হাতের জেনার (Hastamaithun) ভয়াবহ আযাব Bangla Islamic Video | Ja Al Haq

হাতের জেনা (হস্তমৈথুন) ভয়াবহ আযাব



মানুষ আমার এই কথাগুলি বা বিষয়বস্তু শুনে বলবে এসব কথা লজ্জাজনক, কিন্তু আমি আপনাদের লজ্জা দিতে আসিনি বরং ধ্রুব সত্য শেয়ার করতে এসেছি।মজবুর হয়ে এ বিষয়টি বলতে হচ্ছে। আজ আমাদের নওজোয়ান যে বদ আখলাকের মধ্যে গ্রেফতার, এটা যেনার চাইতেও মারাত্মক রূপ ধারন করেছে। আর তা হল নিজের হাতে নিজের উপর গোসলকে ফরয করা। আমি এর চেয়ে সহজ এবং এর চেয়ে নিরাপদ শব্দ এই গুনাহকে বুঝানোর জন্য খুঁজে পাচ্ছিনা।

আল্লাহর প্রিয় হাবিব (দ) এরশাদ করেন যে নিজের হাতে নিজের লজ্জাস্থান নিয়ে খেলে নিজের উপর নিজে গোসল ফরয করে নেয়, হুযুর (দ) ফরমান আল্লাহর সকল ফেরেশতা এবং আমি মুহাম্মদ এর তার উপর লানত। যারা জেনায় লিপ্ত হলে ধরা খাওয়ার ভয় করেন কিন্তু একাকি সময় এই জঘন্য কাজ করে তাদের কাছে আমি এই মেসেজটি দিতে চাই; হে আমার নওজোয়ান ভাই আপনি এমন কাজে গ্রেফতার হলেন যার উপর আল্লাহর রাসুল লানত করেছেন, আসমানের সকল ফেরেশতারা লানত করেছেন।

যারা এই কাজে লিপ্ত তাদের কাল কেয়ামতের দিন জেনাকারীদের চাইতেও কঠিন আযান দেয়া হবে। হুজুর (দ) ফরমান কেয়ামতের দিন কিছু লোক এমন হবেন যাদের হাত গর্ভবতী হবে। সাহাবাগন আরজ করবেন এয়া রাসুলাল্লাহ হাত কিভাবে গর্ভবতী হবে? তখন হুযুর (দ) ফরমান হ্যাঁ যে সব পুরুষ নিজের হাত দ্বারা নিজের উপর গোসল ফরয করেছে (হস্তমৈথুন) এর মাধ্যমে, কেয়ামতের দিন তারা এই অবস্থায় উঠবে যে তাদের হাত গর্ভবতী হবে।

আপনারা দেখবেন যারা এ জঘন্য কাজ করে তাদের চেহেরার সৌন্দয্য নষ্ট হয়ে যায়, চোখের আশে পাশে কালো দাগ লক্ষ্য করা যায়, চোখ ঢুকে যায়, জীবিত হয়েও সে মানুষকে মুর্দার মত দেখা যায়।

আর যারা এই কাজে অভ্যস্থ হয়ে যায় তাদের একটা সময় এমন আসে যে সে আর বিয়ে করার মত শক্তি রাখেনা। যখন মা বাবা বিয়ের প্লান করে তখন এদিকে মুখ লুকায় ঐদিকে মুখ লুকায়। নানা ধরনের বাহানা করে বিয়ে না করার জন্য।

আজ যারা আমার এই বয়ান শুনছেন যাদের এই অভ্যাস আছে যারা এই কাজ করে নিজের উপর হুজুর (দ) এবং ফেরেশতাদের লানত আবশ্যক করে নিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য আমি অনুরোধ করব আজই এখনই সত্যিকারের তওবা করে নিন।

এই তওবা মানুষকে নতুন জিন্দেগীর রাস্তায় দেখায়, এই তওবা করে হযরত ফুজায়েল ইবনে আয়াজকে তাজেদার বানিয়েছে। এই তওবাই বিশর হাফিকে বাগদাদের মদের আড্ডা খানা থেকে বের করে কাবার খাদেম বানিয়েছে আর ২ লাখ হাদিসের হাফিজ বানিয়েছেন। এই তওবা মানুষকে অনেক উঁচু স্তরে পৌঁছিয়ে দেয়। তাই আজ সত্যিকারের তওবা করে নাও কারন তওবা করলে নাজাত পাবে।

যখনই এ ধরনের গুনাহ করার চিন্তা মাথায় আসে তখন শুধু এতটুকু মনে রাখবেন যদিও দৃনিয়ার কেহ দেখছেনা কিন্তু আল্লাহ আমাকে দেখছেন। যদি এই কথা ভেবে সে গুনাহ ছাড়তে পারেন তাহলে জিন্দেগী কামিয়াব।

হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর বলেন আমি প্রায় ৭ বার এই ঘটনা হুজুর (দ) এর কাছে শুনেছি- হুযুর (দ) ফরমান- কিফল নামক বনি ইসরাইলের এক লোক ছিল যে গুনাহ করা তার অভ্যাস ছিল। যে এক অভাবী নারীকে জেনা করার জন্য নিয়ে আসল সে নারী ছিল সতী নারী সে যদিও টাকার জন্য কিফলের কাছে এসেছিল কিন্তু আল্লাহর ভয়ে সে নারী কাঁদতে লাগল, তখন কিফল সে নারীকে প্রশ্ন করল তুমি কাঁদছ কেন? সে জবাব দিল আমি কখনো এ কাজ করিনি, আজ অভাবের তাড়নায় একাজে এসেছি কিন্তু আমি কাল কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে কি জবাব দিব এই ভয়ে আমি কাঁদছি। এ কথা শুনে কিফল সেদিন সে নারীকে ছেড়ে দিল। আর সেদিন সে কিফল সত্যিকারের তওবা করে নিল আর সে রাতেই কিফলের মৃত্যু হয়ে গেল।

হে নওজোয়ান ভাযেরা যারা আজ কেহ দেখছেনা মনে করে গোপন কামড়ায় হাতের গুনাহ করছ আজেবাজে ছবি ও ফ্লিম দেখে চোখের গুনাহ করছ তাদের কাছে আজ আমি এই পয়গাম পৌঁছাতে চাই, আসুন আজই তওবা করে নিজেকে দুনিয়া ও আখেরাতের বেইজ্জতী থেকে রক্ষা করি, ফেরেশতা ও মহানবীর লানত থেকে হেফাজত করি। একবার চিন্তা করুন কাল কেয়ামতের মাঠে সারা দুনিয়ার সব মানুষের সামনে যখন তোমার হাত গভবতী হবে যখন তোমার আপনজনেরা তোমার এই হাত দেখবে তখন কি হবে? তাই সে দিনটি আসার আগেই তওবা করে নিন। আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয়ে আগামীতে এসব থেকে বেঁচে থাকার খাটি নিয়ত করে নিন। আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা সকলকে ক্ষমা করবেন।  

 

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.