নামাজি মেয়েদের হাদীসটি জানা থাকা খুব বেশী দরকার
নামাজি মেয়েদের হাদীসটি জানা থাকা খুব বেশী দরকার
যে সব মহিলারা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাহাজ্জুদও পড়েন, এমন মহিলাদের জন্য একটি হাদীস মনে রাখাটা খুবই জরুরী।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " ثَلاَثَةٌ لاَ تَرْتَفِعُ صَلاَتُهُمْ فَوْقَ رُءُوسِهِمْ شِبْرًا رَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ وَامْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَأَخَوَانِ مُتَصَارِمَانِ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ব্যাক্তির সালাত তাদের মাথার এক বিঘত উপরেও উঠে নাঃ যে ব্যাক্তি জনগণের অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও তাদের ইমামতি করে, যে নারী তার স্বামীর অসন্তুষ্টিসহ রাত যাপন করে এবং পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারী দু ভাই।
একটি মাসায়ালা বলে রাখা দরকার-
মুসল্লিদের অসন্তুষ্টিতে তাদের ইমামতি করা আলিমগণ মাকরূহ বলেছেন। কিন্তু ইমাম যদি যালিম বা অপরাধী না হন, সেই ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি তাকে অপছন্দ করবে তার উপরই গুনাহ বর্তাবে। এই বিষয়ে ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ অধিকাংশ মুসল্লি অপছন্দ না করা পর্যন্ত একজন বা দুইজন বা তিনজনের অপছন্দ করা ধর্তব্যে হবে না।
অপর হাদীসে এটাও আছে তিরমিযি ৩৫৮ নং হাদীস
عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَةً رَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ وَامْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَرَجُلٌ سَمِعَ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ ثُمَّ لَمْ يُجِبْ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন। তারা হলঃ যে ব্যক্তি মুক্তাদীদের অপছন্দ সত্ত্বেও তাদের ইমামতি করে; যে নারী স্বামীর বিরাগ নিয়ে রাত কাটায় এবং যে ব্যক্তি "হাইয়্যা আলাল ফালাহ' শুনেও তাতে সাড়া দেয় না (জামা'আতে উপস্থিত হয় না)।
অতএব প্রথম হাদীস থেকে বুঝায় যায় যে সব নারীর প্রতি স্বামী অসন্তুষ্ট অবস্থায় সে যে নামাজ পড়ে তা কবুল হয়না এবং ২য় হাদীসে দেখা যায় এমন নারীর প্রতি নবী করিম (দ) অভিশাপ দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই