মেকাপ করার সঠিক সময় ও ইসলামিক নিয়ম। আদর্শ নারী আদর্শ স্ত্রীর গুণাবলী





মেকাপ করার সহিহ ওয়াক্ত ও নিয়ম
সাজ-সজ্জা বিষয়ে যে সকল কাজ অকাট্য ভাবে শরীয়ত পরিপন্থী। সেগুলো করা কোন ভাবেই মহিলাদের জন্য জায়েয নেই

হাদিসে সুস্পষ্ট আছে আল্লাহ তা’আলার অবাধ্যতা মূলক কাজে সৃষ্টির আনুগত্য জায়েয নেই। (সুনানে আবু দাউদ : হা. নং- ২২৫৬)

সাজ-সজ্জা বিষয়ে যে সকল কার্যকলাপ শরীয়ত অনুমোদিত বিষয়াবলীর আওতায় অর্থাৎ জায়েয আছে, সে ক্ষেত্রে স্বামী করার কথা বললে তার পূর্ণ আনুগত্য করা স্ত্রীর কর্তব্য। এ সম্পর্কে হাদীসের ভাষ্য হল : আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম তারা যেন আপন স্বামীদেরকে সিজদাহ করে। (তিরমিযী শরীফ : হা. নং- ১০৭৯)

সাজ-সজ্জার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা যাবে না। তাদের বিশেষ বিশেষ নিয়ম-নীতি মান্য করা যাবে না।

মহিলারা সাজ সজ্জার মধ্যে যেমন ব্রু প্লাগ করা, চুল কাটা, নেইল পলিশ যা অজুর জন্য বাঁধার কারন হয় তা ব্যবহার করা, মাথার চুলকে উটের কুঁজের ন্যায় বাঁধা জায়েজ নাই।

শরীরে চিত্রাংকন করাও জায়েজ নাই যেমন আল্লাহর রাসুল বলেন, “আল্লাহ তা’আলার অভিসম্পাত সে মহিলার উপর পতিত হোক যে শরীরে চিত্রাঙ্কন করে এবং চিত্রাঙ্কন করায়। (সহীহ মুসলিম, হা. নং- ৩৯৬৬)

তবে মহিলাদের জন্য মুখমন্ডলের লোম পরিষ্কার করা জায়েয। যদি কোন মহিলার মুখে গোঁফ-দাড়ী গজায়, তাহলে তা পরিষ্কার করা শুধু জায়েযই নয় বরং অতি উত্তম মুস্তাহাব।

সাধারণত মহিলারা এই অভিযোগ করেন যে, আমার স্বামী আমার সাথে সেভাবে আচরন করেন না যেভাবে আমি কামনা করি। যদি আপনার স্বামী আপনার প্রতি মনযোগ না দেয় তার কয়েকটি কারন হতে পারে, যদি সে সব কারনের দিকে আপনি একটু মনযোগ দেন, ইনশাআল্লাহ আপনার স্বামীও আপনার প্রতি মনযোগ দিবেন।
প্রথমত- নারীরা মেকাপ সে সময় করে যখন সে কোন বিয়ে শাদির ফাংশানে যায়, যখন সে কোন ওলিমাতে যায়, যখন শপিং এ যায়, যখন সে বাপের বাড়ী যায় তখন মেকাপ করে, অথচ বিবাহিত নারীর মেকাপ করার সঠিক সময় হল যখন তার স্বামী ব্যবসা বা চাকরী থেকে ঘরে আসার সময় হয়,

যখন একজন পুরুষ বা স্বামী বাহির থেকে আসে আর ঘরে এসে স্ত্রীকে পরিপাঠি অবস্থায় দেখে তখন অটোমেটিক সে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর মনযোগ আকৃষ্ট হবে।
কিন্তু আমাদের নারীদের অবস্থা এর উল্টা তারা সারাদিন ঠিক থাকে কিন্তু স্বামী আসার আগে রোগীর মত হয়ে যায়, চেহেরা সুরতকে বিকৃত করে নেয়, আর স্বামী ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে যখন ঘরে আসে আর এসে স্ত্রীকে যখন এ অবস্থায় দেখে তখন তার মন মেজাজ আরো বিগড়ে যায়। প্রথম প্রথম স্বামী এসব কিছু বরদাশত করেন কিন্তু পরে ধীরে ধীরে স্ত্রীর এমন আচরন স্বামীর মনে ঘৃণার উদ্রেক করে।

হে আমার সম্মানিতা বোনেরা স্বামীর মনযোগ আকৃষ্ট করতে হলে স্বামীর জন্য পরিপাঠি থাকবেন, স্বামীর জন্য শরীরে খুশবু লাগাবেন, স্বামীর আসার আগেই মেকাপ করবেন।

মনে রাখবেন স্বামীকে খুশী করার নিয়তে যদি আপনি সাজগোজ করেন, সেটা হবে এবাদত আর অন্য কারো নজর কারার জন্য যদি সাজগোজ করেন তা হবে পাপ।




মহিলারা শরীয়তের পরিসীমার মধ্যে যে সাজ-সজ্জা করবে তা যদি স্বামীর খুশী করার উদ্দেশ্যে হয়, অন্য কোনো মহিলা বা নামাহরাম পুরুষদের দেখানো বা অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে না হয়, তাহলে এ সাজ-সজ্জার জন্য সে ছওয়াব পাবে। এতে অন্যান্য মানুষ খুশী হোক বা নারাজ হোক কিছু যায় আসে না।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.