বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায় কেন? মুল বয়ান মুফতি তারেক মাসুদ





বিয়ের পর নারীরা মোটা হয়ে যায় কেন
আজ ইসলামী স্কলার মুফতি তারেক মাসুদের স্বর্ণের
চেয়ে দামী কিছু কথা আপনাদের বাংলায় শুনাব। তিনি বলেন-
আল্লাহ কুরানে বলেন (ওয়াকাদ্দারা ফিহা
আকওয়াতাহা) অর্থ্যাৎ আমি জমিনে মানুষকে সৃষ্টি করার আগেই এই জমিনে খোরাকের
বন্দোবস্ত করে রেখেছি।
নারীদের উচিত তাদের স্বাস্থ্যের দিকে
খেয়াল রাখা, তারা যেভাবে মোটা হচ্ছে এটা জন্ম নিয়ন্ত্রনের কারনেই হচ্ছে, যাদের
জন্ম নিয়ন্ত্রন নাই তাদের শরীরের ফিটনেস যারা জন্ম নিয়ন্ত্রন করেন তাদের চাইতে
ভালো। জন্ম নিয়ন্ত্রন না করলে নারী কখনো মোটা হবে না, হায়াতেও বরকত হয়, এবং সন্তান
বেশী হলে তারা বুড়াকালে সাহারা হয়। আপনি যদি বৃদ্ধ হয়ে যান তখন কে আপনাকে দেখবাল
করবে? কেউ আপনাকে দেখাশুনা করতে তৈরী হবে না,
অনেকে বলেন আমার কাছে অঢেল সম্পদ তা আমার
বৃদ্ধাবস্থায় কাজে আসবে, মনে রাখবেন অঢেল সম্পদ আপনাকে মহব্বত দিতে পারবে না।
আপনার টাকা পয়সা আপনার সাথে কথা বলবে না, আপনি আজই নেটে সাচ করুন, ইউকে আমেরিকায়
এমন প্রতিষ্ঠানও আছে, যারা বৃদ্ধদের একাকিত্ব দুর করার জন্য ভাড়ায় মানুষ পাঠায়, ১
ঘন্টার জন্য মানুষ ভাড়ায় পাওয়া যায় কথা বলার জন্য। আপনি আমার এই বয়ান শুনে এখনই
নেটে সাচ করুন। সে লোক যাবে আর টাকার বিনিময়ে গল্প করবে, সে টাকার জন্যই আপনার
সাথে গল্প করবে, মহব্বত করে আপনার সাথে গল্প করছে না। সে জাতি কিভাবে নষ্ট হয়ে গেল
আমরা দেখছি তবুও আমাদের বুঝে আসছে না, আমরা তবুও তাদের পিছন পিছন অনুসরন করছি।
যে বলে বাংলাদেশে যে ১৮ কোটি লোক
জনসংখ্যার বিস্ফোরন, তাকে প্রশ্ন করা উচিত, এই ১৮ কোটির মধ্যে আপনিও ১জন, যদি এই
১৮ কোটির জন্ম ভুল হয় তাহলে আপনার জন্মটাও ভুল ছিল, আপনারও এই বাংলাদেশে জন্ম
গ্রহণ করা উচিত ছিল না। সকলেই চিন্তা করে আমি যে জন্মেছি সেটা ঠিক বাকী ১৭ কোটি ৯
লাখ ৯৯৯ জন এর জন্ম ভুল।
মনে রাখবেন যেমন আমার বাবা মায়ের বড় এহসান
এই যে তারা আমার হায়াতের কারন হয়েছেন, জন্মের কারন হয়েছেন, তেমনি আমাদের পরবর্তী
প্রজন্মের দুনিয়ায় আসার জন্য আমাদেরকে রাস্তা তৈরী করতে হবে। সুতরাং যারাই বলবে এত
বেশী জনসংখ্যা ভুল তাকে বলে দিন এই ভুলের মধ্যে আপনার জন্মও আছে। যে বলে এমন বেশী
