কোরবানীর ২০টি ভুল, প্রচলিত কুসংস্কার ও ভুল ফতোয়া। Kurbanir Masala| Jaalhaq
২০টি প্রচলিত কুসংস্কার ও ভুল ধারণা ঃ
১. কোনো কোনো এলাকায় কুরবানির পশুর খাদ্য নালি নিয়ে ঘরের সামনে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়। আর মনে করা হয় এর মধ্যে রয়েছে অনেক পূণ্য, আসলে এ ধারণা অবান্তর।
২. কোনো কোনো এলাকায় প্রচলন আছে, যে সমস্ত গাছের আমে পোকা হয়, সে সমস্ত গাছে বসে কুরবানির গোস্ত খেয়ে হাঁড়গুলো গাছে ঝুলিয়ে রাখলে পোকা হয় না, অথচ এধরনের ধারণা অমূলক ও বর্জনীয়।
৩. কোনো কোনো এলাকাতে জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে কুরবানির দিন পর্যন্ত মুরগি ইত্যাদি জবেহ না করা এবং আদৌ গোস্ত না খাওয়ার যে রীতি ও রেওয়াজ রয়েছে শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই ।
৪. অনেক এলাকায় পশুর বয়স অনুপাতে দাঁত গজিয়েছে কি-না তা যাচাই করা হয়, কিন্তু বয়সের ক্ষেত্রে দাঁত গজানো না গজানোর ওপর নির্ভর করা যায় না; বরং বয়সের সঠিক ধারণা হলো দাঁত না গজালেও কুরবানি হবে, আর বয়স কম হলে দাঁত গজালেও তার দ্বারা কুরবানি হবে না ।
৫. জন্তু ক্রয় করার পর লাল সালু দিয়ে সাজ-সজ্জা করা, এবং পুষ্পমালা দিয়ে গলিতে গলিতে নেয়া হয় এবং জনশ্রæতি ও বাহবা পাওয়ার জন্য জন্তুকে এদিক সেদিক ঘুরানো হয়। এটা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও কুসংস্কার। তাই এ সমস্ত গর্হিত কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকা অতিব জরুরি।
ঈদুল আযহায় বজনীয় কাজ
১. গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করা
২. হারাম উপাজনের টাকায় কুরবানী করা
৩. ভাগে কুরবানীতে একজনের নিয়তও যদি সমস্যা থাকে বাকীদের কুরবানীও হবে না
৪. এবার গরুটা কিনে ঠকছি এমনতর কথা বলা
৫. পশুর ওজন পরিমাপ করে প্রতি কেজির মূল্য নির্ধারন করা
৬. পশুর বয়স যাচাই না করা, গরু মহিষ ২ বছরের কম হলে কুরবানী হবে না, ছাগল ১ বছরের কম হলে কুরবানী হবে না।
৭. কম দামে কিনে বেশী দাম বলা বেশী দামে কিনে কম দাম বলা
৮. লোক দেখানোর নিয়তে ফেইসবুকে কুরবানীর পশু ছবি দেয়া।
৯. সন্তান নিজে নেসাবের মালিক সম্পদের মালিক সে নিজের কুরবানী না করে মা বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী করা, যদি মা বাবা নেসাবের মালিক না হন তখন সন্তানের উচিত আগে নিজের ওয়াজিব কুরবানী করা এবং মা বাবার জন্য নফল হিসেবে কুরবানী করা।
ইদানিং কিছু টাটকা ভূল ফতোয়া শুনা যায় যেমন
১০. কুরবানীর সাথে আকিকা করা যাবে না বলে মনে করা
১১. গরুতে ৭ ভাগ দেয়া যাবে না এটাও একটি টাটকা ভুল ফতোয়া
১২. মৃতদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে না কোটি পতি হলেও কুরবানী না করলে কোন সমস্যা নাই এমনতর মারাত্মক ভুল ধারনা ও ভুল ফতোয়া ইদানিং শুনা যায় যা থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই