স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখার উপায় ও ওজিফা
স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখার উপায় ও ওজিফা
স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া এটা নতুন
কিছু নয়, তবে বর্তমানে এই বিষয়টি মারাত্মক রূপ ধারন করেছে, সমাজে তালাকের পরিমান বৃদ্ধি
পাচ্ছে, সামান্য কারনে স্বামী স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে দেয়। মুহুর্তের মধ্যে
সুখের সংসার ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। এক মুহুর্তের একটি ভুলের কারনে সারা জিন্দেগী ভর
কান্নার কারন হয়ে যায়। সন্তান থাকলে তারা বেছাহারা হয়ে যায়।
তাই স্বামী স্ত্রীকে অবশ্যই এসব
ওজিফা করতে হবে। যাতে ঘরটা একটি জান্নাতের টুকরায় পরিণত হয়।
সুরা নসরের ওজিফাটি বলব তার আগে
সে ওজিফাটিতে কামিয়াব হওয়ার জন্য কিছু বিষয় স্ত্রীকে পালন করতে হবে।
মনে রাখবেন ৫টি বিষয় স্বামী স্ত্রীর
সম্পক দুর্বল করে দেয়
১. খারাপ ব্যবহার
২. অবহেলা করা
৩. মিথ্যে কথা বলা
৪. ওয়াদা ভঙ্গ করা
৫. যোগাযোগ এড়ানো
এ ৫টি বিষাক্ত কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
আর ৬টি বিষয় স্বামী স্ত্রীর সম্পককে শক্তিশালী করে
*ভাল আচরন
*সহায়তা
*বিশ্বাস
*সম্মান
*আনন্দ দান
*ভুল ক্ষমা করা
বেশীরভাগ নারীর অভিযোগ আমার স্বামী পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে
যাচ্ছে, এর কারন একটিই সামনে আসে, তা হল স্ত্রীরা স্বামীর জন্য সাজগোজ করেনা, কোন
অনুষ্ঠানে গেলে তখন সাজগোজ করে কিন্তু একান্ত স্বামীর জন্য আমাদের দেশের নারীরা
সাজগোজ করেনা। অথচ স্ত্রীদের সাজগোজ করা উচিত একমাত্র স্বামীর জন্য।
যখন আপনার স্বামী কাজ শেষে ঘরে আসে - তাকে হাসিমুখে অভিবাদন করুন এবং তার দিনের খোঁজ-খবর নিন।
কল্পনা করুন স্বামী সারাদিনের পরিশ্রমের পর ঘরে এসে দেখলো পরিচ্ছন্ন ঘর, তার রাতের খাবার পরিবেশিত হচ্ছে ভালবাসা মিশ্রিত সুন্দর করে কাপড় পরে থাকা তার স্ত্রী, সন্তানদের সুন্দর হাসি - পরিপাটি জামা কাপড়, গোছানো শোবার ঘর... এ সকল বিষয় আপনার প্রতি তার ভালবাসা কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে?
আপনার স্বামীর সাথে কৌতুক করুন - সুযোগ থাকলে অবসরে ইনডোর গেইম খেলতে পারেন।
পুরুষের একটি গোপন কথা: তারা এমন নারী খোজে যে হালকা মনের এবং কৌতুকরসবোধ এর অধিকারী। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) সাহাবা জাবির কে বলেছেন এমন নারীকে বিয়ে করার জন্য যে তাকে হাসিখুশি রাখতে পারবে এবং যাকে সে হাসিখুশি রাখতে পারবে।
ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পুনরাবৃত্তি করুন - যখন আপনার স্বামী আপনার কিংবা সংসারের জন্য ভাল কোন কাজ করে। প্রতিবার বারবার তাকে ধন্যবাদ জানান। এটি একটি খুবই গুরুত্বপুর্ন
কৌশল, স্বভাবতই মানুষ কোন একটি কাজের বিনিময়ে সুবিদাভোগীদের
কাছে নুন্যতম ধন্যবাদ টুকু আশা করে।
যেকোন প্রকার তর্ক-ই ঘরে আগুন দেয়ার সমতুল্য। তাই যথাসম্ভব তক বিতক এড়িয়ে চলুন।
সর্বদা স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখার উপায় অন্নেষন করুন
স্বামীকে সম্মান করা বাধ্যতামুলক।
আপনার স্বামী সংসারের প্রধান ব্যক্তি। তাকে তার প্রাপ্প অধিকার এবং সম্মান দিন।
স্বামীর কল্যাণ কামনা করুন, তাঁর জন্য তাঁর উন্নতির জন্য সংসারের
জন্য, সুখ শান্তির জন্য সদা আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। স্বামীর কাজে সাহায্য করুন,
হালাল কাজে উৎসাহ দিন, হারাম থেকে বেঁচে থাকতে যথাথ ভুমিকা রাখুন, কারন যে ঘরে
হারাম কামাই ঢুকে সে ঘর থেকে সুখ শান্তি পালিয়ে যায়।
মনে রাখবেন পৃথিবীতে কারো মৃতুতে ৩ দিনের অধিক শোক পালনের বিধান
নাই শুধু স্বামীর মৃত্যুতে স্ত্রীকে ৪ মাস ১০ দিন শোক পালন করতে হয়, এতেই বোঝা যায়
স্বামী স্ত্রী বন্ধনটা কত বেশী দামী। তাই এত দামী সম্পকটাকে সম্মান দিতে শিখুন, সব
সময় সব জায়গায় সবার চেয়ে স্বামীকে প্রাধান্য দিন।
এসব কিছু করার পর আপনার যে কোন ওজিফা দোয়া কাজ আসবে। একটি উদু
চ্যানেলে দেখলাম সুরা নসরের আয়াত ১২৬ বার পড়ে স্বামীর শাটে ফুঁক দাও তাহলে স্বামী
আপনার কথা শুনবে, আপনার কাবু হয়ে যাবে। আপনার সব কথা শুনবে। এমনতর ওজিফা আসলেই
হাস্যকর। তবে আপনার ওজিফা কাজ হতে পারে তখন যখন আপনি *ভাল আচরন করবেন, * স্বামীকে সহায়তা করবেন, *বিশ্বাস করবেন, *সম্মান করবেন, *আনন্দ দান করার উপায় খুঁজবেন *ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
কোন মন্তব্য নেই