দুনিয়ার ৭টি জিনিষে কোন বরকত নাই। হাদীসের আলোকে আলোচনা। Bangla Islamic Vi...
দুনিয়ায় ৭টি জিনিষে কোন বরকত নাই
সম্মানিত দর্শক শ্রোতা
মন্ডলী আমাদের প্রিয় নবীর পবিত্র হাদীসের মাধ্যমে আমরা এমন কিছু বিষয় জানতে পারি
যাতে কোন বরকত নাই, সে রকম ৭টি জিনিষ আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হাদীস শরীফের
আলোকে।
মন্ডলী আমাদের প্রিয় নবীর পবিত্র হাদীসের মাধ্যমে আমরা এমন কিছু বিষয় জানতে পারি
যাতে কোন বরকত নাই, সে রকম ৭টি জিনিষ আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হাদীস শরীফের
আলোকে।
গ্রন্থ: সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ১৪/ ক্রয় বিক্রয় (كتاب البيوع عن رسول الله ﷺ) | হাদিস নাম্বার: 1249
হাকীম ইবনু হিযাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়েরই ইখতিয়ার থাকে যতক্ষণ না তারা পৃথক হয়ে যায়। তারা উভয়েই যদি সত্য বলে থাকে এবং সব স্পষ্টভাবে বিবৃত করে থাকে তবে তাদের ক্রয়- বিক্রয় বরকতময় করে দেওয়া হয়। আর যদি মিথ্যা বলে এবং কিছু গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয় বরকতহীন করে দেওয়া হয়।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়েরই ইখতিয়ার থাকে যতক্ষণ না তারা পৃথক হয়ে যায়। তারা উভয়েই যদি সত্য বলে থাকে এবং সব স্পষ্টভাবে বিবৃত করে থাকে তবে তাদের ক্রয়- বিক্রয় বরকতময় করে দেওয়া হয়। আর যদি মিথ্যা বলে এবং কিছু গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয় বরকতহীন করে দেওয়া হয়।
গ্রন্থ: মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | অধ্যায়ঃ পর্ব-১২ঃ ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع) | হাদিস নাম্বার: 2827
ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সুদের মাধ্যমে সম্পদ (বাহ্যত) বেশি হলেও পরিণামে তা স্বল্পই।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ সুদের পরিণতি অপমান অপদস্ত, কেননা এতে কোনো বরকত নেই। অর্থাৎ দুনিয়াতে সুদের মাধ্যমে অনেক অর্থ উপার্জন করলেও পরকালে এর পরিণতি হবে দারিদ্র্যতা।
কেননা সুদের মাধ্যমে বান্দার যে হক নষ্ট করা হয়েছে, পরকালে তা পরিশোধ করতে হবে নেক ‘আমল দিয়ে। আর নেক ‘আমল না থাকলে মাযলূমের গুনাহ কাঁধে তুলে নিতে হবে এবং এ গুনাহ নিয়ে জাহান্নামে যেতে হবে। ফলে সুদের পরিণতি হবে অনন্ত ভয়াবহ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
কেননা সুদের মাধ্যমে বান্দার যে হক নষ্ট করা হয়েছে, পরকালে তা পরিশোধ করতে হবে নেক ‘আমল দিয়ে। আর নেক ‘আমল না থাকলে মাযলূমের গুনাহ কাঁধে তুলে নিতে হবে এবং এ গুনাহ নিয়ে জাহান্নামে যেতে হবে। ফলে সুদের পরিণতি হবে অনন্ত ভয়াবহ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
গ্রন্থ: সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ১৪/ ক্রয় বিক্রয় (كتاب البيوع عن رسول الله ﷺ) | হাদিস নাম্বার: 1285
আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গায়িকা দাসী বিক্রি করবে না। এবং কিনবেও না। তাদের গান শিক্ষা দিবে না। এদের ব্যবসায়ে কোন কল্যাণ নাই। এদের মূল্য হারাম। এদের মত লোকদের ব্যাপারেই এই আয়াত নাযিল হয়েছেঃ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গায়িকা দাসী বিক্রি করবে না। এবং কিনবেও না। তাদের গান শিক্ষা দিবে না। এদের ব্যবসায়ে কোন কল্যাণ নাই। এদের মূল্য হারাম। এদের মত লোকদের ব্যাপারেই এই আয়াত নাযিল হয়েছেঃ
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي
لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ
لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ
মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করে এবং আল্লাহর পথকে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করে। ওরা তারাই, যাদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লুকমান ৩১ঃ৬)
এ হাদীস থেকে আমরা বুঝতে পারি যারা নাচ, গান বাদ্য বাজনা এসবকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন তাতে কোন বরকত নাই।
গ্রন্থ: সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ২১/ যাকাত (كتاب الزكاة) | হাদিস নাম্বার: 1387
হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন। তারপর বললেনঃ হে হাকীম, এই সম্পদ শ্যামল সুস্বাদু। যে ব্যাক্তি প্রশস্ত অন্তরে (লোভ ছাড়া) তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় হয়। আর যে ব্যাক্তি অন্তরের লোভসহ তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় করা হয়না।
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন। তারপর বললেনঃ হে হাকীম, এই সম্পদ শ্যামল সুস্বাদু। যে ব্যাক্তি প্রশস্ত অন্তরে (লোভ ছাড়া) তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় হয়। আর যে ব্যাক্তি অন্তরের লোভসহ তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় করা হয়না।
এ হাদীসে স্পষ্ট বুঝা যায় মানুষের কাছে হাত পাতা, ভিক্ষাতে বরকত নাই।
ন্থ: সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ১৩/ যাকাত (كتاب الزكاة) | হাদিস নাম্বার: 2262
মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা সাওয়ালে করো না। আল্লাহর কসম, তোমাদের কেউ আমার কাছে কিছু সাওয়াল করে, এবং তার সে সাওয়াল আমার অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও আমার কাছ থেকে কিছু বের করে নেয়, তাতে আমার এ দানে তার জন্য কোন বরকত হবে না।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা সাওয়ালে করো না। আল্লাহর কসম, তোমাদের কেউ আমার কাছে কিছু সাওয়াল করে, এবং তার সে সাওয়াল আমার অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও আমার কাছ থেকে কিছু বের করে নেয়, তাতে আমার এ দানে তার জন্য কোন বরকত হবে না।
এখানে বুঝা যাচ্ছে যারা কারো কাছ থেকে দাতার দান করার অনিচ্ছা সত্বেও নানান কথা বলে কিছু আদায় করে নেয় তাতে বরকত নাই।
গ্রন্থ: মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) | অধ্যায়ঃ পর্ব-১২ঃ ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع) | হাদিস নাম্বার: 2771
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো বান্দা হারাম পথে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ দান-সাদাকা করলে তা কবূল করা হবে না এবং (ঐ অর্থ-সম্পদ) নিজের কাজে ব্যবহার করলেও তাতে বরকত হবে না। আর ঐ অর্থ-সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য জাহান্নামের
পুঁজি হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা মন্দের দ্বারা মন্দ মিটিয়ে দেন না, তবে সৎকাজ দ্বারা মন্দকাজ নির্মূল করেন। কেননা অবশ্যই মন্দ মন্দকে মিটাতে পারে না।
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো বান্দা হারাম পথে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ দান-সাদাকা করলে তা কবূল করা হবে না এবং (ঐ অর্থ-সম্পদ) নিজের কাজে ব্যবহার করলেও তাতে বরকত হবে না। আর ঐ অর্থ-সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য জাহান্নামের
পুঁজি হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা মন্দের দ্বারা মন্দ মিটিয়ে দেন না, তবে সৎকাজ দ্বারা মন্দকাজ নির্মূল করেন। কেননা অবশ্যই মন্দ মন্দকে মিটাতে পারে না।
অতিরিক্ত গরম খাবার সম্পর্কে মহানবী (দঃ) কখনও বলতেন, 'আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য আগুনকে খাবার বানাননি।' আবার কখনও বলতেন, 'গরম খাদ্যে বরকত নেই।'
কোন মন্তব্য নেই