৬টি আযব ঘটনা। সন্তানের লালন পালনের ব্যাপারে মহানবীর ৬টি আজব শিক্ষনীয় ঘট...
আপনার বাচ্চাদেরকে নিয়ে সব টেনশন ১০০% শেষ হয়ে যাবে
প্রিয় নবীর কয়েকটি আজব ঘটনা
সুপ্রিয় সুধী মন্ডলী আসসালামু আলাইকুম, আজ আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে কিরুপ আচরন করতে হবে প্রিয় নবীর কয়েকটি আজিব ঘটনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করব, যা আমরা যদি আমল করি তাহলে বাচ্চাদের নিয়ে প্রত্যেক মা বাবার সব টেনশন খতম হয়ে যাবে। আজকাল সকল মাই স্কুলের মাষ্টার হয়ে গেছে। সারাক্ষন বাচ্চাদেরকে ধমকাতে থাকে, ভয় দেখাতে থাকে, এতটাই জাহেল যে বাচচার পিছনে যতটুকু মেহনত বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য করে বাচ্চার কাপড় সাজানোতে করে তার চার ভাগের ১ ভাগ যদি বাচ্চার তরবিয়তের জন্য করত তাহলে বাচ্চা জুনায়েদ বাগদাদী হয়ে যেত। ৩ বছর হতেই ছোট বচ্চাটাকে স্কুলের হাওয়ালা করে দিল। স্কুলে থেকে আসতেই শুরু হয়ে যায় হোম ওয়াক, সন্ধ্যায় খেলারধুলার সময় এসে যায় মৌলভী সাহেব, সন্ধ্যায় আসে গৃহশিক্ষক। সকালে হবে আবার কোচিং, সারাটাদিন এ মাসুম বচ্চাটাকে মেশিনের মত রোবটের মত ব্যবহার করে,
অথচ বাচ্চাদের সাথে কিরুপ আচরন করতে হবে কুল কায়েনাতের সবশ্রেষ্ট শিক্ষক মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (দঃ) আমাদেরকে প্রেকটিক্যালি শিখিয়ে গেছেন। একদিন আমাদের নবী হাসান হোসানে দুজনকে কুস্তী লাগিয়ে দিল, হাসান যেহেতু বড় তাই হাসান হুসেইনকে দাবাচ্ছিল, কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী হোসেইনকে সাবাশি দিয়ে যাচ্ছিলেন, বলছিলেন, হোসেন শাবাস, শাবাস হোসেন, হোসেন আরো জোরে হোসেন আরো জোরে এভাবে হোসেনকে উৎসাহ দিচ্ছিল, তখন মা ফাতেমা বলল এয়া রাসুলুল্লাহ আপনি সকল শাবাশি হোসেনকে দিয়ে যাচ্ছেন হাসানকে দিচ্ছেন না কেন? তখন আ (দঃ) বলেন ফাতেমা এখানে জিবরাইল আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে, সেও হোসেনকে শাবাসি দিয়ে যাচ্ছে তাই আমিও তার সাথে সাথে হোসেনকেই শাবাসি দিচ্ছি।
এরচেয়েও আজব ঘটনা শুনুনু, আমার নবী ফরজ নামাজ পড়াচ্ছিলেন, হাজার হাজার মুসল্লি পিছনে এক্তেদা করেছিল, যখন তিনি সিজদায় গেলেন এমন সময় হাসান এসে নবীজির কোমরের উপর গিয়ে বসে গেল, আমাদের নবী সিজদা লম্বা করে দিল, পিছনের সকলে চিন্তা করতে লাগল আল্লাহর নবী সিজদার মধ্যে হয়ত ইন্তেকাল করে গেছেন, নবীজির ঠিক পিছনে একজন সাহাবী দেখল নবীজির কোমরের উপর হযরত হাসান বসে আছে, তখন সে সাহাবী নিজের হাত বাড়িয়ে হযরত হাসানকে নবীর পিট থেকে টেনে নামাতে হাত বাড়াতে লাগল তখন আমারদের নবী নিজের বগলের নিচ দিয়ে দেখতে পেলেন এক সাহাবী হাত বাড়াচ্ছে হযরত হাসানকে নবীর পিট থেকে নামানোর জন্য, তখন নবীজির নিজের হাত দিয়ে ইশারা করলেন যেন সাহাবী হাসানকে না নামায়, যতক্ষন হযরত হাসান পিট থেকে নিজ ইচ্ছায় নামল না ততক্ষন মহানবী সিজদায় পরে রইলেন।
এরচেয়েও আজব ঘটনা, আমাদের নবীজির বড় মেয়ে জয়নাব এর ছোট কন্যা আমাদের প্রিয় নবীর নাতনি উমামাকে জোহর কিংবা আসরের নামাজ পড়াচ্ছিলেন তখন নাতনি উমামাকে প্রিয় নবী নিজের কাধ মোবারকে বসালেন হাদীস শরীফে শব্দ এসেছে (আলা আতিকিহি) আর আতিকীহি অথ হল কাঁধের উপর । যখন নবীজি রুকুতে যাওয়ার সময় হত তখন তাকে আরামসে পাশে বসাতো তারপর রুকু সিজদা করে উঠার সময় আবার আরামসে তুলে নিজের কাঁদের উপর বসাতো, ৪ রাকাত নবীজি এভাবেই পড়ালেন যে নিজের নাতনি নবীজির কাঁদের উপর বসে ছিল শুধুমাত্র জিন্দেগী শিখানোর জন্য, বাচ্চাদের ভালবাসা এত বেশী দিবেন যেন সে আপনার জন্য কোরবান হতে রাজি হয়, সারাক্ষন ডান্ডা, ধমক, ভয় প্রদশন, গালি, বকা, শাসন, এসব কিছু বাচ্চাদেরকে আপনার কাছ থেকে দুরত্ব সৃষ্টি করে দেয়,
