নামাজে কখন আজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়বেন? কখন পড়তে হবে না?

 


নামাজে কখন বিসমিল্লাহ পড়বেন কখন পড়বেন না

নামাজে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ কখন পড়া উচিত? এবং এগুলি পড়া সুন্নত ওয়াজিব নাকি মুস্তাহাব? আজ এই মাসায়ালা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

 প্রথম মাসায়ালা হল- আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম কখন কখন পড়া উচিত?

দেখুন যখনই আপনি কোন নামাজ শুরু করেন, চাই তা সুন্নত হউক, ফরয হউক, নফল হউক, সব নামাজের প্রথম রাকাতে তাকবীর তাহরীমার পর ছানা পড়বেন, তারপর আউজুবিল্লাহিমিনাশ শাইতানির রাজিম এরপর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে সুরা ফাতেহা পড়বেন।

শুধু প্রথম রাকাতেই আউজুবিল্লাহ পড়তে হবে, এছাড়া যদি আপনি ২ রাকাত বা ৩ রাকাত কিংবা ৪ রাকাত নামাজ পড়েন তাহলে বাকী রাকাতগুলিতে আউজুবিল্লাহ পড়তে হবেনা। শুধু প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমার পর ছানার পর আউজুবিল্লাহ হি মিনাশ শায়তানির রাজিম পড়া সুন্নত।

এবার বিসমিল্লাহ কখন পড়বেন?

দেখুন যখনই আপনি সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন তখনই সুরা ফাতেহা পড়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত।

আর সুরা ফাতেহার পর যখন অন্য কোন সুরা পাঠ করবেন সে সুরা যদি শুরু থেকে পড়েন তাহলে তার আগে বিসমিল্লাহ পড়া মুস্তাহাব, কিন্তু যদি কোন বড় সুরার মাঝখান থেকে কয়েক আয়াত তেলাওয়াত করেন তখন বিসমিল্লাহ পড়া লাগবেনা।

মোট কথা যে সব রাকাতে সুরা ফাতেহার পর অন্য সুরা পড়বেন সে সুরা যদি প্রথম থেকে পড়েন তখন বিসমিল্লাহ পড়তে হবে, মাঝখান থেকে পড়লে বা শেষের দিক থেকে পড়লে তখন বিসমিল্লাহ পড়তে হবেনা, যেমন আপনি সুরা আর রাহমান এর শুরু থেকে  কিছু আয়াত পড়ছেন, কিংবা সুরা এখলাছ পড়ছেন তখন বিসমিল্লাহ পড়বেন, আর যদি শেষ দিক থেকে যেমন সুরা হাশরের শেষ আয়াত হুয়াল্লাহুল্লাজি বা বাকারার শেষ আয়াত আমানার রাসুলু থেকে পড়ছেন তখন বিসমিল্লাহ পড়া লাগবে না।

আর মনে রাখবেন আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত ও মস্তাহাব, এসব যদি ঠিকটাক আদায় করেন তাহলে ছাওয়াব পাবেন এখন কেহ যদি ভুলে যায় তাহলে তাকে তার জন্য সাহু সিজদা দিতে হবে না। কেননা সুন্নত ছুটে গেলে সাজদা সাহাব ওয়াজিব হয়না বরং ওয়াজিব ছুটে গেলে সাজদা সাহাব ওয়াজিব হয়।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.