্রাণ অপছন্দ করতেন। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৬৪}
কাছে মেহেদী লাগানো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জবাবে বলেনঃ এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু
রাসূল সাঃ মেহেদীর ঘ্রাণ অপছন্দ করতেন। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৬৪}
যেহেতু মেহেদী লাগানো জায়েজ
তাই আগের যুগে মহিলারা শুধু হাতকে রঙিন করার জন্যই প্রতিনিয়ত সাধাসিধা মেহেদী লাগাত,
তবে এ যুগে যে কোন অকেশনে মেহেদী লাগানোর সময় নানান ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
তাই আগের যুগে মহিলারা শুধু হাতকে রঙিন করার জন্যই প্রতিনিয়ত সাধাসিধা মেহেদী লাগাত,
তবে এ যুগে যে কোন অকেশনে মেহেদী লাগানোর সময় নানান ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।
মনে রাখবেন এ ব্যপারে ফোকাহায়ে
কেরামের ফতোয়া হল নারীদের মেহেদী লাগানো জায়েজ।
চাই তা সাধাসিধা হউক কিংবা ডিজাইন করে হউক।
কেরামের ফতোয়া হল নারীদের মেহেদী লাগানো জায়েজ।
চাই তা সাধাসিধা হউক কিংবা ডিজাইন করে হউক।
তবে নিজে বা অন্য কোন নারী
যদি ফুল বা ডিজাইন করে দেয় তা জায়েজ, তবে আজকাল নারীরা মেহেদীর ফুলের ডিজাইনের জন্য
পরপুরুষের সামনে হাত বিছিয়ে দেয় সেটা হারাম। আজ যারা কয়েকটা দিনের জন্য সুন্দর ডিজাইনের
আশায় এই হারাম কাজ করছেন তারা যেন নিজেদেরকে জাহান্নামের ইন্দন হিসেবে তৈরী করছেন।
আমাদের প্রিয় নবী এরশাদ করেন যখন কোন নারী তাঁর হাত কোন পরপুরুষের হাতে রাখে সে হাতের
উপর সবচেয়ে বেশী জাহান্নামের হক হয়ে যায়।
যদি ফুল বা ডিজাইন করে দেয় তা জায়েজ, তবে আজকাল নারীরা মেহেদীর ফুলের ডিজাইনের জন্য
পরপুরুষের সামনে হাত বিছিয়ে দেয় সেটা হারাম। আজ যারা কয়েকটা দিনের জন্য সুন্দর ডিজাইনের
আশায় এই হারাম কাজ করছেন তারা যেন নিজেদেরকে জাহান্নামের ইন্দন হিসেবে তৈরী করছেন।
আমাদের প্রিয় নবী এরশাদ করেন যখন কোন নারী তাঁর হাত কোন পরপুরুষের হাতে রাখে সে হাতের
উপর সবচেয়ে বেশী জাহান্নামের হক হয়ে যায়।
অতএব, যেহেতু মেহেদী ব্যবহারের
অনুমতি ইসলাম নারীদের দিয়েছে কিন্তু এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না যাতে তা আযাবের
কারন হয়ে যায়,
অনুমতি ইসলাম নারীদের দিয়েছে কিন্তু এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না যাতে তা আযাবের
কারন হয়ে যায়,
একটি প্রশ্ন অনেকে করেন যখন
নারীরা নাপাক থাকেন যেমন পিরিয়ড চলাকালীন, কিংবা সন্তান প্রসবের পর নেফাস চলাকালীন
যে নাপাকির সময় তখন মেহেদী লাগানো যাবে কিনা? এ ব্যপারে ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৫ম খন্ডের
৩৫৯ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে মেয়েদের জন্য হাতে পায়ে ও চুলে মেহেদী লাগানো জায়েজ। আর পুরুষের
জন্য শুধু দাঁড়ি ও চুলে লাগানো জায়েজ। পুরুষের জন্য হাতে পায়ে লাগানো জায়েজ নাই।
নারীরা নাপাক থাকেন যেমন পিরিয়ড চলাকালীন, কিংবা সন্তান প্রসবের পর নেফাস চলাকালীন
যে নাপাকির সময় তখন মেহেদী লাগানো যাবে কিনা? এ ব্যপারে ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৫ম খন্ডের
৩৫৯ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে মেয়েদের জন্য হাতে পায়ে ও চুলে মেহেদী লাগানো জায়েজ। আর পুরুষের
জন্য শুধু দাঁড়ি ও চুলে লাগানো জায়েজ। পুরুষের জন্য হাতে পায়ে লাগানো জায়েজ নাই।
তেমনি ভাবে নারীরা পাক অবস্থায়ও মেহেদী লাগাতে পারবে, নাপাক অবস্থাতেও মেহেদী
লাগাতে পারবে এতে কোন শরীয়তের পক্ষ থেকে বাঁধা নেই। নাপাক অবস্থায় মেহেদী লাগালে যখন
সে মেহেদী রাঙ্গা হাতে গোসল করবে সে গোসল হবে না এমন ভুল ধারনা অনেকে করেন। মনে রাখবেন
এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। কারন মেহেদী লাগালে তার দ্বারা শুধু রং লাগে সে রং এ কোন
আবরন নাই তাই মেহেদী রাঙ্গা হাতে গোসল করলে অজু করলে তাতে কোন ধরনের পার্থ্যক্য আসে
না।
লাগাতে পারবে এতে কোন শরীয়তের পক্ষ থেকে বাঁধা নেই। নাপাক অবস্থায় মেহেদী লাগালে যখন
সে মেহেদী রাঙ্গা হাতে গোসল করবে সে গোসল হবে না এমন ভুল ধারনা অনেকে করেন। মনে রাখবেন
এটা হল সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। কারন মেহেদী লাগালে তার দ্বারা শুধু রং লাগে সে রং এ কোন
আবরন নাই তাই মেহেদী রাঙ্গা হাতে গোসল করলে অজু করলে তাতে কোন ধরনের পার্থ্যক্য আসে
না।
আমার অনেকে মনে করে সে নাপাক আর মেহেদী পাক, এখন নাপাক অবস্থায় পাক মেহেদী লাগানো
বেয়াদবী, তাদেরকে আমি ১টি প্রশ্ন করলেই তারা
এই ভুল ধারনা থেকৈ বের হয়ে আসতে পারবে, যেমন আপনি চিন্তা করছেন আপনি নাপাক তাই পাক
মেহেদী লাগাতে পারবেন না, তাহলেতো আপনি নাপাক অবস্থায় পাক খাবারও খেতে পারবে না। আপনার নাপাকি বাহ্যিক নয় বরং এই নাপাকি হল হকুমগত
নাপাকি, তাই হাদীস শরীফে দেখা যায় হযরত আয়শা (রাঃ) নাপাকী হালতে মহানবী (দঃ) এর কোলে
মাথা রেখে শুয়ে থাকতেন আর তখন নবীজি তখন কুরান তেলাওয়াত করতেন। তাছাড়া শরীয়তে এ ধরনের
নাপাকীর হালতে কলমা পড়া, দরুদ শরীফ পড়াও জায়েজ। সুতরাং বুঝা গেল যারা মনে করেন নাপাক
অবস্থায় পাক মেহেদী লাগানো যাবে না তাদের এই ধারনা ভুল।
বেয়াদবী, তাদেরকে আমি ১টি প্রশ্ন করলেই তারা
এই ভুল ধারনা থেকৈ বের হয়ে আসতে পারবে, যেমন আপনি চিন্তা করছেন আপনি নাপাক তাই পাক
মেহেদী লাগাতে পারবেন না, তাহলেতো আপনি নাপাক অবস্থায় পাক খাবারও খেতে পারবে না। আপনার নাপাকি বাহ্যিক নয় বরং এই নাপাকি হল হকুমগত
নাপাকি, তাই হাদীস শরীফে দেখা যায় হযরত আয়শা (রাঃ) নাপাকী হালতে মহানবী (দঃ) এর কোলে
মাথা রেখে শুয়ে থাকতেন আর তখন নবীজি তখন কুরান তেলাওয়াত করতেন। তাছাড়া শরীয়তে এ ধরনের
নাপাকীর হালতে কলমা পড়া, দরুদ শরীফ পড়াও জায়েজ। সুতরাং বুঝা গেল যারা মনে করেন নাপাক
অবস্থায় পাক মেহেদী লাগানো যাবে না তাদের এই ধারনা ভুল।
এবার আসুন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাসায়ালাটি জেনে নিই তা হল বতমানে বাজারে যে
সব কোন মেহেদী আছে তা লাগানোর পর ২/৩ দিন পর হাতের একটি আবরন পরিলক্ষিত হয় সুতরাং কোন
মেহেদী লাগালে যেহেতু চামড়ার উপর আবরন সৃষ্টি হচ্ছে সে আবরন ভেদ করে চামড়ায় যেহেতু
পানি পৌঁছাচ্ছেনা তাহলে এই মেহেদী লাগানোর পর অজু কি হবে?
সব কোন মেহেদী আছে তা লাগানোর পর ২/৩ দিন পর হাতের একটি আবরন পরিলক্ষিত হয় সুতরাং কোন
মেহেদী লাগালে যেহেতু চামড়ার উপর আবরন সৃষ্টি হচ্ছে সে আবরন ভেদ করে চামড়ায় যেহেতু
পানি পৌঁছাচ্ছেনা তাহলে এই মেহেদী লাগানোর পর অজু কি হবে?
এই প্রশ্নের জবাবে ফোকাহায়ে কেরাম কোন মেহেদীর তৈরী কারী, যারা ব্যবহার করেন
এবং স্ক্রীন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামশ করে এই নতিজা বের করেছেন যে কোন মেহেদীতে কোন আবরন
নাই বরং কোন মেহেদীতে এমন এক কেমিক্যাল আছে যা মুলত স্ক্রীনকে জ্বালিয়ে ফেলে, আর ২/৩
দিন পর মুলত সে খাল উঠে আসে, এসব কোন মেহেদীর আবরন নয়।
এবং স্ক্রীন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামশ করে এই নতিজা বের করেছেন যে কোন মেহেদীতে কোন আবরন
নাই বরং কোন মেহেদীতে এমন এক কেমিক্যাল আছে যা মুলত স্ক্রীনকে জ্বালিয়ে ফেলে, আর ২/৩
দিন পর মুলত সে খাল উঠে আসে, এসব কোন মেহেদীর আবরন নয়।
অতএব কোন মেহেদীর দ্বারা যেহেতু
চামড়ার উপর আবরন সৃষ্টি হয় না তাই এর উপর অযু গোসল করলে তা আদায় হবে।
চামড়ার উপর আবরন সৃষ্টি হয় না তাই এর উপর অযু গোসল করলে তা আদায় হবে।
কোন মন্তব্য নেই