সহবাসের কতক্ষন পর গোসল করতে হবে। ফরয গোসলের সঠিক নিয়ম। জানাবাতের গোসলের ...

সহবাসের কতক্ষন পর গোসল করা উচিত?



এক আরাবী প্রশ্ন করেন এয়া রাসুলাল্লাহ - রোজে কেয়ামত কিয়ামতের দিন আমি আল্লাহর সাথে এ অবস্থায় মিলিত হতে চাই,  আমার আমলনামায় কোন গুনাহ থাকবেনা, সব ধরনের গুনাহ থেকে পাক সাফ হয়ে আমি কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে মিলিত হতে চাই।

তখন হুজুর (দ) কতযে সুন্দর জবাব দিয়েছেন শুনুন- হুজুর (আ) ফরমান জানাবাতের গোসল খুব ভালো করে করে নাও।এর বরকতে তুমি আল্লাহর সামনে এই হালতে মিলিত হবে যে তোমার আমল নামায় কোন গুনাহ থাকবে না।

অর্থ্যাৎ জানাবাতের গোসল যারা খুব নিঁখুত ভাবে করে কিয়ামতের দিন তারা গুনাহ থেকে পাক পবিত্র হয়ে উঠবে।

তখন আরবের কাফেরেরা জানাবাতের গোসল করতই না - হুজুর (দ) ফরমান যেখানে নাপাক লোক থাকে - অর্থ্যাৎ যার উপর গোসল ফরয হয়েছে সে যেখানে থাকবে সেখানে আল্লাহর রহমতের ফেরেশতা থাকবে না।

তখনতো পানির অভাব ছিল শিক্ষা ছিলনা, কিন্তু এখনও অনেক ভাইকে দেখা যায় নাপাকী হালতে দোকানে চলে যায়, ঘুরতে থাকে। যখন ইচ্ছা তখন গোসল করে। এমনকি নাপাকি অবস্থায় নামাজও কাজা হয়ে যায় তার কোন পাত্তাই নাই।

অথচ হাদীসে পাকে এসেছে- যে জানাবাতের গোসলে দেরী করে মৃত্যুর সময় তার কলমা নসিব হবেনা।

 

মাঝখানে একটি কথা আপনাদের বলে রাখি- জানাবাতের গোসল না করার কতবড় ক্ষতি একবার শুনে রাখুব তাহলে বুঝতে পারবেন।

যারা আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হন সে যদি শহিদে হাকিকি হয় তাহলে তাকে তার রক্তমাখা কাপড় সহ দাফন করতে হবে। আর সে তার রক্তমাখা কাপড় ও শরীর নিয়ে কেয়ামতের দিন উঠবে।আর সে রক্ত থেকে সেদিন মেশক আম্বরের খুশবু ছড়াবে। আর তার সে রক্তও সেদিন মিজানে মাপা হবে। এটা হল শহিদের মর্যাদা।

যে শহিদের রক্তের এত মর্যাদা সে যদি জানাবাতের গোসল না করেই শহিদ হয়ে যায় যেমন হযরত হানজালা (রা) উহুদের ময়দানে শহিদ হয়েছেন তাহলে তাকে গোসল দেয়া হবে। অথচ শহিদের রক্ত পাক পবিত্র। সে জন্য ফোকাহায়ে কেরাম ফতোয়া দেন যদি শহিদের রক্ত কুয়াতে পরে তাহলে সে কুয়ার পানি নাপাক হবেনা। শহিদের এই মর্যাদা হয়। কিন্তু সে শহিদ যদি জুনুবি না হয় তাকে গোসল দেয়ার প্রয়োজন নাই যদি জুনুবী হয় তাহলে তাকে গোসল দেয়া হবে।

হযরত হানজালা যেহেতু এশকে রাসুলে নাপাক হালতে বের হয়ে গেছিলেন তাই আল্লাহ ফেরেশতাদের মাধ্যমে তাকে গোসল দিয়েছেন। যাতে নাপাক অবস্থায় দাফন না হয়।

তাই নাপাক হলে সাথে সাথে গোসল করে নেয়া উচিত। কেননা আল্লাহ রাসুল (দ) ফরমান আমিন বা আমানত দার সে লোক যে গোসলে জানাবাত সঠিক ভাবে করে এবং সাথে সাথে করে।

আর সঠিক ভাবে গোসলে জানাবাত করার ব্যপারে নবী (দ) বলেন যখন কেহ নাপাক হয় তখন তার প্রতিটি লোমে লোমে কেশে কেশে জানাবাত হয়ে থাকে।যদি একটি পশমও হালতে জানাবাতের গোসল করার সময় ধৌত করা ছাড়া রয়ে যায় তাহলে সে পাক হবেনা।

শরীরে পানি বাহানোর নাম গোসল নয়। নাকের নরম হাড্ডি পযন্ত পানি পৌঁছানো, গড়গড়া করে কন্ঠনালি পযন্ত পানি পৌঁছানো, যদি রোজা না হয়, এরপর সারা শরিরে এমনভাবে পানি পৌঁছানো যাতে প্রতিটি পশম ভিজে যায়, কমপক্ষে ৩ কতরা পানি যেন প্রতিটি লেোমে লোমে প্রবাহিত হয়। এটা খুবই জরুরী।

ফরয গোসল খুব সতকর্তার সাথে হওয়া জরুরী না হয় গোসল হবে না। অনেক লোক আছে ৩/৪ সন্তানের পিতা হয়ে গেছে কিন্তু গোসল করা শিখে নাই। তার নামাজ এবাদত কিভাবে হবে?

