নারীদের বিয়ে মেহেদী ওলিমায় কেন যাওয়া উচিত নয়?

 

নারীদের বিয়ে মেহেদী ওলিমায় কেন যাওয়া উচিত নয়?



নারীদের মসজিদে ও মাজারে যাওয়া নিষেধ সেটা আমরা জানি কিন্তু কেন নিষেধ করা হয়েছে? এজন্য নিষেধ করা হয়েছে, যদি নারীরে মসজিদে মাজারে যায় এতে নারীদের ইজ্জত আবরুর হেফাজত হবেনা, ফিতনা সৃষ্টি হবে, বেপর্দেগি হবে, কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি এই ফতোয়া নারীদের জন্য বেশী প্রযোজ্য হওয়া উচিত কোন মেহেদী অনুষ্ঠান, বিয়ে অনুষ্ঠান ও ওলিমা অনুষ্ঠানের ব্যপারে

কারন বতমানে এই অনুষ্ঠানসমুহেই সবচেযে বেশী বেপদেগী হয়, নারীদের পদা বলতে এসব অনুষ্ঠানে বিলকুল বাকী থাকেনা,

নারীদেরকে মসজিদে যেতে যারা নিষেধ করেছেন পর্দার খাতিরে,  কিন্তু ওলিমা অনুষ্ঠানে, বিয়ে অনুষ্ঠানে, বাজারে নারীদের সে বোরখা হারিয়ে যায় অথচ এর বিরুদ্ধে বলার মত কেহ নাই, অথচ যার ঘরে কুরআন নাজিল হয়েছে সে উম্মুহাতুল মুমিনিন এর ব্যপারে নির্দেশ সুরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে আছে

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ

তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে- মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।

আমাকে কেহ ১টি দলিল দিন হুজুর (দ) এর যুগে যত ওলিমা অনুষ্ঠান হয়েছে সে অলিমাতে কোন মহিলা সাহাবা অংশ গ্রহণ করেছেন কিনা? আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি যতটুকু পড়েছি তাতে জেনেছি হুজুরের সকল ওলীমায় পুরুষ সাহাবীগণই অংশ গ্রহণ করেছেন। কোন মহিলা সাহাবী অংশ গ্রহণ করার কথা আমার নজরে পরে নাই।

এখন এমন কোন ওলিমা নাই যেখান বেপর্দা নারী নাই, যদি বোরখা পরিধান করে পর্দা সহকারে যেত তাহলে অন্তত গুঞ্জাইশ থাকত কিন্তু বেনেকাব বেপর্দা অবস্থায় এসব অনুষ্ঠানে নারীদের উপস্থিতি, সারাদিন সাজে, পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করে সাজগুজ করে আর সে সব অনুষ্ঠানে চলে নারীদের সৌন্দর্য্য প্রদশনের প্রতিযোগিতা এ যেন আইয়্যামে জাহিলিয়াতকে হার মানিয়েছে, অথচ আল্লাহ বলেন

وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ

মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।

আর এসব অনুষ্ঠানে থাকে, গান বাজনা, হাসি তামাশা, ভিডিও শ্যূটিং ফটো শ্যূটিং এর নামে সব ধরনের শয়তানি কার্যক্রম। আর এসব ভিডিওম্যান ফটোম্যানও হয় বেশীর ভাগ অমুসলিম, একজন অমুসলিম এর সামনে আমাদের মা বোনেরা বেপর্দা হয়ে ছবির পোছ দেয় তা খুবই লজ্জাজনক আর দুঃখজনক।

এসব শয়তানি করে যে সব বিয়ে অনুষ্ঠান হয় সে সব ঘরে কিভাবে শান্তি থাকবে? কিছুদিন পর যখন সে নববধু শুশুর বাড়ীতে নানান অশান্তির কথা বলে তখন আমরা আল্লাহর রহমত তালাশ করি, হুজুর তালাশ করি দোয়া ও তাবিজের জন্য, অথচ নিজেরা যে শয়তানি করে বিয়ে নামক সুন্নত অনুষ্ঠানকে ওলিমা নামক সুন্নত অনুষ্ঠানকে শয়তানের কারখানা বানিয়েছিলাম তখন আল্লাহর রহমতের কথা ভুলে গিয়েছিলাম, এখন যখন আল্লাহর আযাব ঘিরে ফেলেছে এখন হুজুরের কাছে দৌঁড়াই তাবিজের জন্য, শশুড় বাড়ীর লোক যেন মেয়েকে ভালোবাসে সে জন্য পানিপরা আর তাবিজ খুঁজি। মনে রাখবেন পানিপরা আর তাবিজে কাজ হবে না। আমাদের জীবনের সকল অশান্তি মুলত আমাদেরই আমলের প্রতিফল, আমাদের নিজেদের হাতের কামাই।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.