স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গভীর ভালোবাসা সৃষ্টির ৫টি কুরআনি আমল | Qurani Amol ...
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গভির ভালোবাসা সৃষ্টির
৫টি শক্তিশালি আমল
১। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে, একে অপরের প্রতি ভালোবাসা কমে গেলে এয়া মানেয়ু ৭০ বার পড়ে পানিতে, দুধে ও খাবারে দম করে সে পানি ও খাবার স্বামী ও স্ত্রী যার সমস্যা তাকে খাওয়াতে হবে।
২। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যদি মিল মহব্বত কমে যায় বা উভয়ের মাঝে বনিবনা না হয় বা তাদের একজন অপর জনের ওপর অসন্তুষ্ট হয়; তখন আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম يا ودود (ইয়া ওয়াদুদু)’ ১০০১ (এক হাজার এক) বার পাঠ করে কোনো মিষ্টি খাবার-দ্রব্যের মাঝে ফুঁ দিয়ে খাওয়ালে, আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে মিল-মহব্বত ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে।
৩- স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যদি মিল মহব্বত কমে যায় বা উভয়ের মাঝে বনিবনা না হয় বা তাদের একজন অপর জনের ওপর অসন্তুষ্ট হয় তাহলে , পবিত্র কুরানের এই আয়াত,
وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي وَلِتُصْنَعَ عَلَى عَيْنِي
(ওয়া আলকাইতু আলাইকা মাহাব্বাতাম মিন্নি ওয়ালিতুসনাআ আলা আইনি)
(সুরা তহা-৩৯)
আয়াতের অর্থ হল- আমি তোমার প্রতি মহব্বত সঞ্চারিত করেছিলাম আমার নিজের পক্ষ থেকে, যাতে তুমি আমার দৃষ্টির সামনে প্রতি পালিত হও।
স্বামী রাগ করলে স্ত্রী স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে পড়তে থাকবে । (যখন যখন স্বামী স্বামী সামনে আসবে তখন তখন স্ত্রী এই আমল করবে ) ।আর স্ত্রী রাগ করলে স্বামী স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে পড়তে থাকবে । (যখন যখন স্ত্রী সামনে আসবে তখন তখন স্বামী এই আমল করবে ) । আল্লাহর রহমাতে দুজনে মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে ।
৪- স্বামী রাগ করলে স্ত্রী আর স্ত্রী রাগ করলে স্বামী নিম্নের আমলটি করবে, আমলটি হল
فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
(ফাসা এয়াকফিকাহুমুল্লাহু ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম)
সুতরাং এখন তাদের জন্যে আপনার পক্ষ থেকে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। [ সুরা বাকারা ২:১৩৭ ]
ফজরের নামাজ পর ১০০ বার আর এশার নামাজের পর ১০০ বার পড়ে আল্লাহর কাছে দুয়া করতে হবে । ইন শা আল্লাহ দুজনের মধ্যে মহাব্বাত গভীর হবে ।
৫। যে আমলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে। পরিবারে শান্তি ও শৃঙ্ক্ষলা স্থির হবে। তাই স্ত্রীর প্রতি যদি স্বামীর ভালোবাসা কমে যায় কিংবা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা কমে যায় তবে এ আমলটি করা যেতে পারে।
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللّهِ أَندَاداً يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللّهِ وَالَّذِينَ آمَنُواْ أَشَدُّ حُبًّا لِّلّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُواْ إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلّهِ جَمِيعاً وَأَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ
উচ্চারণ : ওয়া মিনান্ নাসি মাইঁ ইয়াত্তাখিজু মিংদুনিল্লাহি আংদাদাইঁ ইয়ুহিব্বুনাহুম্ কাহুব্বিল্লাহ; ওয়াল্লাজিনা আমানু আশাদ্দু হুব্বাল্লিল্লাহ; ওয়া লাও ইয়ারাল্লাজিনা জ্বালামু ইজ ইয়ারাওনাল আজাবা আন্নাল কুওওয়াতা লিল্লাহি ঝামিআও ওয়া আন্নাল্লাহা শাদিদুল আজাব।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৬৫)
আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ'ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। [ সুরা বাকারা ২:১৬৫ ]
যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট থাকে তখন স্ত্রী মিষ্টি জাতীয় বস্তুর ওপর এ আয়াত পাঠ করে দম (ফুঁ) করবে এবং স্বামীকে তা আহার করাবে। আল্লাহর ইচ্ছায় অসন্তুষ্ট স্বামী স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট হবে। তবে অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো উপকার হবে না।
কোন মন্তব্য নেই