সে জন্য হুজুর (দ) ফরমান যদি তুমি চাও গুনাহ থেকে পাক সাফ হয়ে কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে জানাবাতের গোসল খুব ভালো ভাবে কর।

সে জন্য গোসলে জানাবাত ভালো ভাবে হওয়ার জন্য নাকের পশম যদি বেড়ে যায় তা কেটে ফেলবেন, যদি কেটে নেন তাহলে গোসলে জানাবাতে সহজতা আসবে। তেমনি ভাবে যদি কিছু খেয়ে থাকে দাঁতের লেগে থাকে তা বের করে সম্পূণটাতে পানি পৌঁছানো আমাদের জন্য ফরয।গড়গড়ার করার সময় লজ্জা করার প্রয়োজন নাই। যদি আওয়াজ হয় লোকে কি বলবে এটা চিন্তা করে গড়গড়া করা বাদ দিবেন না। কন্ঠনালি পযন্ত পানি পৌঁছাতে হবে।

মনে রাখবেন কাফের কখনো পাক হতে পারেনা কারন তারা গোসলতো করে কিন্তু গড়গড়াও করেনা নাকে পানিও দেয়না। নাকে পানি পেৌ৭ছানোর শিক্ষা শুধুই ইসলাম ধর্মে আছে। সেজন্য কাফের কখনো পাক হতে পারেনা।

 

হযরত আলী (রা) ফরমান আমি কখনো রাতের প্রথম অংশে গোসল ফরয কিরনি, সব সময় আমি রাতের শেষ অংশে জানাবাত হয়েছি। কারন যদি রাতের প্রথম অংশে গোসল ফরয হয় আর সারা রাত সে হালতেই কাটাতে হবে।

এখনতো আমাদের জন্য অনেকসহজ, এটাচ বাথ রুম আছে তবুও মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা নাপাক থাকে। অথচ সে যুগে আরব দেশে যেখানে তেলের চেয়ে পানি দামী, এখনও আরব দেশে তেল থেকে পানি দামী, অথচ তারা সমুদ্রের পানিকে ব্যবহারের উপযুক্ত করে নিয়েছে তবুও তাদের দেশে এখনও পানি খুব দামী। আর যখন কুয়া থেকে পানি নিয়ে মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মিটাতো তখন পানি কতটা মূল্যবান ছিল একবার চিন্তা করে দেখুন।

জনাবে আলী এ জন্য বলেন রাতের প্রথম অংশে এজন্য গোসল ফরয করিনি কেননা সারা রাত নাপাকির হালতে থাকতে হবে, সে জন্য আখেরী সময় জানাবাত হতাম যাতে আমি বেশিক্ষন নাপাক না থাকি, যদি নাপাকির হালতে মৃত্যু িএসে যায় তাহলে আল্লাহর সামনে কিভাবে দাঁড়াব? সে জন্য গোসলে জানাবাত ফরয হয়ে গেলে সাথে সাথে দেরী না করে গোসল করে নিন।

আসলে সাথে সাথে গোসল করে নেয়া ফরয বা ওয়াজিবনয়, ফজরের আযানের আগে পযন্ত অজু করে ঘুমিয়ে গেলেও তার অনুমতি আছে। কিন্তু মৃত্যুর তো কোন ভরসা নাই।

 

তাই সাথে সাথে গোসল করে নিবেন ভালো ভাবে করে নিবেন, আর এর বরকতও অনেক বেশী কেননা গোসলে জানাবাতের সময় শরীরের পানির প্রতিটি ফোটা থেকে ?ফেরেশতা সৃষ্টি করা হয়। আর সে ফেরেশতা কেয়ামত পযন্ত তার জন্য মাগফেরাতের দোয়া করে । যে জানাবাতের গোসল করেছে। আর গোসলে জানাবাতের পানিও নেকি হিসেবে মিজানে মাপা হবে।

আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেককে সহি শুদ্ধ ভাবে জানাবাতের গোসল করার তৌফিক দান করুন। দেরী না করে দ্রুত পাক পবিত্র হয়ে যাওয়ার মন মানসিকতা দান করুন আমিন।

 

1 টি মন্তব্য:

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.