আমরা কি প্রতিদিন শুকর খাচ্ছি?

 আমরা কি প্রতিদিন শুকর খাচ্ছি?



এক সময় যে সব প্রোডাক্টের গায়ে সরাসরি লিখা থাকত শুকরের চবি, শুকরের মাংস এখন আর সরাসরি লেখা থাকেনা মুসলমানরা যাতে বুঝতে না পারে তাই শুকরের চবি বা শুকরের মাংস না লিখে তারা বৈজ্ঞানিক নাম বা ই কোড লিখে দেয়, যেমন দেশে খুব প্রিয় কিছু খাদ্য প্রোডাক্ট

1 Cadbury chocolate - 2 Igloo Ice Cream -4 Foster Clark`s Custard Powder- Big Babol Chewing Gum

এসব খাদ্যের ব্যপারে বিষয়গুলি প্রকাশ হয়ে গেছে-

একজন মুসলিম টেকনিশিয়ান কাজ করতেন ফ্রান্সের পেগাল শহরে অবস্থিত ডিপার্ট্মেন্ট অফ ফুড অ্যাডমিনিশট্রেশন এর মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে বা ল্যবরেটরিতে। তিনি অনূসন্ধিৎষূ মন নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বের করেছেন বেশ ক’টি ই-কোড যার প্রত্যেকটিই শূকরের চর্বিকে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। একটি ওয়েব সাইটে Are we eating Pork? শিরোনামে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এক পাকিস্তানী বিজ্ঞানী ড: এম আমজাদ খান কর্তৃক প্রচারিত উক্ত তালিকায় শুকরের চর্বি থেকে প্রস্তুত E-Codes এর তালিকা প্রকাশ করেন সেগুলি হল

E100, E110, E120, E 140, E141, E153, E210, E213, E214, E216, E234, E252, E270, E280, E325, E326, E327, E334, E335, E336, E337, E422, E430, E431, E432, E433, E434, E435, E436, E440, E470, E471, E472, E473, E474, E475, E476, E477, E478, E481, E482, E483, E491, E492, E493, E494, E495, E542, E570, E572, E631, E635, E904. I

এ তালিকায় উল্লেখিত E-Codes গুলোর বেশ ক’টি আমাদের দেশে প্রাত্যহিক ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জনপ্রিয় খাদ্যতালিকায় উপস্থিত দেখতে পাওয়া যায়। তার দু‘একটা নমুণা দেখুন, যেমন; উল্লেখিত তালিকায় খাদ্য দ্রব্যের নামের পাশে তাতে ব্যবহৃত E-Codes ও তুলে দেয়া হলো:

1 Cadbury chocolate - এর ইকোড হল E476

2 Igloo Ice Cream এর ইকোড হল -E471,E433

3 Baskin Robbins Ice Cream এর ইকোড হল E471

4 Foster Clark`s Custard Powder-এর ইকোড হল E110

5 Fadeco Ice Cream-এর ইকোড হল E471

6 Nova Chewing Gum -এর ইকোড হল E422

7 Demah Fresh -এর ইকোড হল E422

বলা বাহুল্য, এ তালিকায় উল্লেখিত প্রায় সবকটিই আমাদের দেশসহ প্রায় সকল মুসলিম দেশে ছেলে বুড়ো`সহ সকলের কাছেই খুবই প্রিয়।

আল কুরআনে অন্তত চারটি জায়গায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শূকরের মাংস এবং মৃত জন্তু জানোয়ার আর সেইসব জানোয়ার যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নাম নিয়ে জবাই করা হয়েছে, মুসলমানদের জন্য হারাম করেছেন। তারই একটি আয়াত দেখুন:

তিনি তোমাদের উপরে হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত শূকর মাংশ এবং সেসব জীব জন্তু যা আল্লাহ ব্যতিত অপর কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং না-ফরমানী ও সীমালংঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নি:সন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু (সুরা আল বাক্বারা- ১৭৩)

এটা মোটমুটি অমুসলিম ব্যবসায়ীরা জানে, অন্তত তাদের সরকার ও জনগোষ্ঠির সচেতন অংশটি খুব ভালো করেই জানে, কিন্তু তারপরেও তারা ভিন্ন কৌশলে মুসলমানদেরকে আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় সেই হারাম বস্তু খাওয়াতে মনে হয় উঠে পড়ে লেগেছে। এর পেছনে কেবল যে তাদের আর্থিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থই আছে তাই নয় বরং এর পেছনে রয়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষজনিত এক আগ্রাসী মনোভাব, যার মিল রয়েছে একমাত্র ক্রসেডের সাথেই।

এই তথ্যগুলি আমি ডেইলি বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইন পত্রিকা থেকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম, কলামটি লিখেছেন

বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের প্রধান, প্রফেসর ডা: মোহাম্মদ নুরুল হক।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.