সহজ আমল নেকি বেশী (পর্ব ৩) জান্নাতে লাভের সহজ আমল। Today Juma Khutba | J...







এবার আসুন আল্লাহর আদরের বান্দার
চতুর্থ
গুণ হল দোয়া
وَالَّذِينَ
يَقُولُونَ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ
غَرَامًا
এবং যারা বলে, হে আমার পালনকর্তা, আমাদের কাছ থেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও নিশ্চয় এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ; [ সুরা ফুরকান ২৫:৬৫ ]
৫নং ও ৬নং গুণ হল হিসাব করে খরচ করা ও কৃপনতা না করা
وَالَّذِينَ
إِذَا أَنفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَلِكَ
قَوَامًا
এবং তারা যখন ব্যয় করে, তখন অযথা ব্যয় করে না কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তীসুরা ফুরকান ২৫:৬৭ ]
৭/৮/৯ নং গুন হল শিরিক, হত্যা ও জেনা থেকে পাক হবে
وَالَّذِينَ
لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي
حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ
أَثَامًا
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবেসুরা ফুরকান ২৫:৬৮ ]
১০ নং গুণ
হল বেহুদ কাজ করবেনা

وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا
مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا

এবং যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়সুরা ফুরকান ২৫:৭২ ]
১১নং গুন হল আল্লাহর বাণী শুনবে

وَالَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ
لَمْ يَخِرُّوا عَلَيْهَا صُمًّا وَعُمْيَانًا

এবং যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ বধির সদৃশ আচরণ করে নাসুরা ফুরকান ২৫:৭৩ ]
১২ নং গুন হল স্ত্রী সন্তানের জন্য দোয়া করবে

