কোরআনের আযব ঘটনা-১০৫১ গায়েবী রিযিক- সুরা হুদ- আয়াত-6
কোরআনের আযব ঘটনা-১০৫১
গায়েবী রিযিক-
সুরা হুদ- আয়াত-৬
যখন হযরত মুসা (আ) এর উপর অহি নাযিল হচ্ছিল
তখন তিনি চিন্তা করছিলেন নিজের পরিবারের ব্যপারে, তারা কি খাচ্ছে? এসব ব্যাপারে।
তখন আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা (আ) কে হকুম
দিলেন তিনি যেন একটি বড় পাথরে লাঠি মারেন, লাঠি মারার পর তার ভিতর থেকে আরো ১টি পাথর
বের হল, তার উপরও লাঠি মারার হকুম হল দেখা গেল তার ভিতরও আরো ১টি পাথর, আর সে পাথরে
পিপড়ার সমান ১টি পোকা যার মুখে খাবারের টুকরা লেগে আছে।
আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা (আ) কে সে পোকার
কথা শুনালেন, সে পোকাটি বলতে লাগল- সে মহান সত্বার পবিত্রতা ঘোষনা করছি যিনি আমাকে
দেখেন, আমার ফরিয়াদ শুনেন, আমার অবস্থানও জানেন, আমাকে মনে রাখেন আমাকে ভুলেন না।
অর্থ্যাৎ পাথরের ভিতর যেখানে কোন ছিদ্র
নাই পাথরের ৩ স্তর ভিতরে যার অবস্থান এমন ১টি অতিব ছোট প্রাণীর খোজখবরও আল্লাহ রাখেন
এবং তার রিযিক পৌঁছিয়ে দেন। তাহলে মুসা (আ) কেন নিজের পরিবারের রিযিক নিয়ে টেনশন করছে?
সে জন্য আল্লাহ তায়ালা সুরা হুদের ৬ নং
আয়াতে যথার্থ এরশাদ করেন
وَمَا
مِن
دَآبَّةٍ
فِي
الأَرْضِ
إِلاَّ
عَلَى
اللّهِ
رِزْقُهَا
وَيَعْلَمُ
مُسْتَقَرَّهَا
وَمُسْتَوْدَعَهَا
كُلٌّ
فِي
كِتَابٍ
مُّبِينٍ
আর
পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন তিনি জানেন
তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে। [সুরা
হুদ - ১১:৬]
তবে
মানুষদের ১টি কথা মনে রাখা উচিত, রিযিকের মালিক হলেন আল্লাহ সেটা যেমন বিশ্বাস
রাখতে হবে তেমনি এই রিযিকের জন্য হালাল পন্থায় চেষ্টাও করতে হবে, হাতপা গুটিয়ে বসে
থাকলে হবেনা। তবে যারা সত্যিকারের আল্লাহর উপর ভরসাকারী তাদেরকে আল্লাহ এমন
লোকদেরকে ফেরেশতার মাধ্যমে রিযিক পৌঁছান। যেমন নবীর যুগের ঘটনা যা আদ্দুরুল
মনসুরের ৪র্থ খন্ডের৪০১ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করা হয়েছে।
রাসুল
(দ) এর কাছে ১টি জামাত আসল, সফরের সময় তাদের খাদ্য পানি শেষ হয়ে গিয়েছিল, তারা
একজনকে হুজুর (দ) এর কাছে পাঠালেন খাদ্যের জন্য, কিন্তু সে মসজিদে নববীতে একজন
সাহাবীকে সুরা হুদের ৬ নং আয়াত তেলাওয়াত করতে শুনল, যার ভাবার্থ হল পৃথিবীর সকল
প্রাণীর রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর জিম্মায়।
এই
আয়াত শুনে সে হুজুর (দ) এর কাছে খাদ্যের কথা না বলে চলে আসল, আর সাথীদের বলল
তোমাদের জন্য খোশখবর খাদ্য আসছে।
কিছুক্ষন
পর ২ জন লোক গোস্ত আর রুটি নিয়ে আসল তারা সকলে পেট ভরে খেল, খাওয়া শেষে একজন বাকী
খাবার হুজুর (দ) এর কাছে নিয়ে গেল, হুজুর (দ) প্রশ্ন করলেন এসব কোথা থেকে? তিনি
জবাব দিল হুজুর আপনার কাছে অমুককে পাঠিয়েছিলাম তার কথায় আপনিইতো পাঠিয়েছেন। হুজুর
(দ) বললেন সেতো আমার কাছে আসেনি এবং আমি কোন খাদ্যও পাঠাইনি।
তখন
হুজুর (দ) সে ব্যক্তিকে ডাকলেন আর সব ঘটনা বললেন- সে সুরা হুদের ৬নং আয়াতটি শুনে
চলে যাওয়া কথাও বললেন- তখন হুজুর (দ) ফরমালেন এসব আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে রিযিক
দিয়েছেন।
রিযিকের
মালিক যেহেতু আল্লাহ তাই এই রিযিকের জন্য হারাম পন্থা অবলম্বন করা এবং তাড়াহুরা
করা, লোভ করা থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। হালাল পন্থা অবলম্বন করে যা আসে তাতেই
ধৈর্য্য ধারন করতে হবে, তবেই দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলসমুহের লিংক: সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকার অনুরোধ রইল
1) https://www.youtube.com/c/jaalhaq
2) https://www.youtube.com/allbangla1
3) https://www.youtube.com/c/Allahwalamedia
4) https://www.youtube.com/channel/UCpM_MlVrvE59Qia2XESn9AQ
আমাদের ব্লগ সমুহ
https://myjaalhaq.blogspot.com/
https://allbangladua.blogspot.com
আমাদের ফেসবুক পেজসমুহ
https://www.facebook.com/Jaalhaqbd
https://www.facebook.com/AllBanglaDua
https://www.facebook.com/karamatbd
আমাদের ফেসবুক গ্রুপ
https://www.facebook.com/groups/jaalhaqbd
ইনস্টাগ্রাম
https://www.instagram.com/jaalhaq.bd/
কোন মন্তব্য নেই