এমন বউ জাহান্নামী জাহান্নামী জাহান্নামী
এমন বউ জাহান্নামী জাহান্নামী জাহান্নামী
যে নারী নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, তাহাজ্জুদ পড়ে, কুরান তেলাওয়াত করে সব
ধরনের নেক আমল করে তারপরও আমার নবী (দ) ফরমান এমন নারী জাহান্নামী, এমন নারীর উপর
ফেরেশতারা লানত দেয়, অভিসম্পাত দেয়।
কে সেই নারী? জানেন? সে নারী হল যার
উপর নারাজ অবস্থায় তাঁর স্বামী মৃত্যু বরণ করেছেন।
হাদীসে পাকে আরো আছে- যদি কোন নারী
তন্দুরীতে রুটি রাখে আর এমন সময় সে নারীকে যদি তাঁর স্বামী নিজের প্রয়োজন পুরণ
করার জন্য আহ্বান করে, আর স্ত্রী তখন স্বামীকে না করে দেয়, এতে যদি স্বামী নারাজ
হয়ে যায়, যতক্ষন সে নারী তার স্বামীকে রাজি করবেনা ততক্ষন আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা
লানত করতে থাকে, আর এমন অবস্থায় যদি সে নারীর মৃত্যু হয় তাহলে সে নারী জাহান্নামে
যাবে।
আজকাল নারীরা বেপরোয়া হয়ে গেছে, যদি
কোন কারনে স্বামী স্ত্রীকে বলে তোমাকে তালাক দিব, তখন নারী সংশোধন হওয়ার পরিবর্তে,
স্বামীকে রাজি করার পরিবর্তে উল্টা স্বামীকে শাসিয়ে বলে এখনই তালাক দিয়ে দাও,
নাউজুবিল্লাহ।
অথচ আমাদের প্রিয় নবী এরশাদ করেন- যদি
কারো স্বামীর শরীর থেকে যদি ফোঁড়া হওয়ার কারনে পুঁজ বের হয় আর তার স্ত্রী যদি সে
স্বামীর পুঁজগুলি নিজের জিহ্বা দিয়ে সাফও করে তবুও সে তাঁর স্বামীর হক আদায় করতে
পারবে না।
এমনকি আল্লাহর রাসুল (দঃ) ফরমান যদি
আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করার অনুমতি দিতাম তাহলে নারীদেরকে নির্দেশ
দিতাম যেন তারা তারেদ স্বামীকে সিজদা করে।
সেজন্য প্রত্যেক নারীর উচিত তাদের সব
কিছু যেন স্বামীকে রাজি করার জন্য হয়।
কিন্তু আজকের নারী স্বামীকে খুশী করার
পরিবর্তে স্বামীর পরোয়া না করে যেমন ইচ্ছে তেমন করে চলে,
অথচ আল্লাহর হাবিব এরশাদ করে আমি
মেরাজের রাতে জাহান্নামে বেশীর ভাগ নারীকে দেখেছি কেননা নারীরা তাঁদের স্বামীর
নাশোকরী করে।
কেননা অধিকাংশ নারী যদি সবকিছুই
প্রতিদিন ঠিক ঠাক পায়, শুধু একদিন একটু ব্যতিক্রম হয় সাথে সাথেই বলে দিবে যখণ
থেকেই আমি এই ঘরে এসেছি আমি শান্তি কি জিনিষ পাইনি। যখন থেকে এই সংসারে এসেছি আমার
কোন আশাই পুরণ হয়নি।
এ ধরনের নাশোকরীর কারনে আমার নবী বলেন
অধিকাংশ নারীর ঠিকানা জাহান্নাম।
এসব কারনে আমাদের সমাজে দিন দিন
তালাকের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর অনেক সময় পিতা মাতার ভুলের কারনে স্ত্রীরা
স্বামীর ঘর করতে পারে না, যখন কোন মেয়ে স্বামী শশুড়বাড়ীর কোন অভিযোগ নিয়ে আসে - মা
বাবাকে বলে তখন মা বাবা নিজের মেয়ের কথার উপর ভিত্তি করে কোন ধরনের বাচ বিচার না
করে বলে, যদি তোমার শশুড় বাড়ীর লোক তোমার সাথে সামান্যতম এদিক সেদিক করে করে তাহলে
এমন কেইস করে দিব যে সারা জীবন জেল খানার ঘানি টানতে হবে।েআর এসব কথার দ্বারা মেয়ে
বিগড়ে যায় আর স্বামী ও শশুড়ালয়ের লোকদের সাথে অসদাচরণ করতে সাহস পায় আর যার পরিণতি
