এটাচ বাথরুম থেকে ঘরে জ্বিন ঢুকে?
এটাচ বাথরুম থেকে ঘরে জ্বিন ঢুকে?
এক সময় বাথরুম
ছিল ঘরের বাহিরে, তারও আগে মানুষ অনেক দুরে গিয়ে খোলা জায়গায় হাজত সারত, কিন্তু বর্তমান
আধুনিক যুগে ঘরেই এটাচ বাথরুম থাকে, এখন একজন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করেছেন, যদি ঘরে বাথরুম
থাকে আর যেহেতু বাথরুমে জ্বিন থাকে তাই বাথরুমের দরজা সদা সবদা বন্ধ করে রাখা কি জরুরী,
যদি বন্ধ করা না থাকে তাহলে জ্বিন বাথরুম থেকে ঘরে ঢুকে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্নকারীর জবাবে
বলতে হয় জ্বিন এমন একটি প্রাণী যা ছোট ১টি ছিদ্র দিয়েও ঘরে প্রবেশ করতে পারে, আপনি
যতই বাথরুমের দরজা বন্ধ করে রাখুননা কেন সে যদি আপনার বেড রুমে আসতে চাই তাহলে অনায়াসেই
আসতে পারবে।
তবে বাথরুম যেহেতু
ময়লা জায়গা হয় সে জন্য নবী করিম (দ) বাথরুমে যাওয়ার সময় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবছি ওয়াল খাবায়েছ অর্থ্যাৎ হে আল্লাহ আমি নারি
জ্বিন ও পুরুষ জ্বিন থেকে আশ্রয় প্রাথনা করছি।
এই দোয়া পাঠ করে বাথরুমে প্রবেশের হকুম দিয়েছেন। এর উপকারিতা হল আমাদের ও সে সব জিনদের
মাঝে এক পর্দা এসে যায়, ফলে সে শয়তান জ্বিন আমাদের সতর আর দেখতে পায়না এবং সে জ্বিন
আর ক্ষতিও করতে পারেনা।
সে যুগে জিন্নাত
খুব বেশী ছিল কারন তখন তেমন বাতির আলো ছিলনা, রাতের অন্ধকার হত, ফলে জিন্নাতের উপদ্রব
বেশী ছিল, এখন যেহেতু আলো বেশী, আর আলো থাকলে সেখান থেকে জ্বিন পালিয়ে যায়। তাই ঘরে
বাতি জ্বললে সেখানে জ্বিন থাকেনা, যেহেতু বাথরুমে প্রবেশের দোয়া পড়াটা সুন্নত সে জন্য
আমাদেরকে সদা বাথরুমে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে দোয়াটি পড়তে হবে।
সুতরাং ঘরের বাথরুমের
দরজা খোলা রাখলে জ্বিন বেড রুমে চলে আসবে মনে করার কোন কারন নাই, যদি জ্বিন আসতে চাই
তাহলে সে দরজা বন্ধ রাখলেও যে কোন ভাবে আসতে পারবে।তবে আল্লাহ তায়ালা সকল জ্বিন ও শয়তানকে
এমন সামথ দান করেন না যে সে যে কোন লোকের কাছে চলে আসবে। তাই এ ব্যপারে সম্পূণ টেনশনমুক্ত
থাকবেন। আর এটাচ বাথরুম এর দরজা খোলা রাখলে সেখান থেকে জ্বিন ঘরে প্রবেশে করবে এমন
ধারনা করবেননা। তবে বাথরুম যেহেতু ময়লা স্থান তাই তার দরজা বন্ধ রাখাই উত্তম।
আর বাহির থেকে ঘরে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ পড়ে ঘরে ঢুকবেন, রাতে ঘুমানের সময় মাসনুন দোয়াসমুহ পড়ে ঘুমাবেন, বিশেষ করে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন। আর ঘরে জ্বিনের ভয় লাগলে বড় আওয়াজে সুরা বাকারার শেষ ২টি আয়াত পাঠ করবেন। তাহলে জ্বিন থাকলেও পালিয়ে যাবে।
#ইসলামীকপ্রশ্নোত্তর #মাসায়ালা #এটাচবাথরুম
কোন মন্তব্য নেই