পাগলের কুরআন তেলাওয়াত ভিক্ষুকের কোরআন তেলাওয়াত নিয়ে মিডিয়ায় জঘন্য অপরাধ
ইদানিং স্যোশেল মিডিয়াল কুরআন তেলাওয়াতের কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, পাগল নাকি আন্তর্জাতিক হাফেজ / পাগলের তেলাওয়াত শুনে নেট দুনিয়া তোলপাড় এমন টাইটেল দুঃখজনক।
তার মধ্যে একটি পাগলের তেলাওয়াত এবং একটি ভিক্ষুকের তেলাওয়াত। ইউটিউবাররা টাইটেল দিয়েছেন কাবার ইমামের তেলাওয়াত। পাগলের তেলাওয়াত সুন্দর তাতে সন্দেহ নাই, তবে সে যখন তেলাওয়াত করছে তখন পাশের লোক গুলি সে তেলাওয়াত শুনাটা জরুরী, কিন্তু তারা তা শুনছেনা বরং তাকে চা অফার করছে, তার তেলাওয়াতের মাঝে বাঁধা সৃষ্টি করছে, যা সম্পূণ আল্লাহর হকুমের পরিপন্থি, কারন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে সুরা আরাফের ২০৪ নং আয়াতে এরশাদ করেছেন
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। [সুরা আরাফ - ৭:২০৪]
যদি কখনো কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকের উচিত মনযোগ দিয়ে শ্রবণ করা কথা না বলা যাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয়।
পাগল যেহেতু মুকাল্লাফ বিশ শরাহ নয় তাই সে যখন তেলাওয়াত করছে তাতে যদি ভুল তেলাওয়াতও করে তার দোষ নাই, তবে যারা সে ভুল তেলাওয়াতকে প্রচার করছে সেটাই দোষ। কারন আপনি দেখবেন সে আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াতে - লাহু মা ফিস সামাওয়াতে ওয়াল আরদ তেলাওয়াত করেছে, সেটা হবে লাহু মা ফিস সামাওয়াতে ওয়ামা ফিল আরদ।
তাছাড়া এই কুরআন তেলাওয়াতের আদব কায়দা আছে, এটা যেন তেন কিতাব নয় যে যেন তেন ভাবে যত্রতত্র পাঠ করা হবে। এখন যারা পাগল ভিক্ষুকের তেলাওয়াত সমুহকে তেলাওয়াত তো নয় যেন আন্তজাতিক ক্বারী এমন টাইটেল দিয়ে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করছেন তারা কি আদৌ কুরআনের শান প্রচার করছেন নাকি কুরআনকে নিয়ে তামাশা করছেন?
তাছাড়া এই কুরআন তামাশার জন্য ভিক্ষাবৃত্তির জন্য নাজিল হয়নি, যে সব ভিক্ষুক পথের ধারে দাঁড়িয়ে কুরআন তেলাওয়াত করে করে ভিক্ষা পেশা করছেন তারাও মুলত কুরআনের অবমাননাই করছেন। পথের ধারের ভিক্ষুকের তেলাওয়াত ভিডিও করে, পাগলের ভুলভাল তেলাওয়াতকে রেকড করে থামনেইলে লিখা যে এটাতো মনে হয় কাবার ইমামের তেলাওয়াত, এটাতো মনে হয় বিশ্বসেরা ক্বারীর তেলাওয়াত। এই কাজ যারা করছেন তারা আদৌ কুরআনকে সম্মান করেছেন বলে কি আপনি মনে করেন? এটা কুরআনের হক নয় বরং এসব হল কুরআনকে অবমাননা করা, আল্লাহর কালামকে অবজ্ঞা করার শামিল। তাই মুসলমানদের কুরআনের শান জানতে হবে, এর আদব কায়দা বুঝতে হবে। কুরআন পড়তে হবে, কুরআনকে সম্মান করতে হবে, এবং কুরআন এর বিধানকে নিজের প্রতিটি কাজে বাস্তবায়ন করতে হবে তবেই কুরআনের মূল্যায়ণ হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন
কোন মন্তব্য নেই