এভাবে কখনো এসতেগফার করবেন না এভাবে তওবা হয়না।

 এসতেগফার কারী খবরদার

এভাবে কখনো এসতেগফার করবেন না এভাবে তওবা হয়না।



তওবা করার সময় ৫টি জিনিষ মনে রাখতে হবে

নাম্বার -১: আমি রবকে রাজি করার জন্য তওবা করছি

নাম্বার -২: কাউকে দেখানোর নিয়তে নয় বরং আল্লাহর জন্য তওবা করুন

নাম্বার-৩ :গুনাহ শিকার করুন, এমনটি বলবেন না যে আল্লাহ ভুল হয়ে গেলে ক্ষমা করুন। বরং বলুন আল্লাহ আমি শিকার করছি আমি গুনাহ করেছি এই গুনাহ আমার দ্বারা সংগঠিত হয়েছে জেনে শুনে করেছি কিংবা না জেনে করে ফেলেছি। এভাবে গুনাহের কথা শিকার করে নিন। এরপর লজ্জিত হউন। (আন্নাদামু আততাওবা) লজ্জীত হওয়াই হল তওবা। লজ্জিত না হলে সেটা তওবা হয়না।

নাম্বার-৪: এভাবে মনে প্রাণে বলুন হে আল্লাহ আজ আপনার বারেগাহে এসে গেছি পুনরায় এ গুনাহের কাছেও যাব না। চোর হলে চুরি ছেড়ে দিন। ধোকাবাজ হলে ধোকাবাজি ছেড়ে দিন। ওয়াদা খেলাফি জেনে শুনে যদি করেন তা ছেড়ে দিন। যেনাকারী হলে তা ছেড়ে দিন। গালি দিলে গালি দেয়া ছেড়ে দিন।

গুনাহ যদি না ছাড়েন, গুনাহও চালু রাখেন, তওবা এসতেগফারও করতে থাকেন হযরত ফুযায়েল ইবনু আয়াজ বলেন মিথ্যুক লোক যারা তওবা করে তাদের চিহ্ন হল তারা গুনাহ ছাড়ে না কিন্তু মুখে শুধু তওবা তওবা করে।দোকানে বসে বসে হাতে তসবিহ নিয়ে পড়ে আসতাগফিরুল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ আর কোন কাস্টমার আসলে মিথ্যা বলে মাল বিক্রী করে। হাতে তসবিহ আছে কিন্তু মানুষকে ধোকা দেয়া থেকে পিছপা হয়না। একে তওবা বলে না।এগুলি মিথ্যুকদের তওবা।

নাম্বার-৫: আজমে মুছাম্মাম করে উঠুন। হে আল্লাহ আমি তোমার দরবারে এসেগিছি। আমার আর ২য় কোন রাস্তা নাই। আল্লাহ শুধু তোমার কাছেই এসে গেছি তুমি ছাড়া আর কেহ মাফকারী নাই। আমি কঠিন শপথ করছি জিন্দেগিতে আমি এই গুনাহ আর করবনা।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.