জানেন বউ রাগ কেন করে? অভিমান বেশী কেন করে?
নারীদের রাগ অভিমান বেশী হয় কেন?
যখন পুরুষ উন্নতি করতে থাকে, ইজ্জত সম্মান কামাতে থাকে, প্রভাব
পতিপত্তি বাড়তে থাকে, তখন তার নজরে তার বউ এর মধ্যে নানা ধরনের ত্রুটি আসতে থাকে। তার
কাছে তখন মনে হয় তার স্ত্রী তার জন্য অপরিপূর্ণ। তার স্ত্রী তার অযোগ্য।
মনে রাখবেন আপনি যে উন্নতি করছেন, সম্মান কামাচ্ছেন, প্রভাব
পতিপত্তিতে উন্নতি হচেছ এর পিছনে কিন্তু আপনার স্ত্রীর হাত আছে। দুনিয়াতে অধিকাংশ পুরুষ
যারা উন্নতি করে সফল হয় তাদের পিছনে কোন না কোন নারীর হাত আছে। সাবধান নারীকে কখনো
ছোট ভাববেননা। কোন নারীকে কখনো অপয়া অলুক্ষুনে ভাববেন না। সব পুরুষের সফলতার পিছনে
কোন না কোন নারীর হাত আছে। চাই সে নারী মায়ের ছুরতে হউক। যখন সে মা দোয়া করেন তখন তার
হাত আপনার সফলতার সোপান। নারী যদি মেয়ের ছুরতে হয় তার লালন পালনের বরকতে আপনার সফলতা
আসে। নারী যদি বোনের ছুরতে হলে তাকে সহযোগীতা করলে আপনার সফলতা আসবে। নারী স্ত্রীর
ছুরতে হলে তাকে ভালোবাসার বদলে আল্লাহ আপনাকে সফলতা দান করেন।
এরশাদ হয়েছে- আল্লাহ যাকে নেককার স্ত্রী দান করেছেন মুলত আল্লাহ
তাকে দুনিয়াতে জান্নাত দিয়ে দিয়েছেন। (আলহামদুলিল্লাহি আলা ইহসানিহি) সকলেরর এই নেয়ামত
অর্জন হয়না।(জালিকা ফাদলুলল্লাহি ইউতি মাইয়্যাশা) আল্লাহ যাকে চান নেয়ামত দান করেন।
যদি বউ কোন বেহুদা কথা বলে, রাগ অভিমান করে, তখন আপনার কাজ
হল এটা চিন্তা করা যে আল্লাহ একে বাঁকা হাড্ডি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন সে জন্য স্বভাবগতভাবে
নারী জাতের মধ্যে কিছুটা বক্রতা স্বভাব থাকে।সুতরাং সৃষ্টিকর্তাই যখন তাদেরকে বক্র
বানিয়েছেন। যখন খালেক তাদের স্বভাবে বক্রতা রেখেছেন তখন মাখলুক হিসেবে আপনি তাদের সোজা
করতে পারবেননা।
আল্লাহর রাসুল (দ) এরশাদ করেছেন - আল্লাহ নারীদের বাঁকা হাড্ডি
দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং একে সোজা করার চেষ্টা করিওনা সোজা করতে গেলে ভেঙ্গে ফেলবে।
আর ভেঙ্গে ফেলা মানে হল তালাক হয়ে যাওয়া।
সুতরাং নারীদের বুঝাতে হবে, পেয়ার মহব্বতের সাথে কথা বলতে হবে,
তাঁদের সাথে তক বিতর্ক করা থেকে বিরত থাকতে হবে, যখন নারী মুখ চালায় তখন হেসে দিন।
যখন সে লড়াই করার মুডে সামনে আসে তখন মুহব্বতের মুড দ্বারা তার ঝগড়ার মুডকে পরিবর্তন
করে দিন। কেননা মহব্বতের দ্বারা বড় বড় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। আর ঘৃণার দ্বারা ছোট ছোট
কথাও বড় হয়ে যায়।
আমাদের অনেক নওযোয়ান ভায়েরা সামান্য তর্কের কারনে স্ত্রীকে
তালাক দিয়ে দেয়ার ধমকি দেয়, তখন স্ত্রীও রাগের মাথায় বলে ঠিক আছে যদি তোমার পিতার সন্তান
হও তাহলে তালাক দিয়ে দেখাত, তখন নওযোয়ান ভাবে একে তালাক দিয়ে ২য় বিয়ে করে নিয়ে আসব।