হয় তালাক।
আজকালকার মা বাবারা জানে না যদি
স্বামীর বিরুদ্ধে কোন মা বাবা তাদের মেয়েকে উসকানি দেয় তা জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার
মত আমল। আল্লাহর রাসুল (দঃ) স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে দুরত্ব সৃষ্টিকারীকে শয়তানের
সন্তান বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সে জন্য যখন কোন মেয়ে স্বামীর
বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নিয়ে মা বাবার কাছে আসে তখন মা বাবার উচিত নিজের মেয়েকে
ধৈয্যধারণ করার পরামশ দেয়া, কেননা একজন মা বাবা যদি বাদশাহ ও হয় কোটি পতিও হয় তবুও
তারা তাদের মেয়েকে তা দিতে পারেনা যা একজন স্বামী তার স্ত্রীকে দিতে পারে যেমন
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে এরশাদ করেন (লি তাসকুনু ইলাইহা) স্বামী স্ত্রী একে অপরের
জন্য শান্তির ঠিকানা। একজন স্বামী তার স্ত্রী থেকে যে সকুন পাবে, একজন স্ত্রী তার
স্বামী থেকে যে সকুন পাবে, দামী দামী গহনা পরিধান করে সে সকুন লাভ করতে পারে না।
তেমনি ভাবে একজ স্বামী দামী দামী গাড়ি হাকিয়ে সে সকুন হাছিল করতে পারে না যা
স্ত্রীর কাছে পাওয়া যায়।
আজকালকার নারীরা ফ্লিম ড্রামা আর সিরিয়াল দেখে দেখে বেলাগাম হয়ে যাচ্ছে।
# আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেছেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নাম বাসী হবে যাদেরকে এখনো আমি দেখেনি। তন্মধ্যে প্রথম শ্রেণী সেই লোক, যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক; যদ্দ্বরা তারা লোকেদের কে প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হল সেই মহিলাদল, যারা কাপড় পরা সত্ত্বেও যেন উলঙ্গ থাকবে,(যারা পাতলা অথবা খোলা লেবাস পরিধান করবে) এরা ( পর পুরুষকে নিজের প্রতি ) আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও ( তার প্রতি ) আকৃষ্ট হবে; তাদের মাথা হবে হিলে যাওয়া উটের কুজের মত। তারা জান্নাত প্রবেশ করবে না এবং তার সুগন্ধও পাবে না । অথচ তার সুগন্ধ এত- এত দূরবর্তী স্থান থেকে পাওয়া যাবে।”(মুসলিম ২১২৮ নং)
#আমাদের প্রিয় নবী (দ) বলেন সে সব
নারীদের জন্য আল্লাহ জান্নাতের খুশবুও হারাম করে দিয়েছেন যে সব নারী স্বামীর
সামর্থ্যের দিকে খেয়াল না করে অতিরিক্ত খরচ করে স্বামীকে পেরেশান করে।
# মনে রাখবেন যদি স্বামী স্ত্রীকে নফল
রোজা রাখতে নিষেধ করেন তখন স্ত্রীর জন্য সে নফল রোজা রাখা না জায়েজ হয়ে যায়,
ইসলামী শরীয়তে স্বামীর এত বেশী গুরুত্ব, এমনকি আমাদের প্রিয় নবী এটাও ফরমায়েছেন
নারীদের জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নফল নামাজ পড়ার চাইতে স্বিয় স্বামীর খেদমত করা আরো
উত্তম।
আমাদের সমাজের নারীরা যদি এসব হকুক
জানে, স্বামীর প্রতি এমন গুরুত্ব সহকারে সম্মান দেখায় তাহলে আমাদের পরিবারে
জাহান্নামের আগুন জ্বলবে না বরং প্রত্যেকের ঘর জান্নাতের বাগানে পরিণত হবে।
নারীরা একটি হাদীস শুনলে মানলে এবং
