যিনা কি ১টি কর্জ? যেনাকারীর স্ত্রী বোন ও কন্যার সাথেও যিনা হবে?
যে অন্যের সাথে যেনা করে তাঁর স্ত্রী কন্যার সাথেও যেনা হবে
আপনি যদি যেনা করেন তাহলে আপনার বোন স্ত্রী বা কন্যার সাথেও অন্য
কেহ যেনায় লিপ্ত হবে। যেনা হল একটি কর্জ। এই কথাটা কতটুকু ঠিক এই বিষয়ে আজ আলোচনা করব।
মনে রাখবেন যেনা এমন এক অপরাধ, কেহ যদি যেনার গুনাহ করে এবং মনে
করে যে এই গুনাহ সে গোপন রাখবে, এমনটি হয়না বরং যেনাকারীর অপরাধ কোননা কোনভাবে ফাঁস
হয়ে যায়। যখন লোকজন জানতে পারে তখন এক সময় যেনাকারীর সন্তানেরাও জানতে পারে, আর যখন
সন্তান সন্ততিরা তাদের পিতা মাতার যেনার খবর জেনে যায় তখন সে সন্তানদের মনে পিতা মাতার
ইজ্জত সম্মান বাকি থাকে না। এবং তাদের মনে গুনাহের প্রতি যে ঘৃনা তা বাকী থাকে না।
তাঁরা বলে আমার মা বাবা করেছে আমরা করলে দোষ কি? সে জন্য এই কাজ নেক্স জেনারেশনের মধ্যে
বিস্তার ঘটে।
সে জন্য কোন নারী যদি নিজের স্বামীর কোন দোষ
দেখতে পায় কিংবা সন্দেহ করে তা নিয়ে সন্তানদের সামনে বেহুদা উচ্চবাচ্চ না করে বরং বন্ধ
কামরায় এর ফয়সালা করা উচিত, না হয় এর ফলে সন্তানরা মনে করবে তাঁদের পিতা খারাপ লোক।
আল্লাহ তায়ালা স্বামী স্ত্রীকে একে অপরের পোষাক বলেছেন (হুন্না লেবাসুন লাহুম ওয়াআনতা
লেবাসুন লাহুন্না) পোষাক যেমন লজ্জা নিবারনে সহায়ক স্বামী স্ত্রীও একে অপরের দোষ লজ্জা
ঢাকতে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে হবে। সে জন্য স্বামী যদি স্ত্রীর কোন দোষ দেখতে পাও তা
নিজেই সমাধানের চেষ্টা করুন, তেমনি স্ত্রী যদি স্বামীর কোন দোষ দেখতে পায় তাও নিজে
নিজে সমাধান করুন। তবে লোকজনের সামনে এটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করে একে অপরের ইজ্জত সম্মান
নিয়ে টানা হেচরা করবেন না।
স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর কোন দোষ শুধু ১ জনের
সামনেই বলে তাহলে মনে করুন এই দোষ ফাঁস হয়ে গেছে। এখন সে আর গোপন করবে না, স্ত্রী যেখানে
গোপন করেনি অন্য কিভাবে গোপন করবে? এর ফলে আপনার স্বামীর সম্মানও যাবে আর আপনার স্বামীর
সাথে যেহেতু আপনি জড়িত তাই আপনার সম্মানও যাবে এবং সাথে সাথে এসব কথা আপনার সন্তানদের
কাছেও পৌঁছে যাবে। এবং সন্তানেরাও এসব গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হবে।
তারা বলবে আমার বাবা করেছে এখন আমরা করলে দোষ কি?
সে জন্য জ্ঞানী ও বুদ্ধিমতি নারী সে যে নিজের
স্বামীর দোষ ত্রুটির উপর পর্দা ঢালে এবং নিজে একজন সম্মানিত মানুষের স্ত্রী হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত থাকে। আর বেওকুফ নারী সে যে নিজের স্বামী বদনাম করে বেড়ায় এবং একজন খারাপ
লোকের স্ত্রী হিসেবে নিজের পরিচয়ে নিজেরও ক্ষতি করে বসে।
মনে রাখবেন স্ত্রীর সম্মান হয় স্বামীর কারনে,
যেমন আমাদের নবীজির যে সব স্ত্রী যারা আমাদের মা মুমিনদের মা, তারা যদি আমাদের প্রিয়
নবীর বিবি না হত তাহলে দুনিয়ার কেহ কি তাদেরকে চিনতে পারত? সে জন্য নারীদের সম্মানী
হওয়ার জন্য তার স্বামীর অনেক বড় দখল থাকে।
কোন মন্তব্য নেই