বিয়ের কনের মাথায় কুরআন ধরে রাখলে কি হয়?
বিয়ের কনের মাথায় কুরআন ধরে রাখলে কি হয়?
আমাদের দেশে বিয়ের সময় দেখা যায় কনেকে যখন বিদায় দেয়া হয় তখন কনের মাথার উপর ১টি কুরআন ধরে রাখা হয়,
এ বিষয়টি কি ইসলামী শরীয়তের বিধান কিনা? এটা করা সুন্নত কিনা এক ভাই জানতে চেয়েছেন।
মনে রাখবেন যদি কোন আমল কুরআন ও সুন্নতে থাকে তবেই সে আমল করার মধ্যে সাওয়াব ও ফজিলত নিহীত রয়েছে। পবিত্র কুরআন অবশ্যই আমাদের মাথার তাজ, চোখের মনি, জীবন বিধান, এই কুরআনের যে বিধি বিধান তা বাস্তব ক্ষেত্রে এপ্লাই করাতে অবশ্যই দুনিয়া আখেরাতে ফজিলত আছে, কিন্তু কনে বিদায় দেয়ার সময় অনেক জায়গায় মাথার উপর কুরআন ধরে রাখার রেওয়াজ আছে,
এটার দ্বারা কি কনের কোন উপকার হবে কিনা? তা জানার আগে মুসলমানদের বিয়েতে যে সব মারাত্মক হিন্দুয়ানি প্রথা প্রচলিত আছে তা জানা দরকার- যেমন
বাঁশের কুলায় চন্দন, মেহদি, হলুদ, কিছু ধান-দূর্বা ঘাস কিছু কলা, মাটির চাটি নেওয়া হয়। মাটির চাটিতে তেল নিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। স্ত্রী ও বরের কপালে তিনবার হলুদ লাগানো, এমনকি মূর্তিপূজার ন্যায় কুলাতে রাখা আগুন জ্বালানো চাটি বর- কনের মুখের সামনে ধরা হয় ও আগুনের ধুঁয়া ও কুলা হেলিয়ে- দুলিয়ে বাতাস দেওয়া হয় সাথে সাথে কিছু গান ও গাওয়া হয়, যাকে আমাদের চট্টগ্রামের ভাষায় "সোহাগ কাটা" বলা হয় এসব হচ্ছে হিন্দুয়ানী প্রথা ও অনৈসলামিক কাজ।
বর ও কনেকে হলুদ বা গোসল করতে নিয়ে যাওয়ার সময় মাথার উপর বড় চাদর এর চার কোনা চার জনের ধরা হিন্দুয়ানী প্রথা।
এ ধরনের অনেক প্রথাই আমাদের মুসলিম সমাজের বিয়ে সমুহে প্রচলিত আছে তবে কুরআন শরীফ ধরাটা হিন্দুয়ানি প্রথা যদিও নয় তবে এটা ইসলামী প্রথাও নয়।
শুধু মাথার উপর কুরআন ধরে রাখার ব্যপারে ইসলামী শরীয়তের কোন বিধান বা রীতিনিতী পাওয়া যায়না, তাই এটা করাতে কোন ফজিলত হাছিল হবেনা, তবে এটা করা না জায়েজ তা আমি বলবনা।
তবে কুরআন মাথায় করে বিদায় দিলে সে শাশুড় বাড়ীতে অনেক সুখে থাকবে, তার সাংসারিক জীবন সুন্দর হবে, এমন ভাবাও উচিত নয়। সাংসারিক জীবন সুন্দর হওয়ার জন্য রছম রেওয়াজে কাজ হবেনা বরং সন্তানকে সুন্দর আদব আখলাক শিখাতে হবে, সারা জীবন কুরআন এর শিক্ষায় সন্তানকে যদি শিক্ষীত করেন আর সে শিক্ষা নিয়ে যদি আপনার মেয়ে শশুড় বাড়ীতে যায়, স্বামীর হক, শাশুর বাড়ীর লোকদের হক জেনে বুঝে সে মোতাবেক আমল করতে পারে তাহলে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ অবশ্যই সুখের হবে।
তাই মা বাবার উচিত মেয়েকে বিয়ের আগে দ্বীন শিখানো, আদব আখলাক শিখানো। আর সে শিক্ষাই তার জীবনে কাজে আসবে, বিদায়ের সময় শুধু কুরআন মাথার উপর ধরলেই মেয়ে আজীবন সুখী হয়ে যাবে এমন ভাবাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
#islamic #jaalhaq #ইসলামীকপ্রশ্নোত্তর #মাসায়ালা
কোন মন্তব্য নেই