ফিলিস্তিনে ইহুদীরা ভয়ংকর গাছ কেন লাগাচ্ছে? দাজ্জালের আগমন, মালহামাতুল কুবরা কখন হবে? হযরত ঈসাকে চিনার উপায় কি?

 ইহুদীদের পরাজয় মুসলমানদের চুড়ান্ত বিজয়ের আর কতদিন বাকী?



ফিলিস্তিনে ইহুদীরা ভয়ংকর গাছ কেন লাগাচ্ছে? দাজ্জালের আগমন, মালহামাতুল কুবরা কখন হবে? ঈসাকে চিনার উপায় কি?

সম্মানিত সুধী ইহুদীরা ব্যপকভাবে ১টি গাছ রোপন করছে এর পিছনে কারন কি সে গাছের ব্যপারে আমাদের প্রিয় নবী ১৪শত বছর আগে কি ভবিষ্যৎবানী করেছেন, ইহুদীরা চুড়ান্তভাবে কখন ধ্বংস হবেন, মালহামাতুল কুবরা কখন হবে? দাজ্জাল কখন আসবে তাকে চিনার উপায় কি এবং হযরত ইসা (আ) কে চিনার চিহ্ন কি তা আজ হাদীস শরীফের আলোকে আপনাদের সামনে অতি সংক্ষেপে তুলে ধরব। আশা করি বিষয়গুলি আপনাদের পছন্দ হবে।

মালহামাতুল ওজমাতে মুসলমানদেরকে আল্লাহ তায়ালা চুড়ান্ত বিজয় দান করবেন।

আর এই মহাযুদ্ধ বা মালহামা কখন হবে? সে ব্যপারে অনেক হাদীস আছে সকল হাদিসের সারসংক্ষেপ হল এই যুদ্ধের আগে বায়তুল মুকাদ্দাস হবে উন্নত আর মদীনা শরীফের জন্য তা অমঙ্গল হবে। আর সে সময়টিতে মালহামা বা মহাযুদ্ধের সুচনা হবে, আর এ যুদ্ধে কুসতুনতুনিয়া বা কনস্টান্টিনোপল বিজয় হবে, আর তখন দাজ্জাল আসবে। এ বিষয়টি মেশকাতের ৫৪২৪ নং হাদীসে আছে যেমন
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عُمْرَانُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ خَرَابُ يَثْرِبَ وَخَرَابُ يَثْرِبَ خُرُوجُ الْمَلْحَمَةِ وَخُرُوجُ الْمَلْحَمَةِ فَتْحُ قُسْطَنْطِينِيَّةَ وَفَتْحُ قُسْطَنْطِينِيَّةَ خُرُوجُ الدَّجَّال» .
মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: বায়তুল মাকদিসের পার্থিব উন্নতি মদীনাহ্ ধ্বংস হওয়ার কারণ হবে। আর মদীনার ধ্বংস বিভিন্ন ফিতনাহ্ ও মহাযুদ্ধের সূচনা করবে এবং মহাযুদ্ধ কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পূর্ব সংকেত হবে, আর কনস্টান্টিনোপলের বিজয় হবে দাজ্জালের আবির্ভাবের পূর্ব সংকেত। (আবূ দাউদ)
আর এই মালহামা, কুসতুনতুনিয়া বিজয় ও দাজ্জালের আগমন ৭ মাসের ভিতরেই সংগঠিত হবে যেমন আবু দাউদ শরীফের ৪২৪৯ নং হাদীস
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْمَلْحَمَةُ الْكُبْرَى وَفَتْحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَخُرُوجُ الدَّجَّالِ فِي سَبْعَةِ أَشْهُرٍ ‏"‏ ‏.‏
মুআয ইব্ন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভয়াবহ ফিতনা, কুস্তুন্তুনিয়া বিজয় এবং দাজ্জাল বের হওয়া-সাত মাসের মধ্যে ঘটবে।
আবার অপর হাদীসে কুসতুনতুনিয়া বিজয়ের ৭ম বছরে দাজ্জাল বের হওয়ার কথা বণিত আছে।


সে সময় এক একটি ইহুদীকে খুঁজে খুঁজে মারা হবে। মুসলিম শরিফের ৭০৭১ নং হাদীস
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَتُقَاتِلُنَّ الْيَهُودَ فَلَتَقْتُلُنَّهُمْ حَتَّى يَقُولَ الْحَجَرُ يَا مُسْلِمُ هَذَا يَهُودِيٌّ فَتَعَالَ فَاقْتُلْهُ ‏"‏ ‏.‏
ইবনু উমার (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামথেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ অবশ্যই তোমরা ইয়াহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে এবং তোমরা তাদেরকে হত্যা করবে, এমনও হবে যে, পাথর বলবে, হে মুসলিম! এ-ই তো ইয়াহুদী। তুমি তাকে হত্যা কর।
কোন পাথর কোন গাছ ইহুদীদের পক্ষে থাকবে না তবে ১টি গাছ ইহুদীদের সাহারা দিবে যেমন মুসলিম শরীফের ৭০৭৫ নং হাদিস
‏.‏ إِلاَّ الْغَرْقَدَ فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرِ الْيَهُودِ ‏"‏ ‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তখন পাথর বা গাছ বলবে, হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা! এই তো ইয়াহুদী আমার পশ্চাতে। এসো, তাকে হত্যা কর। কিন্তু 'গারকাদ' গাছ এ কথা বলবে না। কারণ এ হচ্ছে ইয়াহুদীদের গাছ।

