তাকবীরে তাশরীক কি? তাকবীরে তাশরীকের নিয়ম সময় ও তারিখ
তাকবীরে তাশরীক কি? তাকবীরে তাশরীকের নিয়ম সময় ও তারিখ
প্রঃ তকবীরে তাশরীক কি জিনিষ?
প্রঃ তকবীরে তাশরীক এর কিভাবে উৎপত্তি হয়?
প্রঃ তাকবীরে তাশরীক কখন পড়া হয়?
প্রঃ তকবীর কি ফরয নামাজের পর পড়তে হবে নাকি দোয়া করে বা সুন্নত নফল
সমুহ পড়ার পর পড়া যাবে?
প্রঃ ইশরাক চাশত তাহাজ্জুদ আউয়্যাবিন এসব নামাজের পরও কি তকবীরে তশরীক
পড়া জরুরী?
প্রঃ জুমার নামাজের পর কি এই তকবীর পড়তে হবে?
প্রঃ ঈদুল আযহার নামাজের পর কি এই তকবীর পড়তে হবে?
প্রঃ এই তকবীর কতটুকু আওয়াজে পড়তে হবে?
প্রঃ জামায়াতে নামাজ আদায় কারীর জন্য তকবীর ওয়াজিব একাকী নামাজ আদায়
কারীর জন্য কি তকবীর পড়া ওয়াজিব?
প্রঃ যে সব লোক মসবুক যাদের কয়েক রাকাত জামায়াত থেকে ছুটে যায় তারা কি
করবে?
প্রঃ ৯ জিলহজ্ব থেকে ১৩ জিলহজ্বের কোন নামাজ যদি কাজা হয় সে কাজা নামাজের
পর কি তকবীর পড়তে হবে
প্রঃ তকবীরে তাশরীক কি জিনিষ?
উঃ কুরবানীর মাসে মুসল্লীরা ফরয নামাজের পর একটি তকবীর পড়ে তা হল (আল্লাহু
আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল
হামদ) এটিকে সাধারণ ভাষায় তাকবীরে তাশরীক বলে
প্রঃ তকবীরে তাশরীক এর কিভাবে উৎপত্তি হয়?
উঃ আল্লাহ হকুম পালন করতে গিয়ে হযরত ইবরাহিম (আ) যখন প্রাণাধিক প্রিয়
পুত্র ইসমাইলকে জবেহ করতে উদ্ধ্যত হলে তখন হযরত জিবরাইল (আ) একটি জান্নাতি দুম্বা নিয়ে
আসলেন আর পিতা পুত্রকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জবেহ করছেন এ দৃশ্য দেখে জিবরাইল বলে
উঠলেন আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, জিবরাইলের ধ্বনি শুনে হযরত ইবরাহিম খলিলুল্লাহ
জবাবে বললেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আর পিতা ইবরাহিমের মুখে এই কলমা
শুনে হযরত ইসমাইল (আ) বললেন আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। আর এই ৩ জনের মহান আল্লাহর
প্রসংশা বাণীই তাকবীরে তাশরীকে মুসলমানরা পাঠ করেন।
প্রঃ তাকবীরে তাশরীক কখন পড়া হয়?
উঃ জিলহজ্বের ৯ তারিখের ফজর থেকে জিলহজ্বের ১৩ তারিখ এর আছর পযন্ত মোট
২৩ ওয়াক্ত নামাজের ফরয নামাজ যা মসজিদে জামায়াতে উলার সাথে আদায় করা হয় সে সব নামাজের
সালাম ফিরানোর পর ১ বার উচ্চ আওয়াজে এই তকবীর পড়া ওয়াজিব। আর ৩ বার পড়া উত্তম।
প্রঃ তকবীর কি ফরয নামাজের পর পড়তে হবে নাকি দোয়া করে বা সুন্নত নফল
সমুহ পড়ার পর পড়া যাবে?
উঃ এই তকবীরটি ফরয নামাজের সালাম ফিরানোর পর সাথে সাথে পড়া ওয়াজিব
প্রঃ ইশরাক চাশত তাহাজ্জুদ আউয়্যাবিন এসব নামাজের পরও কি তকবীরে তশরীক
পড়া জরুরী?
উঃ নফল সু্ন্নত ও বিতর এবং ইশরাক চাশত আউয়্যাবিন ও তাহাজ্জুদের পর তকবীর
পড়া ওয়াজিব নয়।
প্রঃ জুমার নামাজের পর কি এই তকবীর পড়তে হবে?
উঃ হ্যাঁ জুমার নামাজের জামায়াতের পরও এই তকবীর পড়া ওয়াজিব
প্রঃ ঈদুল আযহার নামাজের পর কি এই তকবীর পড়তে হবে?
উঃ এই তকবীর যেহেতু ফরয নামাজের পর পড়ার হকুম কিন্তু যদি ঈদের নামাজের
জামায়াতের পর পড়া হয় তাতেও কোন সমস্যা নাই। তবে ঈদুল আযহার নামাজে যাওয়ার সময় উঁচু
আওয়াজে এই তকবীর পড়ে পড়ে যাওয়া সুন্নত।
প্রঃ এই তকবীর কতটুকু আওয়াজে পড়তে হবে?
উঃ তাকবিরে তাশরিক পুরুষের জন্য জোরে পড়া ওয়াজিব। আস্তে পড়লে তাকবীরে
তাশরীক পড়ার হক আদায় হবে না। আর মহিলারা নিচু আওয়াজে অর্থাৎ নিজে শুনতে পায় এমন
আওয়াজে পড়বে।
প্রঃ জামায়াতে নামাজ আদায় কারীর জন্য তকবীর ওয়াজিব একাকী নামাজ আদায়
কারীর জন্য কি তকবীর পড়া ওয়াজিব?
উঃ একাকী নামাজ আদায় কারীর জন্য তকবীর পড়া ওয়াজিব নয়। তবে যদি একাকী
নামাজ আদায়কারী তকবীর পড়ে ভালো কেননা সাহেবাইন অর্থ্যাৎ ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ
(রহ) এর মতে একাকী নামাজ আদায় কারীর জন্যও তকবীর পড়া ওয়াজিব।
প্রঃ যে সব লোক মসবুক যাদের কয়েক রাকাত জামায়াত থেকে ছুটে যায় তারা কি
করবে?
উঃ যাদের ১/২ রাকাত ছুটে গেছে তারা বাকী নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে
তখন তকবীর পড়বে।
প্রঃ ৯ জিলহজ্ব থেকে ১৩ জিলহজ্বের কোন নামাজ যদি কাজা হয় সে কাজা নামাজের
পর কি তকবীর পড়তে হবে
উঃ যদি এ বছরের তাশরীক দিবসের কাযা নামাজ এ বছর তশরীকের দিনে কাযা পড়ে
এবং জামাআত সহকারে পড়ে তখন তকবীর পড়তে হবে। হ্যাঁ যদি তাশরীক দিবসের কাযা নামাজ যদি
১৩ তারিখের পর পড়ে তখন তকবীর পড়া লাগবে না।
কোন মন্তব্য নেই