ভাই বোনের সম্পর্কের ফজিলত, আত্মিয়তার সম্পর্কের গুরুত্ব ও ফজিলত
ভাই বোনের সাথে এসব কখনো করবেনা
ভাই বোনের সম্পর্কের ফজিলত, আত্মিয়তার সম্পর্কের
গুরুত্ব ও ফজিলত
সিলা রেহমি না
করা, ভায়ের সাথে বোনের সাথে ভালো আচরন না করার পরিণতি কি?
আমাদের সমাজে
মা বাবার সাথে কিছুটা ভালো আচরন করা হলেও, ভাই বোনের সাথে সদাচরন হয়না, আমরা বেশীর
ভাগ পরিবারে দেখি ভাই ভায়ের সাথে কথা বন্ধ, দেখা হলে কথা বলেনা, বোন শ্বশুড় বাড়ী থেকে
আসলে ভায়ের কপালে বিরক্তির চিহ্ন ভেসে উঠে, শালি আসলে তখন বড়ই মজা লাগে, বোন আসলে বড়ই
কষ্ট পায়।
শালি আসলে তখন
কিচেনের রান্না বান্নার ধরন দেখুন, আর বোন আসলে তখন কিচেনের ধরন দেখুন। আসমান ও জমিন
পার্থ্যক্য। আমি বিশেষ করে নারীদের বলব - নারীরা কেন পার্থ্যক্য করে? স্বামীর আত্মিয়স্বজন
আর নিজের আত্মিয়স্বজনের মধ্যে?
যদি আপনি আপনার
স্বামীকে তার আত্মিয় স্বজনের সাথে সদাচরন করতে বাঁধা দেন, তাহলে আপনি সে আত্মীয় স্বজনের
কোন ক্ষতি করছেন না, বরং আপনি আপনার স্বামীর ক্ষতি করছেন। স্বামীকে জাহান্নামী বানাচ্ছেন।
একজন স্ত্রীর কি এটাই কাজ? যে সে তার স্বামীকে জাহান্নামী বানাবে?
জাহান্নামীতো
আখেরাতে হবে কিন্তু নারীদের জেনে রাখা দরকার সে যদি তার স্বামীকে- স্বামীর ভাই বোন
থেকে দুরে সরিয়ে রাখে সম্পক রাখতে না দেয় সে স্বামীর রিজিকে বরকত চলে যাবে, হায়াত কমে
যাবে, যেমন বুখারী ও মুসলিম শরীফের মুত্তাফাক আলাইহ হাদীস 'যে ব্যক্তি এতে আনন্দিত হয় যে তার রিজিক প্রশস্ত হবে ও আয়ু বৃদ্ধি পাবে, যে
যেন আত্মীয়তা বজায় রাখে'
সে জন্য বুদ্ধিমান
নারীরা নিজের আত্মিয় আসলে যেমন খাতির দারি করে স্বামীর আত্মিয় আসলে তার চেয়ে বেশী খাতিরদারী
করবে কারন এর মাঝেই স্বামীর কামাই রুজিতে বরকত হবে রিজিকে বরকত হবে এবং হায়াতে বরকত
হবে।এবং তার সংসারে অফুরন্ত রহমত নাজিল হবে।
বোনের জন্য সাহাবাগণ
নিজের সুখ বিসর্জন দেয়ার অনেক উদাহারন আছে যেমন-
হজরত জাবের (রা.)-এর একটি ঘটনা খুবই স্মরণীয়।
রাসুল (সা.) তাকে বলেছেন, 'তুমি কুমারী নারী বিয়ে না করে তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে
করেছ কেন?' তিনি উত্তর দিলেন, 'আমার বাবা মারা গেছেন। আমার ছোট ছোট কয়েকজন বোন রয়েছে,
তাদের লালন-পালন ও শিক্ষা-দীক্ষার জন্যই আমি বয়স্ক নারী বিয়ে করেছি।' রাসুল (সা.) বললেন,
'আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন'- (বোখারি, মুসলিম)। এতে বোঝা যায়, বোনের জন্য প্রয়োজনে
নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই