৮ ধরনের লোকের দিকে আল্লাহ ফিরেও তাকাবেন না,
৮ ধরনের লোকের দিকে আল্লাহ ফিরেও তাকাবেন না,
১টি হাদীসে আছে-
ثَلاَثَةٌ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلاَ يُزَكِّيهِمْ، وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোকের প্রতি আল্লাহ তা’আলা দৃষ্টিপাত করবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
رَجُلٌ كَانَ لَهُ فَضْلُ مَاءٍ بِالطَّرِيقِ، فَمَنَعَهُ مِنِ ابْنِ السَّبِيلِ،
এক ব্যাক্তি- যার নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি আছে, অথচ সে মুসাফিরকে তা দিতে অস্বীকার করে।
وَرَجُلٌ بَايَعَ إِمَامًا لاَ يُبَايِعُهُ إِلاَّ لِدُنْيَا، فَإِنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا رَضِيَ، وَإِنْ لَمْ يُعْطِهِ مِنْهَا سَخِطَ،
অন্য একজন ব্যাক্তি, যে ইমাম/নেতার হাতে একমাত্র দুনিয়ার স্বার্থে বায়আত হয়। যদি ইমাম/নেতা তাকে কিছু দুনিয়ারী সুযোগ দেন, তা হলে সে খুশী হয়। আর যদি না দেন তবে সে অসন্তুষ্ট হয়।
وَرَجُلٌ أَقَامَ سِلْعَتَهُ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَقَالَ وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ لَقَدْ أَعْطَيْتُ بِهَا كَذَا وَكَذَا، فَصَدَّقَهُ رَجُلٌ"
অন্য একজন সে ব্যাক্তি, যে আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের পর তার জিনিসপত্র (বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে) তুলে ধরে আর বলে যে, আল্লাহর কসম, (মিথ্যা কসম খায় আর বলে) যিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবূদ নেই, আমার এই দ্রব্যের মূল্য এতো এতো দিতে আগ্রহ করা হয়েছে। (কিন্তু আমি বিক্রি করিনি) এতে এক ব্যাক্তি তাকে বিশ্বাস করে (তা ক্রয় করে নেয়)।
তেমনি ভাবে মুসলিম শরীফের ১৯৫ নং হাদীস
তিন ব্যাক্তির সাথে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ কথা বলবেন না। তাদের প্রতি তাকাবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না, আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
এরা হচ্ছে- (১) যে ব্যাক্তি টাখনুর নিচে ঝূলিয়ে কাপড় পরে,
(২) সে ব্যাক্তি দান করে খোটা দেয় এবং
(৩) যে ব্যাক্তি মিথ্যা শপথের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে।
তেমনি ভাবে মুসলিম শরীফের ১৯৭ নং হাদীস
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যাক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়াআলা কথা বলবেন না, তাদের (গুনাহ থেকে) পবিত্র করবেন না। রাবী আবূ মূআবিয়া বলেন, তাদের প্রতি তাকাবেনও না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। (এরা হল)
(১) যিনাকারী বৃদ্ধ,
(২) মিথ্যাবাদী বাদশাহ ও
(৩) অহংকারী দরিদ্র ব্যাক্তি।
সুতরাং ৩টি হাদীসে মোট ৮ প্রকারের লোক পাওয়া গেল যাদের জন্য কেয়ামতের দিন দুগতি ছাড়া আর কিচুই নাই, তারা হলেন (১) মুসাফিরকে যে পানি দেয়না (২) যে ইমাম বা দলনেতার সাথে দুনিয়াবী স্বার্থের জন্য বিদ্রোহ করে (৩) মিথ্যা কসম করে পন্য বিক্রী করে (৪) টাখনুর নিচে অহংকার বশত কাপড় ঝুলিয়ে রাখে (৫) দান করে খোটা দেয় (৬) বৃদ্ধ অবস্থায় যিনা করা (৭) বাদশা হয়ে মিথ্যা বলে (৮) দরিদ্র হয়ে অহংকার করে।
কোন মন্তব্য নেই