তওবা করলেও হাশরের মাঠে গুনাহসমুহ কি দেখা যাবে? Islamic Question and Answer
তওবা করলেও হাশরের মাঠে গুনাহসমুহ কি দেখা যাবে? Islamic Question and Answer
এক সাহাবী নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জিজ্ঞেস করল-
مَا الْإِيمَانُ؟
ঈমান (-এর আলামত) কী, আল্লাহর রাসূল!
নবীজী উত্তরে বললেন-
إِذَا سَرّتْكَ حَسَنَتُكَ، وَسَاءَتْكَ سَيِّئَتُكَ فَأَنْتَ
مُؤْمِنٌ.
مُؤْمِنٌ.
যদি তোমার নেক আমল তোমাকে আনন্দিত করে এবং তোমার পাপ তোমাকে ব্যথিত করে (পাপ হয়ে গেলে তুমি কষ্টে ভুগতে থাক)। তাহলেই (বুঝবে) তুমি মুমিন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২১৬৬
গোনাহ তো হয়েই যায়। শয়তানের ধোঁকায়, নফসের প্ররোচনায়, ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়- গোনাহ হয়েই যায়। কিন্তু আশার কথা হল, আল্লাহ বান্দার জন্য রেখেছেন পাপ মোচনের অগণিত পথ। একে তো যে কোনো পাপ মোচনের জন্যই আল্লাহ খোলা রেখেছেন তাওবার দরজা, যা বান্দার পাপ মোচন করে দেয় এবং শয়তানকে ব্যর্থ করে দেয়। সাথে সাথে বিভিন্ন উপলক্ষে, বিভিন্ন নেক আমলের দ্বারাও আল্লাহ বান্দার পাপ মোচন করেন। মুমিন বুদ্ধিমান। সে এসকল আমল-উপলক্ষকে কাজে লাগায় এবং পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সচেষ্ট থাকে।
গোনাহ যেন মুমিনের কাছে মাথার উপর পতনোন্মুখ বিশাল পাহাড়, যে কোনো মুহূর্তে তা ধ্বংস করে দিতে পারে তাকে। ফলে কোনো গোনাহ হয়ে গেলে মুমিন পেরেশান হয়ে যায়- কীভাবে তা থেকে মাফ পাওয়া যায়; বান্দার হক হলে- কীভাবে তা থেকে দ্রুত মুক্ত হওয়া যায়।
পক্ষান্তরে ফাসেক-ফাজেরের কাছে গোনাহ কোনো পেরেশানীর বিষয়ই নয়। একটি হাদীসে একটি সুন্দর উপমার মাধ্যমে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে-
إِنّ المُؤْمِنَ يَرَى ذُنُوبَهُ كَأَنّهُ قَاعِدٌ تَحْتَ جَبَلٍ يَخَافُ
أَنْ يَقَعَ عَلَيْهِ، وَإِنّ الفَاجِرَ يَرَى ذُنُوبَهُ كَذُبَابٍ مَرّ عَلَى
أَنْفِهِ.
أَنْ يَقَعَ عَلَيْهِ، وَإِنّ الفَاجِرَ يَرَى ذُنُوبَهُ كَذُبَابٍ مَرّ عَلَى
أَنْفِهِ.
মুমিনের কাছে গোনাহ যেন পতনোন্মুখ পাহাড়, যার পাদদেশে সে বসা; যে কোনো মুহূর্তে তা ভেঙে পড়তে পারে তার উপর (ধ্বংস করে দিতে পারে তাকে)। আর ফাসেক-ফাজেরের কাছে গোনাহ যেন নাকের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সামান্য মাছির মত। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩০৮
হাঁ, মুমিনের কাছে গোনাহ এমনই। গোনাহকে মুমিন পাহাড়সম বোঝা হিসেবে দেখে। কোনো পাপ হয়ে গেলে ব্যথিত হয়, কষ্টে থাকে। আফসোস-আক্ষেপ করতে থাকে- কেন পাপে জড়ালাম! আর এটিই ঈমানের আলামত।
একজন মুমিন লোক সারা জীবন গুনাহ করেছেন,
এখন খাটি তওবা করে ফেলেছেন, তওবা করার পরও কি হাশরের ময়দানে সে সব গুনাহ আমল নামায়
লিখিত দেখা যাবে কিনা? সে চিন্তায় থাকে মুমিন
এখন খাটি তওবা করে ফেলেছেন, তওবা করার পরও কি হাশরের ময়দানে সে সব গুনাহ আমল নামায়
লিখিত দেখা যাবে কিনা? সে চিন্তায় থাকে মুমিন
মনে রাখবেন যদি গুনাহগার খাটি তওবা করে
তাহলে হাশরের মাঠে তা আর দেখা যাবে না, কিন্তু যদি তওবা না করে তাহলে প্রতিটি
জিনিষ পুংখানুপুংখরুপে লিখা দেখা যাবে (ইকরা কিতাবাকা কাফা বিনাফসিকা)
তাহলে হাশরের মাঠে তা আর দেখা যাবে না, কিন্তু যদি তওবা না করে তাহলে প্রতিটি
জিনিষ পুংখানুপুংখরুপে লিখা দেখা যাবে (ইকরা কিতাবাকা কাফা বিনাফসিকা)
যারা কাফের তারা যখন তাদের আমল নামা পড়বে
তারা আশ্চর্য্য হয়ে বলবে এখানেতো সব ছোট বড় গুনাহ লিপিবদ্ধ আছে
তারা আশ্চর্য্য হয়ে বলবে এখানেতো সব ছোট বড় গুনাহ লিপিবদ্ধ আছে
কোন মন্তব্য নেই