ইয়াহুদিরা বাচতে ফিলিস্তিন ও আশ পাশের বড় এলাকা জুড়ে গারকাদ বৃক্ষ রোপণ করছে। কারন তারা হাদিস কুরান নিয়ে অনেক গবেশনা করে। তারা জানে এটা তাদের আশ্রয় স্থল
ইয়াহুদিরা এই বৃক্ষের ভিতর লুকাবে
ইহুদীদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ জড় পদার্থগুলোকেও বাকশক্তি দান করবেন। তারাও ইহুদীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। ইসরাইল যখন গোলান পর্বতমালায় দখল প্রতিষ্ঠা করেছে, তখন থেকেই তারা ওখানে ‘গারকাদ’ বৃক্ষ লাগাতে শুরু করেছে। এছাড়াও তারা স্থানে স্থানে এই গাছটি রোপণ করছে।

এই হাদিসের ভবিষ্যত বানী ও ইহুদীদের গারকাদ বৃক্ষ রোপন থেকে প্রতিয়মান হয় যে, অভিশপ্ত ইহুদী জাতীর পতন অতিনিকটে
ফিলিস্তিন আশ পাশের বড় এলাকা জুড়ে গারকাদ বৃক্ষ রোপণ/ বায়তুল মুকাদ্দেস দখল কেয়ামতের আর একটি বড় আলামত আর এই আলামতগুলি বলে দেয় সামনে ইমাম মাহদি ও হযরত ঈসার যুগ আসতেছে আসছে মুসলমানদের চুড়ান্ত বিজয়।

তাছাড়া তখন মহা ফিতনাবাজ দাজ্জালও আসবে তাই
মহানবী (দ) দাজ্জালের দেখা হলে কি করনীয় তাও বলে দিয়েছেন

আবু দাউদের ৪২৭০ নং হাদীস
হুজুর (দ) এরশাদ করেন- তোমরা যারা দাজ্জালের দেখা পাবে, তার উচিত হবে, তার সামনে সূরা কাহাফের প্রথম দিকের আয়াতগুলি পাঠ করা। কেননা, তা পাঠ করলে, তোমরা তার ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।

আমরা সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করিঃ সে পৃথিবীতে কত দিন থাকবে? তিনি বলেনঃ চল্লিশ দিন। যার একদিন হবে এক বছরের সমান, আরেক দিন হবে, এক মাসের সমান, অপর দিন হবে এক সপ্তাহের সমান। আর বাকী দিনগুলো হবে তোমাদের বর্তমান দিনের সমান। তখন আমরা জিজ্ঞাসা করিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সে দিনটি এক বছরের সমান হবে, সেদিন আমরা এক দিন ও রাতে যত ওয়াক্ত সালাত আদায় করি, সেরূপ সালাত আদায় করলে যথেষ্ট হবে কি? তিনি বলেনঃ না। বরং তোমরা ঐ দিনের মধ্য হতে, তোমাদের জন্য নির্ধারিত সময় নিরূপণ করে নেবে, (এবং সে হিসাবে সালাত আদায় করবে)। এরপর ঈসা ইব্ন মারয়াম (আঃ) দামিশক শহরের পূর্বে দিকে অবস্থিত সাদা-মিনারের নিকটবর্তী স্থানে অবতরণ করবেন। তিনি তাকে ‘লুদ’ নামক স্থানে পাবেন এবং সেখানে দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
আর হযরত ঈসা (আ) আসলে তাঁকে চেনার বেশ কিছু চিহ্ন হুজুর (দ) বয়ান করেছেন যেমন আবু দাউদ শরীফের ৪২৭৩ নং হাদীস
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা এবং ঈসা (আঃ)-এর মাঝে কোন নবী আসবে না। অবশ্য তিনি (আসমান থেকে) অবতরণ করবেন। তোমরা যখন তাঁকে দেখবে, তখন তাঁকে এভাবে চিনবে যে, ‘তিনি হবেন মধ্যম আকৃতির, তাঁর দেহের রং হবে লাল-সাদা মিশ্রিত, তাঁর পরিধানের কাপড় হবে হালকা হলুদ রং বিশিষ্ট দু’খানি চাদর এবং তাঁর মাথায় চুল ভিজে না থাকা সত্ত্বেও সেখান থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি ঝরতে থাকবে। তিই ইসলামের জন্য লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন, ক্রুশ ভেঙে ফেলবেন, শূকর নিধন করবেন এবং জিযিয়া কর রহিত করবেন। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর সময়ে ইসলাম ব্যতীত আর সব মতবাদকে ধ্বংস করে দেবেন। তিনি-ই দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এরপর তিনি পৃথিবীতে চল্লিশ বছর জীবিত থাকার পর ইনতিকাল করবেন এবং মুসলিমরা তাঁর জানাযার সালাত আদায় করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.