জনসংখ্যার ফলে দারিদ্রতা নামবে তাকে বলুন এই দারিদ্রতার কারন আপনিও একজন।
এক সাদা চামড়ার গবেষক লিখেছেন-
বতমানে যে জন্মনিয়ন্ত্রনের চিন্তা ভাবনা
তাতে শিক্ষিত সমাজ দিন দিন কম হয়ে যাচ্ছে আর অশিক্ষীত মূর্খের সংখ্যা দিন দিন
বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা ফ্যামেলি প্ল্যানিং এর মধ্যে ব্যস্ত বেশীর ভাগ লোক শিক্ষিত
সমাজ, তারা চিন্তা করেন আমাদের সন্তান ২ জন হউক কিন্তু হাই এডুকেটেড হউক। সে মনে
করে ১০ জন হলে তাদের ভালো শিক্ষা দেয়া অসম্ভব। অথচ সুশিক্ষা দিলে ১০ জনই ভদ্র হবে,
আর শিক্ষা না দিলে ১ জন হলে সেও চোরই হবে।
যারা অশিক্ষিত তারা এসব প্লানিং এর
চিন্তায় নাই তাই তাদের ঘরে সন্তান বেশী হয়, কারন তাদের সন্তানের শিক্ষা,
স্বাস্থ্য, স্ত্রীর স্বাস্থ্য এসবের কোন চিন্তা নাই, তার চিন্তা সন্তান হচ্ছে তো
হতে দাও। ফলে ভালো ও ভদ্র ফ্যামেলির লোক সংখ্যা কম হয়ে যাচ্ছে আর অভদ্র অশিক্ষিত
ফ্যামেলির লোক সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
তাই যারা নিজেদেরকে শিক্ষিত ভদ্র মনে করেন
তাদের উচিত জনসংখ্যা বাড়ানো, যাতে আগত উম্মতের উপকার হয়।
আবার অন্য একজন গবেষকবলেন-
জন্ম নিয়ন্ত্রনের ফলে নারী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পায়, পুরুষের সংখ্যা কমে
যায়, কেননা প্রত্যেকে যদি ২জন সন্তান যথেষ্ট বলে তার মধ্যে ১ জন ছেলে অবশ্যই হতে
হবে, এখন যারা ছেলে হয়নি সে ছেলের আশায় ৬জন মেয়ের পর ১জন ছেলে হওয়ার পর সে ব্রেক
লাগায়। আর যার প্রথমেই ছেলে হয়ে গেছে সে ২ নম্বরেই ব্রেক লাগিয়ে ফেলে। ফলে এক
ফ্যামেলিতে নারীর সংখ্যা ৫/৬ জন পযন্ত হয়ে যায়, কিন্তু অন্য ফ্যামেলিতে ছেলের
সংখ্যা এত বেশী হয় না। আর এই ফলে সমাজে ব্যলেন্স ঠিক থাকেনা। নারীদের জন্য পাত্র
পাওয়া মুস্কিল হয়ে যায়। আগের জামানায় এক নারীর ঘরে ৬ নারী জন্ম নিল, অপর জন নারীর
ঘরে ৬ জন ছেলে জন্ম নিল ফলে একটা ব্যলেন্স ছিল। এখন সে বেলেন্স নাই ফলে সমাজে জেনা
ব্যবিচারও বেড়ে যাচ্ছে। এখন এভাবে নারীর সংখ্যা যখন বৃদ্ধি পেল তখন তারা মালা
পড়ানোর জন্য ছেলে কোথায় খুঁজে পাবে? এসব কথা আপনাকে কেহ বলবে না, কোন মিডিয়া বলবে
না, শুধু মৌলভিরাই বলবে যদিও এসব কথা নারীর কল্যানের জন্যই তবুও কেহ খারাপ কমেন্ট
করতে চাইলে দিল খুলে খারাপ কমেন্ট করুন।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.