সব মানুষের জীবনে ৩টি সমস্যা আসবেই আসবে! সমাধান কি?
সব মানুষের জীবনে ৩টি সমস্যা আসবেই আসবে! সমাধান কি?
মানুষ যে সব সমস্যার সম্মুখিন হয় তার ৩ ধরনের হয়ে থাকে,
প্রথম সমস্যাটি এমন হয় যার সমাধান
মানুষের হাতে থাকেনা, মানুষকে সে সমস্যা সমাধানের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, সময় হলে এই
সমস্যা অটোমেটিক সমাধান হয়ে যাবে।আপনি নিজে সমাধান করতে গিয়ে পেরেশানি ছাড়া আর কিছুই
হাসিল করতে পারবেন না। যতই সমাধান করার চেষ্টা করবেন ততই পেরেশান হবেন।
তার জন্য কি করতে হবে? অপেক্ষা
করতে হবে, সময় আসলেই তা সমাধান হয়ে যাবে। যেমন কারো বিয়ের সম্বন্ধ আসছেনা, নারী হউক
কিংবা পুরুষ, বিয়ের সম্বন্ধ আসছেনা। আসলেও সে যেমন চাচ্ছে তেমন আসছে না,
এখন সে কি করবে? খুব পেরেশান,
এদিক সেদিক দৌড়া দৌড়ি করে, নানান ধরনের আমেলদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে তাবিজের জন্য,
আমেলরা এই সুযুগে দুই চার পয়সা হাতিয়ে নেয়, কিন্তু সমাধান হয়না বরং পেরেশানি আরো বাড়ে।
এসব করবেন না, যদি আপনার জন্য
সম্বন্ধ না আসে তাহলে সঠিক পদ্ধতিতে সম্বন্ধ তালাশ করুন, আর অপেক্ষা করুন, যখন সময়
হবে আপনা আপনি এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এই সমস্যার সমাধান সময়মত আপনা আপনি হবেই
হবে। কোন তাবিজের দরকার নাই। সময় হওয়ার আগে আপনি যতই তাবিজ করুন এতে সমাধান হবেনা।
আল্লাহর উপর ভরসা করুন, আল্লাহ
যে সময়ে তা নির্ধারণ করে রেখেছেন সে সময়টি আসলে আপনাআপনিই হয়ে যাবে।
তেমনি ভাবে কারো চাকরী হচ্ছেনা,
পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন নাই, চেষ্টা করুন, বৈধ পন্থা অবলম্বন করুন, সময় আসলে আপনা আপনিই
সমাধান হয়ে যাবে।
২য় সমস্যা হল যার সমাধান আপনার
হাতে নাই, আর সে সমস্যার সমাধানের কোন নির্ধারিত সময়ও নাই, তাই সেটাকে এমনিই ছেড়ে দিতে
হয়, এসব ব্যপারে টেনশন করার প্রয়োজন নাই। ।
একজন মুফাক্কির খুব সুন্দর কথা
বলেছেন- যদি ঘরের ছাদ ভেঙ্গে পড়ে তখন ঘর থেকে দৌড়ে বাহিরে চলে যাও, আর যদি আকাশ ভেঙ্গে
পড়ে তখন পালাবে কোথায়? তাই যেখানে আছ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাক।
এর জন্য সহজ উদাহারন হল- আপনার
শরীরের রং কালো আপনি সাদা হওয়ার চেষ্টা করবেন না, কারন সাদা হওয়া সম্ভব নয়, তাই একটি
সময় আসলে আপনি সাদা হয়ে যাবেন কিংবা এই ক্রিম মাখলে সাদা হয়ে যাবেন এমন কোন পন্থা বা
পদ্ধতি নাই। এটা আসমান ভেঙ্গে পড়ার মত। সে জন্য কিছু সমস্যা এমন যার জন্য টেনশন নেয়া
উচিত নয় বরং যা আছে তাতে রাজি থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩য় সমস্যা হল- যার সমাধান আমাদের
হাতে। আর এই ধরনের সমস্যাই বেশী। এখন জানা দরকার এর সমাধানের তরিকা কি?
যেমন রোজি রোজগারের মাসায়ালা
- এর সমাধান আপনার হাতে, মেহনত বেশী করুন, চেষ্টা বেশী করুন, ডিউটি বাড়িয়ে দিন, দুনিয়ায়
এমন অনেক নজির আছে যারা মেহনত করেছেন তারা একসময় যার অধীন চাকরী করত সে মেহনতকারীর
মালিকের সন্তান মেহনতকারীর অধীনে চাকরী করে।
সে জন্য কারো রোজগার যদি কম হয়
সে যদি মেহনত বাড়িয়ে দেয় ইনশা আল্লাহ বরকত হবে, রোজগার বেড়ে যাবে।
একটি কথা সদা মনে রাখবেন বণিত
আছে (মান জাদ্দা ওয়া জাদা) যে চেষ্টা করেছে সে পেয়ে গেছে। সে জন্য চেষ্টা করা থেকে
কখনো পিছপা হবেনা। মেহনত থেকে কখনো পিছে হটবেন না। মেহনত করে যান ইনশা আল্লাহ আল্লাহ
মালদার বানিয়ে দিবেন।
যেমন একজন রেজাল্ট ভালো করতে
চাই সে যদি মেহনত করে দিনে ৫ ঘন্টার জায়গায় ৮ ঘন্টা মেহনত করে অবশ্যই অবশ্যই সে তার
কাংখিত রেজাল্ট পাবে।
কোন মন্তব্য নেই