অনুধাবন করলেই ঘর জান্নাতের বাগান হয়ে যাবে, এক সাহাবীর ২ তলা বিশিষ্ট ঘর, উপরের
তলায় সে সাহাবীর স্ত্রী থাকে আর নিচের তলায় তার স্ত্রীর মা বাবা থাকে, সাহাবী যখন
সফরে যাচ্ছিলেন তখন স্ত্রীকে বলে দিলেন আমি সফর থেকে ফিরে না আসা পযন্ততুমি কোথাও
বের হইও না, স্ত্রী স্বামীর হকুম পালনের মত দিল, স্বামী চলে গেলে, সে মহিলার পিতা
খুবই অসুস্থ হয়ে গেল, যিনি নিচের তলাতেই থাকেন, তখন সে মহিলা হুযুর (দঃ) এর কাছে
একজন খাদেম মারফত মাসয়ালা জিজ্ঞেস করল, হুযুর মাসায়ালা বলে দিলেন যেহেতু স্বামীর
হকুম পালন ওয়াজিব, সুতরাং তার জন্য পিতা অসুস্ত হলেও তাকে দেখতে যাওয়া জায়েজ
হবেনা, এরপর কিছুদিন পর তার পিতা ইন্তেকাল করলে আবার হুযুরের কাছে মাসায়ালা
জিজ্ঝেস করা হলে এবারও হুযুর বললেন সে নারীর জন্য ওয়াজিব হল সে যেন তার স্বামীর
হকুম মোতাবেক আমল করে, অর্থ্যাৎ যদি স্বামী নিষেধ করে তাহলে সে তার মা বাবার
মৃত্যুতেও যেতে পারবে না। এটাই হল আমাদের প্রিয় নবীর হকুম, ইসলামের বিধান, স্বামীর
মর্যাদা।
সে নারী শেষ পযন্ত পিতার মৃত্যুতেও
গেল না, পিতার লাশ নিয়ে গেল, আর সে নারী কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেল, আর ঘুমের
মধ্যেই সে নারী স্বপ্ন দেখল যে তার পিতা জান্নাতে ঘুরছে, সে তার পিতাকে জিজ্ঞেস
করল বাবা আপনি জান্নাতে কিভাবে আসলেন? পিতা জবাব দিল হে আমার আদরের সন্তান আমি আজ
জান্নাতে আসার একমাত্র কারন হলে তুমি, তুমি তোমার স্বামীর ফরমাবরদারি করেছ আর তার
সদকায় আল্লাহ তায়ালা আমাকে জান্নাত দান করে দিয়েছেন। সুবাহনাল্লাহ।
দেখুন একজন মেয়ে স্বামীর ফরমাবরদারী
করার কারনে তার পিতা জান্নাতের নেয়ামত লাভ করল।
আর আজকালকার অবস্থা হল যদি স্বামী তার
স্ত্রীকে বান্ধবীর বাসায় যেতে নিষেধ করে, শপিং এ যেতে বাঁধা দেয়, প্রতিবেশীর ঘরে
যেতে নিষেধ করে নারীরা নারাজ হয়ে যান,
নারীরা যখন এক জায়গায় একত্রিত হয় তখন
বিভিন্ন ধরনের খোরাফাত হয়, গীবত চুগলী এসব খুব বেশী হয়, এসব থেকে বিরত রাখার জন্য
হযরত ফারুকে আযম (রাঃ) নারীদের মসজিদে যেতে পাবন্দি লাগিয়ে দিয়েছেন,
নারী যতক্ষন নিজ ঘরে থাকবে ততক্ষনই সে
নিরাপদ, এখন যত ধরনের ফিতনা হয় তা নারীদের বেপরোয়া এদিক সেদিক ঘুরাফেরার ফলেই হয়ে
থাকে। তবে একান্ত প্রয়োজন হলে পর্দার সাথে স্বামীর অনুমুতি সাপেক্ষে যেতে শরীয়ত
নিষেধ করেনি।
আর এখন আমাদের সমাজের পুরুষেরাও তাদের
মহিলাদেরকে পর্দার ব্যপারে সতর্ক করেনা, অথচ আকাঁ (দঃ) বলেন যে ঘরের নারী বেপর্দা
চলে আর পুরুষ তাতে নিষেধ না করে তাহলে সে পুরুষ দইয়্যুজ এমন লোক নামাজও কবুল হয়না,
দোয়াও কবুল হয়না।
আফসুস যদি আমাদের সমাজের নারীরা যদি স্বামীর এমন হকুক সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হত? তারা যদি জানত স্বামীর সাথে লড়াই করলে স্বামীর সাথে জিদ করে কোন কাজ করলে সে জান্নাতে যেতে পারবে না, তাহলে আমাদের পরিবার সমুহ এক একটি জান্নাতে টুকরাতে পরিণত হয়ে যেত।
কোন মন্তব্য নেই