মনে রাখবেন ১ম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ২য় স্ত্রী ঘরে আনবেন ভালো কথা কিন্তু ২য় স্ত্রী
যে ১ম স্ত্রী থেকে ভালো হবে তার কোন কি গ্যারান্টি আছে? তাই স্ত্রী যখন রাগ করে বলে
যদি বাপের বেটা হও তালাক দিয়ে দেখ, তখন আপনি বলে দিন আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার পিতার
সন্তান তাই তোমাকে চালানোর শক্তিও রাখি। বাপের বেটা সে যে স্ত্রীকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা
করতে পারে। মনে রাখবেন পাহাড়ের চুড়ায় উঠা শক্তিশালী হওয়ার পরিচয় নয়, সাগর পাড়ি দেয়াও
বাহাদুরের পরিচয় নয় বরং স্ত্রীর বোঝা বহন করতে পারা অর্থ্যাৎ স্ত্রীকে সুন্দরভাবে চালানোই
বড় বাহাদুরির কাজ। তাই তালাক দিয়ে স্ত্রী ছেড়ে দেয়াতে বাহাদুরি নাই, বরং স্ত্রীকে নিজের
কন্ট্রোলে রাখা নিজের অনুগত রাখা নিজের প্রেমে বিভোর রাখাই হল প্রকৃত বাহাদুরির আলামত।
মনে রাখবেন প্রতিটি ঘরেই তুই তুকারি হয়, জিকজিক হয়, এখন কেহ
যদি দাবী করে যে আমার স্ত্রীর সাথে আমার বাক বিতন্ডা হয়না, আমি বলব এটা কখনো হতেই পারেনা,
এটা মান্য করার মত কথা নয়। কারন স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া মানে হিরোশিমা নাগাসাকিতে বোমা
ফাটানোর মত ঝগড়া নয় বরং এই ঝগড়ার বিপরীতে মহব্বত লুকায়িত থাকে। এটা সে ঝগড়া যাতে প্রতি
বার মহব্বত বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর স্বামী স্ত্রীর এই বাক বিতন্ডা এই ঝগড়ার মজাই অন্যরকম।
মনে রাখবেন স্ত্রী যদি মান অভিমান করে তার মান অভিমান ভাঙ্গানোটাও
কিন্তু আমাদের দয়াল নবীর একটা সুন্নত। আমাদের আম্মাজান উম্মুল মুমিনিন আয়শা সিদ্দিকা
ফরমান আমরা হুযুরের সাথে মান অভিমান করতাম, এরপর অভিমান করে বসে যেতাম, কিন্তু যার
সন্তুষ্টি স্বয়ং আল্লাহ চান, সে মাহবুবে খোদা এসে আমাদের মান অভিমান ভাঙ্গাতেন। এবং
এমন কথা হুযুর আমাদের সাথে বলতেন তখন আমরা যতই রাগ করিনা কেন হেসে ফেলতাম। এর দ্বারা
বুঝা যায় যে ঘরের স্ত্রীর হক আছে যে সে মান অভিমান করবে। আরো মনে রাখবেন যেখানে মান
অভিমান থাকে সেখানে মহব্বতের জজবাও বেশী হয়। রাগ অভিমান তার সাথেই করা যায় যার প্রতি
অধিকার আছে যার কাছে আবদার খাটে, যার জন্য মহব্বত থাকে।
দেখুন লাখো লোক কত নাফরমানি করে তাদের জন্য কোন একশেন আসেনা,
আর হযরত ইউনুস অনুমতি ছাড়া বের হওয়াতে তাকে মাছের পেটে ঢুকিয়ে দিলেন। সুতরাং আপন মানুষের
সাথেই মানুষ মান অভিমান রাগ দেখায়। যেখানেই রাগ অভিমান হয় সেখানেই মহব্বতের জজবাত হয়।
তাই মান অভিমান রাগ গোস্বা বাক বিতন্ডা এসব থেকে যেন আমাদের ঘর সমুহের জন্য রহমতের
কারন হয়, এসব মান অভিমান রাগ গোস্বা বাক বিতন্ডা যেন আমাদের পরিবারসমুহ বরবাদ হওয়ার
কারন না হয়।
জনপ্রিয় ইসলামীক চ্যানেল
Youtube link
https://www.youtube.com/c/jaalhaq
Facebook Link
https://www.facebook.com/Jaalhaqbd
কোন মন্তব্য নেই