আজকালকার মা বাবা বড়ই এডুকেটেড কিন্তু প্রকৃত ক্ষেত্রে তারা বড়ই মুখ, কারন তাদের জানা নাই সন্তানকে কিভাবে লালন পালন করতে হয়, কাগজের ডিগ্রী নিয়ে তারা বড়ই অহংকার করে, কিন্তু বাস্তব জ্ঞানের বড়ই অভাব, যার কাছে আমার নবীর জীবনীর জ্ঞান নাই আল্লাহর কসম সে জানোয়ার থেকেই খারাপ। শেষ দরজার মুখ জাহেল যার কাছে আমাদের প্রিয় নবীর জীবনীর খবর নাই।
হযরত হাসানকে আল্লাহর নবী নিজের পেটের উপর রেখে খেলা করছিলেন হঠাৎ হাসান পেশার করা আরম্ভ করল, তখন আমাদের নবীজী একদম শক্ত হয়ে নড়াচড়া বন্ধ করে দিলেন, কারন যদি নড়াচড়া করে ছোট বাচ্চা পেশাব অধেকে বন্ধ হয়ে যাবে তাই একদম নড়াচড়া বন্ধ করে সোজা হয়ে থাকলেন, যখন পেশাব পুরাপুরি শেষ হল তখন আস্তে করে বাচ্চাকে রেখে তিনি গিয়ে সে পেশাব ধুয়ে ফেললেন, এটাই হল নবীজির ছোট বাচ্চাদের প্রতি আচরন এর শিক্ষা, আর আমাদের কোলে যদি কোন ছোট বাচ্ছা পেশাব করা আরম্ভ করা সাথে সাথে ঝটকা দিয়ে সে বাচ্চাকে আমরা এমনভাবে ছুড়ে ফেলি যে বাচ্চা ভয় পেয়ে অধেক পেশাব করেই ক্ষান্ত হয়ে যায়। আমি আপনাদেরকে আমাদের নবীর সে জীবনের কথা বলছি যা ফলো করলে আমাদের সকলের জীবন সুন্দর হয়ে যাবে। যে নবী চাঁদকে ২ টুকরা করে দিলেন মিরাজে আসমান ছিড়ে উপরে চলে গেলেন তা অবশ্যই আমাদের নবীর অনেক বড় বড় মুজেজা, কিন্তু তার চাইতেও বড় মোজেজা হল তিনি আমাদেরকে এক খোবসুরত জিন্দেগী শিখিয়ে গেছেন। আমার নবীর আখলাক আমার নবীর চরিত্র আমাদের নবীজির সবচেয়ে বড় মোজেজা।
হযরত হাসানের সামনে আমার নবী নিজের জিহ্বা বের করতেন হাসান যখন নবীজির জিহ্বা ধরতে চাইতেন তখন নবীজি জিহ্বা মুখের ভিতর ঢুকীয়ে ফেলতেন আর তখন হাসান ছোট বাচ্চা খুব হাসতেন। এভাবে অনেকক্ষন যাবৎ আমার নবী হাসান এর সাথে খেলাধুলা করতেন।
এরচেয়ে বড় আজব ঘটনা, হোসেন উঠানে খেলছে দৌড়া দৌড়ি করছে আর নবীজি যখন দেখল হোসেন দৌড়োদৌড়ি করছে তখন প্রিয় নবী হোসেনকে ধরার চেষ্টা করছে আর বলছে এই হোসেনকে ধর হোসেনকে ধর, এমন ভাব করছেন যেন তিনি হোসেন এর সাথে দৌড়ে পারছেন না, এমনই ভাব দেখাচ্ছেন আর হোসেন দৌড়ছে আর এদিক সেদিক দৌড়া দৌড়ি করছে আর পিছনে পিছনে প্রিয় নবী আস্তে আস্তে দৌড়ছেন নবীজি হোসেনকে ইচ্ছাকৃত ধরছেন না, আর হোসেন বড়ই খুশী যে আজ আমার নানা আমাকে ধরতে পারছে না, এভাবে অনেকক্ষন দৌড়াদৌড়ির পর নবীজি শেষ মেষ হোসেনকে ধরে ফেললেন আর বললেন এইতো ধরে ফেললাম আর কোলে নিয়ে হোসেনকে চুমু দিলেন। আর ফরমালেন হোসাইনুম মিন্নি ওয়া আনা মিন হোসাইন। এভাবেই দু জাহানের বাদশা নবী ছোট ছোট হাসান হোসেন এর সাথে খেলা করতেন তাদেরকে আনন্দ দিতেন।
আজ আপনাদের সকলকে বলছি প্রিয় নবীর জীবনী পাঠ করুন, সে নবীর আদশ শিখুন, এ নবীর আদশ শিখুন নিজেদের প্রতিটি ক্ষেত্রে সে নবীর আদশকে বাস্তবায়ন করুন তারপর দেখুন জীবনটা কতই সুন্দর ও পরিপুণ হয়। সুন্দর সুন্দর দামী দামী জিনিষ দ্বারা জীবন সুন্দর হয় না, জীবন সুন্দর হয় আমাদের নবীর আখলাকের দ্বারা। যার এ আখলাক মিলে গেল তার ঘরে ১৪ তারিখের চাঁদ সব সময় চমকাতে থাকবে। আর যার আখলাক নষ্ট হয়ে গেল তার ঘরে দিনেও রাতের অন্ধকার নেমে আসবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আপনাদের সন্তানদেরকে চক্ষু শিতলকারী বানাক আমিন।
কোন মন্তব্য নেই