وَالَّذِينَ
يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ
وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ করসুরা ফুরকান ২৫:৭৪ ]
তাহলে সুরা ফুরকানে আল্লাহ তাঁর খাস বান্দার গুণাবলী বয়ান করেছেন ১২টি
তার সারমর্ম হল
(১) তারা চলাফেরা করে নম্রভাবে (২) মুর্খরা বিতক করলে তারা বলে সালাম
(৩) যারা রাতে তাহাজ্জুদ গুজার হয় (৪) যারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া করে (৫) যারা
ব্যয় করে যথাযথভাবে অপচয় ছাড়া (৬) যারা কৃপণতাও করেনা। (৭) যারা শিরিক করেনা (৮) যারা
অন্যায়ভাবে হত্যা করেনা (৯) যারা ব্যভিচার করেনা (১০) যারা অনৈসলামিক মিথ্যা কার্যকলাপে
যোগদান করেনা (১১) যাদেরকে আল্লাহর বাণী শুনানো হলে তারা অন্ধ ও বধিরের মত আচরন করেনা
(১২) যারা স্ত্রী ও সন্তান মুত্তাকি হওয়ার দোয়া করে।
আল্লাহ আপনাদেরকে এবং আমাকে এই ১২টি গুনে গুণান্বিত হওয়ার তৌফিক দানকরুন
আমিন।
দুর থেকে মসজিদে
যাওয়ার ফজিলত
মুসলিম
শরীফের হাদীস ৬৬৫। হযরত জাবের (রা) হতে বর্ণিত তিনিবলেন মসজিদে নববীর পাশে কিছু খালি
জায়গা ছিল তখন বনু সালমার লোকেরা মসজিদে নববীর পাশে সে খালি জায়গায় বাড়ী ঘর স্থানান্তরের
নিয়ত করল, যখন এ কথা হুযুর (দ) জানতে পারলেন তিনি বনু সালমার লোকদের ফরমালেন “আমি খবর
পেয়েছি তোমরা মসজিদের কাছে চলে আসতে চাচ্ছ? তারা বলল জি হ্যাঁ এয়া রাসুলাল্লাহ, তখন
নবী (দ) ২ বার বললেন “ নিজ ঘরে থাক কেননা তোমাদের প্রতি কদমে ছাওয়াব লেখা হয়” বনু সালমা
বলেন আমরা এই ফরমান শুন এত খুশি হয়েছি যদি আমরা ঘর স্থানান্তর করতাম এত খুশি হতাম না।
#মাজমাউয যাওয়ায়েদ
হাদীস নাম্বার ২০৯২।
মাঝারী কদমে
মসজিদে যাওয়া
হযরত জায়েদ
বিন সাবেত বলেন আমরা হুযুর (দ) এর সাথে নামাজে যেতাম, একদিন হুযুর ফরমালেন তোমরা কি
জান আমি ছোট ছোট ও মাঝারি ধরনের কদম দিয়ে কেন নামাজে যাই? তখন আমরা বললাম আল্লাহ ও
রাসুল ভালো জানেন, তখন হুযুর (দ) বললেন এই জন্য মাঝারি কদম দিই যাতে বেশী বেশী কদম
ফেলে নামাজে যেতে পারি।
#সাহাবীকে মসজিদে আসতে গাধা নিতে বলা
মুসলিম
শরীফের ৬৬৩ নং হাদিস। হযরত উবাই বিন কাব (রা) বলেন এক আনসারি সাহাবী অনেক দুর থেকে
মসজিদে আসত, কোনদিন তার নামাজ ছুটতনা, যখন তাকে বলা হল একটি গাধা নিতে সে জবাব দিল
আমি মসজিদের কাছে থাকতে পছন্দ করিনা কারন আমি চাই আমার মসজিদে আসা ও যাওয়ার কদমগুলি
লেখা হউক। তার এ কথা যখন নবী (দ) জানতে পারলেন তখন বললেন আল্লাহ তোমার  আশা পুরণ করে দিবেন।
#তাবরানি কবির
হাদীস নাম্বার ৭৭৩৯।
হযরত আবু উমাম (রা) বর্ণনা করেন- খাতামুল মুরসালিন রাহমাতুলিল আলামিন
জনাবে সাদেকুল আমিন (দ)
এরশাদ করেন
মসজিদে আশা যাওয়া আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের মত।
#মুসলিম
শরীফের ৬৬৯ নং হাদীস। হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বণিত রাসুলে বেমেছাল (দ) এরশাদ করেন
মসজিদে যাওয়া আসা করে আল্লাহ তায়ালা তার প্রত্যেক যাওয়া আসার বদলায় জান্নাতে
এক একটি মেহমানখানা বানাবেন।
#মুসনদে
আবি এয়ালা হাদিস নম্বর ৪৭৪। হযরত আলী (রা) বর্ণনা করেন- মাহবুবে রাব্বুল ইজ্জত (দ)
এরশাদ করেন- পরিপূর্ণ অজু করে, মসজিদে যাওয়া এক নামাজের পর অপর নামাজের অপেক্ষা করা
গুনাহকে পরিস্কারভাবে ধুয়ে ফেলে।
সহিহ ইবনে হিব্বান
হাদিস নাম্বার ৪৯৯।
আল্লাহ গ্যারেন্টার
জামিনদার
 হযরত আবু উমাম (রা) হতে বর্ণিত নবিয়ে মুকাররাম (দ)
এরশাদ করেন- ৩ প্রকার লোক এমন যাদের জামিনদার (গ্যারান্টার) স্বয়ং আল্লাহ  যদি সে ৩ প্রকার লোক জীবিত থাকে তাহলে তাদের রিযিক
দিবেন, আর মৃত্যু বরণ করলে আল্লাহ তাদের জান্নাত দান করবেন। (১) যে নিজের ঘরে প্রবেশ
করে সালাম দেয় (২) যে ব্যক্তি মসজিদে দিকে যায় (মসজিদের দিকে যায় মানে বেশী বেশী মসজিদে
যায় ৫ ওয়াক্তে ৫ বার মসজিদে যায়, যে কোন পরিস্থিতিতে মসজিদে গিয়ে বা জামাত নামাজ আদায়
করে) (৩) যে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়। (অর্থ্যাৎ সে হয়ত জিহাদ ফি সবিলিল্লায় বের হয়,
অথবা দ্বীন ইসলাম প্রচারে বের হয়, কিংবা দ্বীনি জ্ঞান অজনে বের হয় অথবা হালাল রুজি
হাসিল করার জন্য বের হয়) এই ৩ প্রকারের লোকের জন্য আল্লাহ তায়ালাই গ্যারান্টার বা জামিনদার।
অন্ধকার রাতে
মসজিদে যাওয়ার ছাওয়াব
#সহিহ ইবনে
হিব্বানের ২০৪৪ নং হাদীস- শাহেনশাহে মদিনা (দ) বলেন যে রাতের আধারে মসজিদে যায় কেয়ামতের
দিন আল্লাহ তাকে নিজের নুরের জেয়ারত করাবেন।
#তাবরানিয়ে
কবির ৭৬৩৩। মাহবুবে খোদা (দ) এরশাদ করেন- রাতের অন্ধকারে মসজিদের দিকে আসা যাওয়াকারীর
জন্য (হাশরের মাঠে) নুরের মিম্বরের সুসংবাদ। যখন লোকেরা ভীত সন্ত্রস্থ হবে সে সকল ভয়
ভীতি থেকে মুক্ত থাকবে।
ইমাম নখঈ
বলেন- সাহাবায়ে কেরাম অন্ধকার রাতে মসজিদে যাওয়াটা জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার আমল মনে করতেন।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.